ফিরে দেখা ২০১১-নিত্যপণ্যের বাজারে নাজেহাল মানুষ by আবুল হাসনাত
নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য বছরজুড়েই সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ ছিল। চিনি, ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, গুঁড়া দুধ, সবজিসহ বেশ কিছু পণ্য কিনতে রীতিমতো নাজেহাল হয়েছে ক্রেতারা। অবশ্য শীতের সবজির আগমনে বছরের শেষ সময়টায় কাঁচাবাজারের উত্তাপ অনেকটাই কেটে গেছে। নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দ্রবমূল্য সহনীয় রাখার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছিল। কিন্তু দ্রব্যমূল্যই শেষ পর্যন্ত সরকারকে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে
ফেলেছে। ফারুক খানের মন্ত্রণালয় বদলও এ কারণে হয়েছে বলে রাজনৈতিক সমালোচকেরা মনে করেন।
কেমন ছিল বাজার: ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৯৪ থেকে ৯৬ টাকা। ঠিক এক বছর পর গতকাল শনিবার সয়াবিন তেল কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৮ টাকা। এক বছরে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এই তথ্য সরকারেরই প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)।
বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায়। এক বছর আগে বিক্রি হতো ৫৫ টাকায়। আপাতদৃষ্টিতে চিনির বাজার স্থির বলেই মনে হতে পারে। তবে গত বছর যে পণ্যটি ভোক্তাদের বেশি ভুগিয়েছে, সেটি হচ্ছে চিনি। রমজানের এক মাস আগেও ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিনি হঠাৎ করে হয়ে যায় ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। সরকার ৬৫ টাকা দর বেঁধে দিলে বাজার থেকেই উধাও হয়ে যায় চিনি। পরে চিনির মুখ দেখা গেলেও দাম হয়ে যায় ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
রমজান মাসে ছোলা নিয়েও নাটকের কমতি ছিল না। এক বছরের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। ৪৬ টাকার ছোলা বছর শেষে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর রমজানে উঠেছিল ৯০ টাকা পর্যন্ত।
এক বছরে ময়দার দামও বেড়েছে ১৬ শতাংশ। কেজিপ্রতি ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়। তবে গত বছর চাল নিয়ে তেমন দুর্ভোগ হয়নি। মোটা চালের দাম ৩৩ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে স্থির ছিল। দাম এখনো তা-ই। অবশ্য সরু চাল, বিশেষ করে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম ছিল ওঠা-নামার মধ্যে।
বাজারে এখন দাম কম হলেও বছরজুড়ে পেঁয়াজের ঝাঁজে ভুগেছে মানুষ। বছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাতারাতি দেশের বাজারে দাম ৩৫ থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা হয়।
তবে এক বছরে অভাবনীয়ভাবে দাম কমেছে রসুনের। ৭৩ শতাংশ কমে এখন প্রতি কেজি রসুন (দেশি ও আমদানি করা) বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়। আদার দামও কমেছে ৪২ শতাংশ।
বছরজুড়েই কাঁচাবাজারে লেগে ছিল আগুন। সবজির দাম ছিল চড়া। বেগুন কিনতে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। কালো বেগুনের দাম তো ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। রমজান মাসে ১০০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনতে হয় ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। তবে সবজির দাম এখন কম।
একই অবস্থা মাছের বাজারেও। ইলিশের দাম এক বছরে বেড়েছে ৬০ শতাংশেরও বেশি। ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার ইলিশ কিনতে হয় এখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ৫ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি সহনীয়। সেটা ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলে অর্থনীতির সংকট বেড়ে যায়। দেশে এখন সেই অবস্থাই চলছে। মূল্যস্ফীতির হার ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। শুধু যে খাদ্যমূল্যের সূচকই বেড়েছে তা নয়, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্য বেড়েছে বছরের শেষ কয়েক মাসে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই আগুনে সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ।
কেমন ছিল বাজার: ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৯৪ থেকে ৯৬ টাকা। ঠিক এক বছর পর গতকাল শনিবার সয়াবিন তেল কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৮ টাকা। এক বছরে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এই তথ্য সরকারেরই প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)।
বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায়। এক বছর আগে বিক্রি হতো ৫৫ টাকায়। আপাতদৃষ্টিতে চিনির বাজার স্থির বলেই মনে হতে পারে। তবে গত বছর যে পণ্যটি ভোক্তাদের বেশি ভুগিয়েছে, সেটি হচ্ছে চিনি। রমজানের এক মাস আগেও ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিনি হঠাৎ করে হয়ে যায় ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। সরকার ৬৫ টাকা দর বেঁধে দিলে বাজার থেকেই উধাও হয়ে যায় চিনি। পরে চিনির মুখ দেখা গেলেও দাম হয়ে যায় ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
রমজান মাসে ছোলা নিয়েও নাটকের কমতি ছিল না। এক বছরের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। ৪৬ টাকার ছোলা বছর শেষে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর রমজানে উঠেছিল ৯০ টাকা পর্যন্ত।
এক বছরে ময়দার দামও বেড়েছে ১৬ শতাংশ। কেজিপ্রতি ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়। তবে গত বছর চাল নিয়ে তেমন দুর্ভোগ হয়নি। মোটা চালের দাম ৩৩ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে স্থির ছিল। দাম এখনো তা-ই। অবশ্য সরু চাল, বিশেষ করে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম ছিল ওঠা-নামার মধ্যে।
বাজারে এখন দাম কম হলেও বছরজুড়ে পেঁয়াজের ঝাঁজে ভুগেছে মানুষ। বছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাতারাতি দেশের বাজারে দাম ৩৫ থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা হয়।
তবে এক বছরে অভাবনীয়ভাবে দাম কমেছে রসুনের। ৭৩ শতাংশ কমে এখন প্রতি কেজি রসুন (দেশি ও আমদানি করা) বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়। আদার দামও কমেছে ৪২ শতাংশ।
বছরজুড়েই কাঁচাবাজারে লেগে ছিল আগুন। সবজির দাম ছিল চড়া। বেগুন কিনতে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। কালো বেগুনের দাম তো ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। রমজান মাসে ১০০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনতে হয় ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। তবে সবজির দাম এখন কম।
একই অবস্থা মাছের বাজারেও। ইলিশের দাম এক বছরে বেড়েছে ৬০ শতাংশেরও বেশি। ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার ইলিশ কিনতে হয় এখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ৫ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি সহনীয়। সেটা ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলে অর্থনীতির সংকট বেড়ে যায়। দেশে এখন সেই অবস্থাই চলছে। মূল্যস্ফীতির হার ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। শুধু যে খাদ্যমূল্যের সূচকই বেড়েছে তা নয়, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্য বেড়েছে বছরের শেষ কয়েক মাসে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই আগুনে সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ।
No comments