বিদায় স্টিভ জবস by রোকেয়া রহমান
স্টিভ জবস বিশ্বে এক নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। অসম্ভব মেধাবী এই প্রযুক্তিবিদের মৃত্যুতে গোটা তথ্যপ্রযুক্তির জগতে নেমে আসে শোকের ছায়া। তথ্যপ্রযুক্তির দিকপাল ও বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অ্যাপলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস গত ৫ অক্টোবর এ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। ৫৬ বছর বয়সে। ১৯৫৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সান ফ্রান্সিসকোতে জবসের জন্ম। বিচিত্র ও চ্যালেঞ্জিং জীবনের অধিকারী স্টিভ তাঁর সিরীয় মুসলমান বাবা ও আমেরিকান
মায়ের দ্বারা পরিত্যক্ত হওয়ার পর আর্মেনীয় অভিবাসী পল ও ক্লারা জবসের পালকপুত্র হিসেবে বেড়ে ওঠেন।
তিনি দারিদ্র্যের জন্য কলেজজীবন সমাপ্ত করতে পারেননি। বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত স্টিভ জীবনের শেষ সময়ে দুনিয়ার ৪২তম ধনী মানুষ ছিলেন, যাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা।
অথচ এ মানুষটিই তাঁর শৈশবে ক্যালিফোর্নিয়ার হিন্দু রামমন্দিরে যেতেন বিনা মূল্যে খাবার খেতে।
অ্যাপলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জবসের বুদ্ধিমত্তা, উৎসাহ ও কর্মোদ্যম অসংখ্য উদ্ভাবনের উৎস, যা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে এবং সবার জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়তা করেছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্টিভ জবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তাঁকে আমেরিকার ‘সবচেয়ে বড় উদ্ভাবক’ বলে অভিহিত করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘জবসের মতো মানুষ আমাদের পৃথিবীকে বদলে দিয়েছেন।’
বিল গেটস তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির জগতে প্রভাব বিস্তারকারী এক বিরল ব্যক্তিত্বকে প্রত্যক্ষ করেছে, যার প্রভাব শুধু এই প্রজন্মই নয়, পরবর্তী কয়েক প্রজন্মও অনুভব করবে। ১৯৭৬ সালে বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াককে সঙ্গে নিয়ে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেন স্টিভ জবস। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। দ্রুতই এটি বিশ্বের শীর্ষ কম্পিউটার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
২০০৪ সালে স্টিভ জবস ঘোষণা দেন, তিনি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত। অসুস্থতার কারণে স্টিভ জবস ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে ছিলেন। পরে অবশ্য স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান অ্যাপলে আবারও যোগ দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত গত আগস্টে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
তিনি দারিদ্র্যের জন্য কলেজজীবন সমাপ্ত করতে পারেননি। বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত স্টিভ জীবনের শেষ সময়ে দুনিয়ার ৪২তম ধনী মানুষ ছিলেন, যাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা।
অথচ এ মানুষটিই তাঁর শৈশবে ক্যালিফোর্নিয়ার হিন্দু রামমন্দিরে যেতেন বিনা মূল্যে খাবার খেতে।
অ্যাপলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জবসের বুদ্ধিমত্তা, উৎসাহ ও কর্মোদ্যম অসংখ্য উদ্ভাবনের উৎস, যা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে এবং সবার জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়তা করেছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্টিভ জবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তাঁকে আমেরিকার ‘সবচেয়ে বড় উদ্ভাবক’ বলে অভিহিত করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘জবসের মতো মানুষ আমাদের পৃথিবীকে বদলে দিয়েছেন।’
বিল গেটস তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির জগতে প্রভাব বিস্তারকারী এক বিরল ব্যক্তিত্বকে প্রত্যক্ষ করেছে, যার প্রভাব শুধু এই প্রজন্মই নয়, পরবর্তী কয়েক প্রজন্মও অনুভব করবে। ১৯৭৬ সালে বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াককে সঙ্গে নিয়ে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেন স্টিভ জবস। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। দ্রুতই এটি বিশ্বের শীর্ষ কম্পিউটার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
২০০৪ সালে স্টিভ জবস ঘোষণা দেন, তিনি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত। অসুস্থতার কারণে স্টিভ জবস ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে ছিলেন। পরে অবশ্য স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান অ্যাপলে আবারও যোগ দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত গত আগস্টে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
No comments