রাজ্যসভায় লোকপাল বিল পাসে ব্যর্থতা-কংগ্রেস-বিজেপি পরস্পরকে দোষারোপ by দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী
ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল বিল পাস না হওয়ার ব্যর্থতার জন্য ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পরস্পরকে দোষারোপ করছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, এই বিল বাতিল হয়নি। শিগগিরই আবার তা পাস করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভারতে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল আইন করার উদ্যোগ নেয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকার। পার্লামেন্টের
নিম্নকক্ষ লোকসভায় গত মঙ্গলবার বিলটি পাস হলেও বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে তা পাস করতে ব্যর্থ হয় সরকার। এরপর সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে শুরু হয় বাগ্যুদ্ধ।
এই বাগ্যুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অম্বিকা সনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোলাম নবী আজাদ, আইনমন্ত্রী সালমান খুরশিদ, সংসদবিষয়ক মন্ত্রী পবন কুমার বানসাল, সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী, অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) মুখপাত্র ও লোকপাল স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অভিষেক সিংভির মতো নেতারা জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁরা এ বিল পাস না হওয়ার দায় চাপিয়েছেন বিজেপির ওপর। বাগ্যুদ্ধে নেমেছেন রাহুল গান্ধীও। উত্তর প্রদেশে এক সমাবেশে বিল পাস না হওয়ায় বিজেপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘লোকপাল বিল পাস না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
বিজেপিও থেমে নেই। লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা সুষমা স্বরাজ ও রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা অরুণ জেটলি কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, কংগ্রেসের আর ‘ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই’।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেন, ‘দুর্নীতিবিরোধী বিলটি পাস করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না বিজেপির। তাই তারা ১৮৭টি সংশোধনী প্রস্তাব দেয়, যার অনেকগুলোই পরস্পরবিরোধী।’ ওই সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির সমালোচনা করে বক্তৃতা করেন মন্ত্রী বানসাল, সনি ও আজাদ।
বানসাল বলেন, বিজেপির কৌশল ছিল ‘আন্না হাজারেকে সমর্থন ও বিলের বিরোধিতা।’ তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি পার্লামেন্ট অধিবেশনের শেষ দিন পর্যন্ত বিলের ওপর বিতর্ক চালিয়ে যাওয়ারও কৌশল নিয়েছিল।
সিংভি বিজেপির কৌশলের সমালোচনা করে বলেন, দলটি দ্বিমুখী আচরণ করেছে। তারা গণতন্ত্রের হত্যাকারী।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পার্লামেন্টের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে বিলটি পাস করা হবে। তার আগে মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসসহ অন্য দলগুলোর সঙ্গে কাজ করবে কংগ্রেস। অভিষেক সিংভি বলেন, ‘লোকপাল বিলের মৃত্যু হয়নি। এটা নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) বা জরুরি অবস্থায়ও নেই। বিলটি আবারও রাজ্যসভায় তোলা হবে।’
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবিকে সমর্থন করে বলেন, অধিবেশনের সময় বাড়ানো সম্ভব ছিল না। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কেন রাজ্যসভায় বক্তৃতা করেননি—এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বানসাল বলেন, এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা করার প্রয়োজন ছিল না।
সুষমা স্বরাজ অভিযোগ করেন, দুর্নীতিবিরোধী বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও লোকসভার নেতা প্রণব মুখার্জি নীরব ছিলেন। তিনি বলেন, রাজ্যসভার অধিবেশনের সময় বাড়ানো যেত। কিন্তু সরকার বিল পাস করতে চায়নি বলে অধিবেশনের সময় বাড়ায়নি। সুষমা বলেন, কংগ্রেস লোকসভায় হেরে গেছে, রাজ্যসভা থেকে পালিয়ে গেছে।
এই বাগ্যুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অম্বিকা সনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোলাম নবী আজাদ, আইনমন্ত্রী সালমান খুরশিদ, সংসদবিষয়ক মন্ত্রী পবন কুমার বানসাল, সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী, অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) মুখপাত্র ও লোকপাল স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অভিষেক সিংভির মতো নেতারা জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁরা এ বিল পাস না হওয়ার দায় চাপিয়েছেন বিজেপির ওপর। বাগ্যুদ্ধে নেমেছেন রাহুল গান্ধীও। উত্তর প্রদেশে এক সমাবেশে বিল পাস না হওয়ায় বিজেপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘লোকপাল বিল পাস না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
বিজেপিও থেমে নেই। লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা সুষমা স্বরাজ ও রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা অরুণ জেটলি কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, কংগ্রেসের আর ‘ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই’।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেন, ‘দুর্নীতিবিরোধী বিলটি পাস করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না বিজেপির। তাই তারা ১৮৭টি সংশোধনী প্রস্তাব দেয়, যার অনেকগুলোই পরস্পরবিরোধী।’ ওই সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির সমালোচনা করে বক্তৃতা করেন মন্ত্রী বানসাল, সনি ও আজাদ।
বানসাল বলেন, বিজেপির কৌশল ছিল ‘আন্না হাজারেকে সমর্থন ও বিলের বিরোধিতা।’ তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি পার্লামেন্ট অধিবেশনের শেষ দিন পর্যন্ত বিলের ওপর বিতর্ক চালিয়ে যাওয়ারও কৌশল নিয়েছিল।
সিংভি বিজেপির কৌশলের সমালোচনা করে বলেন, দলটি দ্বিমুখী আচরণ করেছে। তারা গণতন্ত্রের হত্যাকারী।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পার্লামেন্টের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে বিলটি পাস করা হবে। তার আগে মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসসহ অন্য দলগুলোর সঙ্গে কাজ করবে কংগ্রেস। অভিষেক সিংভি বলেন, ‘লোকপাল বিলের মৃত্যু হয়নি। এটা নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) বা জরুরি অবস্থায়ও নেই। বিলটি আবারও রাজ্যসভায় তোলা হবে।’
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবিকে সমর্থন করে বলেন, অধিবেশনের সময় বাড়ানো সম্ভব ছিল না। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কেন রাজ্যসভায় বক্তৃতা করেননি—এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বানসাল বলেন, এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা করার প্রয়োজন ছিল না।
সুষমা স্বরাজ অভিযোগ করেন, দুর্নীতিবিরোধী বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও লোকসভার নেতা প্রণব মুখার্জি নীরব ছিলেন। তিনি বলেন, রাজ্যসভার অধিবেশনের সময় বাড়ানো যেত। কিন্তু সরকার বিল পাস করতে চায়নি বলে অধিবেশনের সময় বাড়ায়নি। সুষমা বলেন, কংগ্রেস লোকসভায় হেরে গেছে, রাজ্যসভা থেকে পালিয়ে গেছে।
No comments