স্মরণ-মণি সিংহ: আজীবন সাম্যব্রতী
১৯৪৫ সাল। নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত হয় সর্বভারতীয় কৃষক সম্মেলন। ৭৩ বছর আগে নেত্রকোনা কতটুকুই বা শহর—একটি বাজার বই তো নয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ। এই ছোট্ট শহরে কৃষক সম্মেলন উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বাজার বসে—আর তাতে নগদ অর্থের টান পড়ে যায়। তখন কমরেড মণি সিংহের স্বাক্ষরিত কাগজের টুকরাই ব্যবহূত হয় মুদ্রার বিকল্প হিসেবে। মণি সিংহের প্রতি মানুষের ছিল অকল্পনীয় বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা।
মণি সিংহ জন্মেছিলেন কলকাতা শহরে ১৯০০ সালে। তাঁর বাবা কালি কুমার সিংহ ছিলেন নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার জমিদার পুত্র আর মা সুসং দুর্গাপুর রাজপরিবারের মেয়ে। রাজ পরিবারে জন্মেও মণি সিংহ জীবনের সব স্বাচ্ছন্দ্য, নিরাপত্তা, স্বস্তিময় জীবন যাপনের সব সুযোগ স্বেচ্ছায় ত্যাগ করে বেছে নেন কঠিন সংগ্রামের জীবন। সমাজের বিপ্লবী পরিবর্তনের লক্ষ্যে উৎসর্গ করেন নিজেকে। বিদ্রোহ করেন নিজ পরিবারের শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে। প্রজাসাধারণকে সংগঠিত করে গড়ে তোলেন কৃষক আন্দোলন। অচিরেই প্রজাসাধারণ কৃষক মেহনতীদের নয়নমণিতে পরিণত হন।
কমরেড মণি সিংহ কলতায় স্কুল ছাত্রাবস্থায়ই বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন। জড়িয়ে পড়েন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামে। গোপন অনুশীলন দলে যোগ দিয়ে ব্রিটিশ বিতাড়নের সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হন। ১৯২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। আত্মগোপন অবস্থায় দীক্ষা নেন সাম্যবাদী আদর্শের। ১৯২৫ সালে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সূচনাপর্বেই যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে।
মণি সিংহ রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত হন। কলকাতার মেটিয়া বুরুজে চটকল শ্রমিকদের প্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। কিন্তু নিজ জেলা ময়মনসিংহের কৃষকদের দুর্দশা দেখে মনি সংিহ কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার মনস্থির করেন এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলেন। টংক আন্দোলন ও তেভাগা আন্দোলনের তিনি ছিলেন রূপকার। তাঁর নেতৃত্বে টংক আন্দোলন এত ব্যাপকতা লাভ করে যে শেষ পর্যন্ত মুসলিম সরকার আন্দোলনের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় এবং টংক প্রথা বিলুপ্ত হয়। ময়মনসিংহ অঞ্চলে যে বিশাল তেভাগা আন্দোলন সংগঠিত হয়—তারও মধ্যমণি ছিলেন তিনি।
মণি সিংহ শুধু কৃষকদের আন্দোলনেই তাঁর কর্মকাণ্ড সীমিত রাখেনি, তিনি এ অঞ্চলে শিক্ষা-স্বাস্থ্য আর কুটির শিল্প গড়ার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। পার্টির কর্মী ও সমর্থকদের এ কাজে নিয়োজিত হওয়ার নির্দেশ ও প্রেরণা দিয়েছেন। তিনি সব সময় বলতেন, সমবেত উন্নত জীবন না হলে উন্নত সমাজ হয় না। দেশপ্রেমের অর্থ হলো দেশের সব মানুষের খাবার-কাপড়-ঘর, চিকিৎসা-শিক্ষা এবং মন খুলে কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করা।
পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাদের একজন ছিলেন কমরেড মণি সিংহ। পাকিস্তানি শাসনের প্রায় পুরো সময়েই কমিউনিস্ট পার্টি ছিল নিষিদ্ধ। কমিউনিস্ট নেতারা হয় কারাগারে, নয় আত্মগোপনে থাকতেন। আটচল্লিশের ভুখা-মিছিল, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, টংক, নানকার তেভাগাসহ বিভিন্ন কৃষক আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টি এবং মণি সিংহের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত উজ্জ্বল। চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের পশ্চাদ্ভূমিতে মণি সিংহের নেতৃত্বে বাম কমিউনিস্টদের ভূমিকা ছিল কার্যকর ও সদর্থক। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ষাটের দশকজুড়ে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন পরিচালিত, মণি সিংহের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্টরা সে ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা আবশ্যক ছাত্র-আন্দোলনের কথা। আত্মগোপন অবস্থায় মণি সিংহ ছাত্র-আন্দোলনের নানা বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে আন্দোলনকে সজীব রেখেছেন। ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টি ষাটের দশকে নানা সংগ্রামের পটভূমিতে, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯৬৭ সালে আত্মগোপন অবস্থায় কমরেড মণি সিংহ গ্রেপ্তার হন। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যূত্থানের ফলে পাকিস্তানি সরকার অন্য রাজবন্দীদের সঙ্গে তাঁকেও মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এ বছরই মার্চ মাসে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসন জারি হলে আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাজশাহীর ছাত্রজনতা রাজশাহীর কারাগার ভেঙে তাঁকে জেল থেকে মুক্ত করে। তখন তিনি অন্য সহকর্মীদের নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে উপস্থিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন। ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনী গঠন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে মণি সিংহ ও তাঁর সহকর্মীরা বিশেষ ভূমিকা রাখেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা পালনে মণি সিংহ ও তাঁর পার্টি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টির সংগঠন এবং বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার বিস্তৃত কর্মকাণ্ডে মণি সিংহ ছিলেন বিপুল উৎসাহের উৎস। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই শ্রমিক-সমাজের সকল স্তরের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে গড়ে ওঠা নানা আন্দোলনে তাঁর নেতৃত্বাধীন পার্টি নবোদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মণি সিংহ রাজনৈতিক লড়াই-সংগ্রামে যেমন জীবন্ত এবং অগ্রণী ছিলেন—ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর সততা ও নিষ্ঠা ছিল অনুকরণীয়। মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল প্রবাদতুল্য। তিনি কখনো সহকর্মীদের বাদ দিয়ে কোনো খাবারও গ্রহণ করতেন না। তাঁর জীবন যাপন ছিল অত্যন্ত আড়ম্বরহীন। পিতৃ-মাতৃ উভয়কুল বড় জমিদার হওয়া সত্ত্বেও এবং দীর্ঘদিন দেশের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব থাকার পরও তাঁর কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল না।
মনি সিংহ ছিলেন আজীবন বিপ্লবী এবং সাম্যব্রতী।
১৯৯০ সালের ৩১ জানুয়ারি মনি সিংহের মহাপ্রয়ান ঘটে। তাঁর আত্মতাগ, সাহস আর জীবনসংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিত্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
দিলওয়ার হোসেন
কমরেড মণি সিংহ কলতায় স্কুল ছাত্রাবস্থায়ই বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন। জড়িয়ে পড়েন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামে। গোপন অনুশীলন দলে যোগ দিয়ে ব্রিটিশ বিতাড়নের সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হন। ১৯২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। আত্মগোপন অবস্থায় দীক্ষা নেন সাম্যবাদী আদর্শের। ১৯২৫ সালে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সূচনাপর্বেই যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে।
মণি সিংহ রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত হন। কলকাতার মেটিয়া বুরুজে চটকল শ্রমিকদের প্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। কিন্তু নিজ জেলা ময়মনসিংহের কৃষকদের দুর্দশা দেখে মনি সংিহ কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার মনস্থির করেন এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলেন। টংক আন্দোলন ও তেভাগা আন্দোলনের তিনি ছিলেন রূপকার। তাঁর নেতৃত্বে টংক আন্দোলন এত ব্যাপকতা লাভ করে যে শেষ পর্যন্ত মুসলিম সরকার আন্দোলনের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় এবং টংক প্রথা বিলুপ্ত হয়। ময়মনসিংহ অঞ্চলে যে বিশাল তেভাগা আন্দোলন সংগঠিত হয়—তারও মধ্যমণি ছিলেন তিনি।
