সরকারের টনক নড়বে কবে?-অবহেলিত শাহজালাল বিমানবন্দর
বিমান বাংলাদেশের বেহাল অবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরেও শনির দশা লেগেছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়ন-অবতরণের ঝুঁকির কথা জানিয়েছে গত শুক্রবারের প্রথম আলো। যেখানে আপাদমস্তক সংস্কার ও নবায়ন দরকার, সেখানে ১০ বছর ধরে জোড়াতালি দেওয়ার কাজই চলছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা এবং অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই চলছে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দর। এই ব্যর্থতা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের, এই ব্যর্থতা সরকারের। বিমানবন্দর মানে বিমান প্রশাসন নয় শুধু, এর অবকাঠামোটাই বলা যায় মূল। প্রথম আলোর সংবাদে বলা হচ্ছে, বিমানবন্দরে বিমান উড্ডয়নের রানওয়ে এবং রানওয়ে থেকে বিমান থামার জায়গার (ট্যাক্সিওয়ে) কংক্রিটের আস্তরণ কমজোরি হয়ে গেছে। বর্তমানে বিমানবন্দরের ট্যাক্সিওয়ের আস্তরণের ভার বহন করার ক্ষমতা ৪০ পিসিএন (পেভমেন্ট ক্ল্যাসিফিকেশন ইনডেক্স), কিন্তু যে ভারী বিমানগুলো সাধারণত এখান থেকে ওড়ে, তার জন্য ওই আস্তরণের শক্তি হওয়া দরকার ন্যূনতম ৭০ পিসিএন। এ অবস্থা বহাল থাকা বিমানযাত্রীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া রাডার ও উড্ডয়ন-অবতরণের জন্য জরুরি বেশ কিছু যন্ত্রপাতিতেও ত্রুটি ও ঘাটতি রয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপার, ১০ বছর ধরে এ অবস্থা বহাল রয়েছে কেবল একটি বিদেশি অর্থপুষ্ট প্রকল্পের আশায়।
বিমানবন্দরের আধুনিকায়নে ডেনমার্ক সরকারের আর্থিক সহায়তায় একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু তার দালিলিক কাজ সারতেই চলে যায় ১০টি বছর। বিদেশি অর্থায়ন হবে বলে বিশেষ সংস্কারকাজও এই ১০ বছরে হয়নি। ডেনমার্কের সাহায্য সংস্থা ড্যানিডার সহায়তা চাওয়ার কাজ শুরু হয় ২০০০ সালে। কিন্তু ডেনমার্ক-বাংলাদেশের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি সই হতে লেগে যায় আরও ছয় বছর। এর পরে একনেকে প্রকল্পটি পাস হয় ২০০৮ সালে। দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নির্বাচিত হয় ২০১০ সালের মার্চ মাসে। কাজটি পায় ডেনমার্কেরই একটি প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তাদের হিসাবে প্রাক্কলিত ব্যয় মূল প্রস্তাবের চেয়ে ২২৮ কোটি টাকা বেশি। কিন্তু বাড়তি এই অর্থ দিতে ডেনমার্ক রাজি না হওয়ায় প্রকল্পটি ভেস্তে যেতে বসেছে।
খেয়াল করার বিষয়, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিল পর্যাপ্ত হলেও এত দিন সেদিকে নজর দেওয়া হয়নি। এখন বেকায়দা অবস্থায় সেই তহবিল থেকে টাকা নিয়ে আধুনিকায়নের প্রস্তাব করেছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বিগত সরকারের আমলে বারবারই বিমান অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির শিকার হয়ে যাত্রী হারিয়েছে, লোকসান দিয়েছে; এমনকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রার অনুমতিও বাতিল হয়েছে। বর্তমান সরকারের তিন বছরেও সেই অধোগতি একই রকম থাকা হতাশাজনক। যেখানে সরকার জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে অতি উৎসাহ দেখিয়েছিল, সেখানে কেন শাহজালাল বিমানবন্দরকে এত অবহেলা করা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। আশা করি, বড় কোনো বিপর্যয় ঘটার আগেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংস্কার ও নবায়নের কাজ সম্পন্ন হবে। আর যেখানে বিমানবন্দরের তহবিলেই পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে, সেখানে বিলম্বের কোনো কারণ থাকতে পারে না।
বিমানবন্দরের আধুনিকায়নে ডেনমার্ক সরকারের আর্থিক সহায়তায় একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু তার দালিলিক কাজ সারতেই চলে যায় ১০টি বছর। বিদেশি অর্থায়ন হবে বলে বিশেষ সংস্কারকাজও এই ১০ বছরে হয়নি। ডেনমার্কের সাহায্য সংস্থা ড্যানিডার সহায়তা চাওয়ার কাজ শুরু হয় ২০০০ সালে। কিন্তু ডেনমার্ক-বাংলাদেশের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি সই হতে লেগে যায় আরও ছয় বছর। এর পরে একনেকে প্রকল্পটি পাস হয় ২০০৮ সালে। দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নির্বাচিত হয় ২০১০ সালের মার্চ মাসে। কাজটি পায় ডেনমার্কেরই একটি প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তাদের হিসাবে প্রাক্কলিত ব্যয় মূল প্রস্তাবের চেয়ে ২২৮ কোটি টাকা বেশি। কিন্তু বাড়তি এই অর্থ দিতে ডেনমার্ক রাজি না হওয়ায় প্রকল্পটি ভেস্তে যেতে বসেছে।
খেয়াল করার বিষয়, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিল পর্যাপ্ত হলেও এত দিন সেদিকে নজর দেওয়া হয়নি। এখন বেকায়দা অবস্থায় সেই তহবিল থেকে টাকা নিয়ে আধুনিকায়নের প্রস্তাব করেছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বিগত সরকারের আমলে বারবারই বিমান অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির শিকার হয়ে যাত্রী হারিয়েছে, লোকসান দিয়েছে; এমনকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রার অনুমতিও বাতিল হয়েছে। বর্তমান সরকারের তিন বছরেও সেই অধোগতি একই রকম থাকা হতাশাজনক। যেখানে সরকার জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে অতি উৎসাহ দেখিয়েছিল, সেখানে কেন শাহজালাল বিমানবন্দরকে এত অবহেলা করা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। আশা করি, বড় কোনো বিপর্যয় ঘটার আগেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংস্কার ও নবায়নের কাজ সম্পন্ন হবে। আর যেখানে বিমানবন্দরের তহবিলেই পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে, সেখানে বিলম্বের কোনো কারণ থাকতে পারে না।
No comments