ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কত দূর? by মাহফুজার রহমান
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। বিশ্বজনমত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তবে ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেতে এবার শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য বিরোধিতা সত্ত্বেও জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে ফিলিস্তিন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে সেই আবেদন এখনো ঝুলে আছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গত ২৩
সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে সংস্থাটির সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানান। আবেদনে তিনি ১৯৬৭ সালের সীমানা নিয়ে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবির কথাও উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘের সদস্যপদ পেতে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া পার হয়ে যেতে হয়। সেই প্রক্রিয়া হলো: সদস্যপদ চেয়ে আবেদন করা হলে সেই আবেদন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হয়। পাঁচটি স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র (যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স) এবং অস্থায়ী ১০টি সদস্যরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা পরিষদে ওই আবেদন পাস হতে হয়। নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন পাস হতে ১৫টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে নয়টি সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন পেতে হবে। এ ছাড়া কোনো স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়া চলবে না। স্থায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র ভেটো দিলে নয়টি সদস্যরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি সমর্থন পেলেও আবেদন পাস হবে না। নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন পাস হলে তা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাঠানো হবে। সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন লাভ করলে আবেদন গৃহীত হয়।
কিন্তু ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাধা পার হওয়াই কঠিন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আগেই ঘোষণা দিয়েছে, ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্যপদ চেয়ে আবেদন করলে তারা ভেটো দেবে। এতে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলোর অবস্থান যা-ই হোক না কেন, জাতিসংঘের সদস্যপদ পেতে ফিলিস্তিনের যাত্রা সেখানেই শেষ হয়ে যাবে।
এরই মধ্যে গত অক্টোবর জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সদস্যপদ পেয়েছে ফিলিস্তিন। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটিতে চাঁদা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা করেছে। ইউনেসকোর বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশের জোগান দিত যুক্তরাষ্ট্র। মজার ব্যাপার হলো, ইউনেসকোর সদস্যপদ পেতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে নয়টি সদস্যরাষ্ট্র। স্থায়ী পাঁচ সদস্যের মধ্যে ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত থাকে। যুক্তরাষ্ট্র যথারীতি ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দেয়।
ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের ‘পর্যবেক্ষক ভূখণ্ডের’ (অবজারভার এনটিটি) মর্যাদা পেয়ে আসছে। তারা নিরাপত্তা পরিষদকে পাশ কাটিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ‘সদস্য নয় কিন্তু পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ (Non-member Observer State) মর্যাদা পেতে পারে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ মাহমুদ আব্বাসসহ ফিলিস্তিনের নেতারা। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য তাঁরা সংগ্রাম চালিয়ে যেতে চান শেষ অবধি।
জাতিসংঘের সদস্যপদ পেতে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া পার হয়ে যেতে হয়। সেই প্রক্রিয়া হলো: সদস্যপদ চেয়ে আবেদন করা হলে সেই আবেদন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হয়। পাঁচটি স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র (যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স) এবং অস্থায়ী ১০টি সদস্যরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা পরিষদে ওই আবেদন পাস হতে হয়। নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন পাস হতে ১৫টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে নয়টি সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন পেতে হবে। এ ছাড়া কোনো স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়া চলবে না। স্থায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র ভেটো দিলে নয়টি সদস্যরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি সমর্থন পেলেও আবেদন পাস হবে না। নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন পাস হলে তা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাঠানো হবে। সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন লাভ করলে আবেদন গৃহীত হয়।
কিন্তু ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাধা পার হওয়াই কঠিন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আগেই ঘোষণা দিয়েছে, ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্যপদ চেয়ে আবেদন করলে তারা ভেটো দেবে। এতে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলোর অবস্থান যা-ই হোক না কেন, জাতিসংঘের সদস্যপদ পেতে ফিলিস্তিনের যাত্রা সেখানেই শেষ হয়ে যাবে।
এরই মধ্যে গত অক্টোবর জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সদস্যপদ পেয়েছে ফিলিস্তিন। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটিতে চাঁদা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা করেছে। ইউনেসকোর বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশের জোগান দিত যুক্তরাষ্ট্র। মজার ব্যাপার হলো, ইউনেসকোর সদস্যপদ পেতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে নয়টি সদস্যরাষ্ট্র। স্থায়ী পাঁচ সদস্যের মধ্যে ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত থাকে। যুক্তরাষ্ট্র যথারীতি ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দেয়।
ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের ‘পর্যবেক্ষক ভূখণ্ডের’ (অবজারভার এনটিটি) মর্যাদা পেয়ে আসছে। তারা নিরাপত্তা পরিষদকে পাশ কাটিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ‘সদস্য নয় কিন্তু পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ (Non-member Observer State) মর্যাদা পেতে পারে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ মাহমুদ আব্বাসসহ ফিলিস্তিনের নেতারা। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য তাঁরা সংগ্রাম চালিয়ে যেতে চান শেষ অবধি।
No comments