মণি সিংহ শুধু কৃষকদের আন্দোলনেই তাঁর কর্মকাণ্ড সীমিত রাখেনি, তিনি এ অঞ্চলে শিক্ষা-স্বাস্থ্য আর কুটির শিল্প গড়ার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। পার্টির কর্মী ও সমর্থকদের এ কাজে নিয়োজিত হওয়ার নির্দেশ ও প্রেরণা দিয়েছেন। তিনি সব সময় বলতেন, সমবেত উন্নত জীবন না হলে উন্নত সমাজ হয় না। দেশপ্রেমের অর্থ হলো দেশের সব মানুষের খাবার-কাপড়-ঘর, চিকিৎসা-শিক্ষা এবং মন খুলে কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করা।
পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাদের একজন ছিলেন কমরেড মণি সিংহ। পাকিস্তানি শাসনের প্রায় পুরো সময়েই কমিউনিস্ট পার্টি ছিল নিষিদ্ধ। কমিউনিস্ট নেতারা হয় কারাগারে, নয় আত্মগোপনে থাকতেন। আটচল্লিশের ভুখা-মিছিল, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, টংক, নানকার তেভাগাসহ বিভিন্ন কৃষক আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টি এবং মণি সিংহের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত উজ্জ্বল। চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের পশ্চাদ্ভূমিতে মণি সিংহের নেতৃত্বে বাম কমিউনিস্টদের ভূমিকা ছিল কার্যকর ও সদর্থক। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ষাটের দশকজুড়ে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন পরিচালিত, মণি সিংহের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্টরা সে ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা আবশ্যক ছাত্র-আন্দোলনের কথা। আত্মগোপন অবস্থায় মণি সিংহ ছাত্র-আন্দোলনের নানা বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে আন্দোলনকে সজীব রেখেছেন। ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টি ষাটের দশকে নানা সংগ্রামের পটভূমিতে, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯৬৭ সালে আত্মগোপন অবস্থায় কমরেড মণি সিংহ গ্রেপ্তার হন। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যূত্থানের ফলে পাকিস্তানি সরকার অন্য রাজবন্দীদের সঙ্গে তাঁকেও মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এ বছরই মার্চ মাসে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসন জারি হলে আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাজশাহীর ছাত্রজনতা রাজশাহীর কারাগার ভেঙে তাঁকে জেল থেকে মুক্ত করে। তখন তিনি অন্য সহকর্মীদের নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে উপস্থিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন। ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনী গঠন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে মণি সিংহ ও তাঁর সহকর্মীরা বিশেষ ভূমিকা রাখেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা পালনে মণি সিংহ ও তাঁর পার্টি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টির সংগঠন এবং বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার বিস্তৃত কর্মকাণ্ডে মণি সিংহ ছিলেন বিপুল উৎসাহের উৎস। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই শ্রমিক-সমাজের সকল স্তরের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে গড়ে ওঠা নানা আন্দোলনে তাঁর নেতৃত্বাধীন পার্টি নবোদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মণি সিংহ রাজনৈতিক লড়াই-সংগ্রামে যেমন জীবন্ত এবং অগ্রণী ছিলেন—ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর সততা ও নিষ্ঠা ছিল অনুকরণীয়। মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল প্রবাদতুল্য। তিনি কখনো সহকর্মীদের বাদ দিয়ে কোনো খাবারও গ্রহণ করতেন না। তাঁর জীবন যাপন ছিল অত্যন্ত আড়ম্বরহীন। পিতৃ-মাতৃ উভয়কুল বড় জমিদার হওয়া সত্ত্বেও এবং দীর্ঘদিন দেশের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব থাকার পরও তাঁর কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল না।
মনি সিংহ ছিলেন আজীবন বিপ্লবী এবং সাম্যব্রতী।
১৯৯০ সালের ৩১ জানুয়ারি মনি সিংহের মহাপ্রয়ান ঘটে। তাঁর আত্মতাগ, সাহস আর জীবনসংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিত্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
দিলওয়ার হোসেন
No comments