রাজকীয় বিয়ে by মিজান মল্লিক
২৯ এপ্রিল ২০১১। ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে সাজ সাজ রব। সকাল থেকে একে একে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। তাঁদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ ও সুইজারল্যান্ডের রাজা। ৫০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা ছাড়াও তালিকায় আছেন আরও দুই হাজার অতিথি। এসেছেন চিত্রজগতের তারকারাও। সেলিব্রেটি যুগল হিসেবে ঐতিহাসিক এ বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে
এসেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহাম ও তাঁর স্ত্রী পপস্টার ভিক্টোরিয়া বেকহাম। বর ও কনেকে একনজর দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের আশপাশের রাস্তায় নেমে এসেছে। আর টেলিভিশনে, ইন্টারনেটে চোখ রেখেছে সারা বিশ্বের অন্তত ২০০ কোটি মানুষ—সরাসরি রাজপরিবারের এ বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে। মানুষ এমন উৎসাহী হবেই না বা কেন, ১৯৮১ সালে প্রিন্সেস ডায়ানা ও প্রিন্স চার্লসের বিয়ের পর এটাই ব্রিটিশ রাজপরিবারের সবচেয়ে বড় এবং জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান।
লাল রঙের রাজকীয় আইরিশ পোশাক পরে প্রিন্স উইলিয়াম অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলেন, সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারি। এরপর আসেন কেট মিডলটন। তাঁর পরনে ধবধবে সাদা ওড়না ও কারুকাজ করা ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাক। সবশেষে আসেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও ডিউক অব এডিনবরা।
শুরু হয় বিয়ের আচার অনুষ্ঠান। সমবেত অতিথিদের সামনে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ বোয়ান উইলিয়াম বর ও কনেকে বিয়ের শপথবাক্য পাঠ করান। উইলিয়াম ও কেট হাসিমুখে ওই বাক্য উচ্চারণ করে হয়ে যান স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের ১০ বছরের প্রেম পরিণতি লাভ করে পরিণয়ে।
নাতি উইলিয়ামকে বিয়ের পর রানি নিজে ডিউক অব কেমব্রিজ খেতাবে ভূষিত করেন। সে সূত্রে তাঁর স্ত্রী কেট হন হার রয়্যাল হাইনেস অব কেমব্রিজ।
এরপর রাজকীয় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে নবদম্পতি বাকিংহাম প্রাসাদের দিকে যাত্রা করেন। পথের দুই পাশে হাজারো মানুষ হাত নাড়িয়ে, পতাকা উড়িয়ে অভিবাদন জানান তাঁদের। হাত নেড়ে জবাব দেন কেট ও উইলিয়াম। প্রাসাদের সামনে তখন লাখো মানুষের প্রতীক্ষা। একপর্যায়ে প্রাসাদের ব্যালকনিতে দেখা গেল উইলিয়াম ও কেটকে। এরপর ওষ্ঠ চুম্বনের মাধ্যমে পরস্পরের প্রতি আজীবনের বন্ধনের প্রতিজ্ঞা ও ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন উইলিয়াম ও কেট। আর এ দৃশ্য দেখে সমবেত জনতা হর্ষধ্বনি তুলে, করতালি দিয়ে আশীর্বাদ করে নবদম্পতিকে।
এরপর আর কী, উইলিয়াম ও কেট প্রাসাদের ভেতরে চলে যান। তাঁদের নতুন জীবন শুরু হয়।
দিনটির বিশেষত্ব তুলে ধরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, এটি স্মরণকালের সুন্দরতম দিন। জনতার উৎসব উদ্যাপন দেখে অন্তত তা-ই প্রমাণিত হয়। এমন পরম আনন্দ উপভোগের উপলক্ষ ব্রিটিশদের জীবনে আসেনি বহুদিন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজকীয় এই বিয়ের মধ্য দিয়ে ব্রিটেনের সমাজ পরিবর্তনের চিত্র ধরা পড়ে। উইলিয়াম ও কেটের প্রেমে পড়া আর তাঁদের এই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কেবল জাতীয় গৌরবের জন্ম দেয়নি, বরং একটি সাধারণ ঘরের মেয়ে হয়ে কেটের রাজপরিবারে প্রবেশ প্রমাণ করে, একসময়কার কঠোর শ্রেণীকাঠামো থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে ব্রিটেন।
লাল রঙের রাজকীয় আইরিশ পোশাক পরে প্রিন্স উইলিয়াম অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলেন, সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারি। এরপর আসেন কেট মিডলটন। তাঁর পরনে ধবধবে সাদা ওড়না ও কারুকাজ করা ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাক। সবশেষে আসেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও ডিউক অব এডিনবরা।
শুরু হয় বিয়ের আচার অনুষ্ঠান। সমবেত অতিথিদের সামনে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ বোয়ান উইলিয়াম বর ও কনেকে বিয়ের শপথবাক্য পাঠ করান। উইলিয়াম ও কেট হাসিমুখে ওই বাক্য উচ্চারণ করে হয়ে যান স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের ১০ বছরের প্রেম পরিণতি লাভ করে পরিণয়ে।
নাতি উইলিয়ামকে বিয়ের পর রানি নিজে ডিউক অব কেমব্রিজ খেতাবে ভূষিত করেন। সে সূত্রে তাঁর স্ত্রী কেট হন হার রয়্যাল হাইনেস অব কেমব্রিজ।
এরপর রাজকীয় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে নবদম্পতি বাকিংহাম প্রাসাদের দিকে যাত্রা করেন। পথের দুই পাশে হাজারো মানুষ হাত নাড়িয়ে, পতাকা উড়িয়ে অভিবাদন জানান তাঁদের। হাত নেড়ে জবাব দেন কেট ও উইলিয়াম। প্রাসাদের সামনে তখন লাখো মানুষের প্রতীক্ষা। একপর্যায়ে প্রাসাদের ব্যালকনিতে দেখা গেল উইলিয়াম ও কেটকে। এরপর ওষ্ঠ চুম্বনের মাধ্যমে পরস্পরের প্রতি আজীবনের বন্ধনের প্রতিজ্ঞা ও ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন উইলিয়াম ও কেট। আর এ দৃশ্য দেখে সমবেত জনতা হর্ষধ্বনি তুলে, করতালি দিয়ে আশীর্বাদ করে নবদম্পতিকে।
এরপর আর কী, উইলিয়াম ও কেট প্রাসাদের ভেতরে চলে যান। তাঁদের নতুন জীবন শুরু হয়।
দিনটির বিশেষত্ব তুলে ধরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, এটি স্মরণকালের সুন্দরতম দিন। জনতার উৎসব উদ্যাপন দেখে অন্তত তা-ই প্রমাণিত হয়। এমন পরম আনন্দ উপভোগের উপলক্ষ ব্রিটিশদের জীবনে আসেনি বহুদিন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজকীয় এই বিয়ের মধ্য দিয়ে ব্রিটেনের সমাজ পরিবর্তনের চিত্র ধরা পড়ে। উইলিয়াম ও কেটের প্রেমে পড়া আর তাঁদের এই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া কেবল জাতীয় গৌরবের জন্ম দেয়নি, বরং একটি সাধারণ ঘরের মেয়ে হয়ে কেটের রাজপরিবারে প্রবেশ প্রমাণ করে, একসময়কার কঠোর শ্রেণীকাঠামো থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে ব্রিটেন।
No comments