রাজধানী থেকে আরও চারজন নিখোঁজ
রাজধানী থেকে আরও চার ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। গত ৮ ডিসেম্বর মিরপুর এলাকা থেকে তাঁরা নিখোঁজ হন। পরিবারগুলোর আশঙ্কা, তাঁরা গুপ্তহত্যার শিকার। তবে পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন: মিরপুর এলাকার কালাম শেখ (৪০), তাঁর মামাতো ভাই আবুল বাশার শেখ (৩২), আবদুর রহিম (৪০) ও যাত্রাবাড়ীর আতাউর রহমান ওরফে ইস্রাফিল (৩৮)। স্বজনেরা জানান, তাঁরা চারজনই একসঙ্গে পুরোনো কাপড়ের ব্যবসা করেন।
কালাম শেখ কাপড় কিনে আনেন। অন্য তিনজন মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সেগুলো বিক্রি করেন। গত ৮ ডিসেম্বর সকালে ব্যবসার কাজে তাঁরা বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। এর পর থেকে কোনো খোঁজ নেই। স্বজনেরা বলতে পারছেন না, কোন জায়গা থেকে তাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন বা কেউ ধরে নিয়ে গেছে কি না।
কালাম শেখের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, পল্লবী থানাধীন মিরপুর ১১ নম্বরে থাকেন তাঁরা। অন্য তিনজন তাঁর স্বামীর সঙ্গে ব্যবসা করেন। আনোয়ারা জানান, সাধারণত সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বেলা তিনটার মধ্যে বাসায় খেতে আসেন। ওই দিন দুপুরে খেতে না আসায় আনোয়ারা বিকেল চারটার দিকে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু ফোন বন্ধ পান। এর পর থেকে ওই ফোনটি আর খোলেনি। আনোয়ারা থানায় থানায় ঘুরেছেন, কোথাও লাশ উদ্ধারের কথা শুনলেই ছুটে গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ, মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল মর্গ, টাঙ্গাইল হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় স্বামীর খোঁজে গেছেন, কিন্তু পাননি। র্যাব, পুলিশ, ডিবিও কোনো খোঁজ দিতে পারেনি।
আবুল বাশারের ভাই বাবুল শেখ বলেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় গেছেন। কিন্তু ভাইকে পাননি। কারও সঙ্গে শত্রুতা আছে কি না, সেটাও তাঁর জানা নেই।
আবদুর রহিমের স্ত্রী আমেনা বেগমও অনেক ঘুরেছেন। পল্লবী থানায় জিডি করেছেন। কিন্তু স্বামীর খোঁজ পাননি। আমেনা বলেন, ‘ভাই, আমি মাইনষের বাড়ি কাম করি। বাচ্চা দুইডাও ছোড। বাপ ছাড়া আমি হ্যাগোরে ক্যামনে পালুম।’
আতাউর রহমানের স্ত্রী নাদিরা সুলতানা বলেন, বাসা যাত্রাবাড়ীতে হলেও আতাউর প্রতিদিনই মিরপুরে আসতেন। ওই দিন সকালেও মিরপুরে আসার জন্য বের হন। খোঁজ না পাওয়ায় কদমতলী থানায় তিনি জিডি করেছেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। কিছু বলতে পারেননি পল্লবী থানার ওসি শাহাবুদ্দীন খলিফাও।
নিখোঁজ চারজনের মধ্যে রহিম ছাড়া অন্য তিনজনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নে। এ বিষয়ে রাজৈর থানার পুলিশ জানায়, রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর, লুন্দি ও এর আশপাশের কয়েকটি গ্রাম চাঁদাবাজদের আখড়া। এরা বিভিন্ন সন্ত্রাসীর নাম ভাঙিয়ে টেলিফোনে চাঁদা দাবি করে থাকে। স্থানীয় ভাষায় এটাকে বলা হয় ‘হ্যালো ব্যবসা’। এই হ্যালো ব্যবসার সঙ্গে নিখোঁজ ব্যক্তিদের কোনো সম্পর্ক বা বিরোধ থাকতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ কারণে তাঁরা পালিয়ে থাকতে পারেন।
রাজৈর থানার ওসি নওশের আলী প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের অপরাধীরা সাধারণত বড় কোনো দান মারতে পারলে ২০-২৫ দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। তাঁর ধারণা, এঁদের ক্ষেত্রেও এ রকমটি হতে পারে। তবে পুলিশ নিশ্চিত নয়।
কালাম শেখের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, পল্লবী থানাধীন মিরপুর ১১ নম্বরে থাকেন তাঁরা। অন্য তিনজন তাঁর স্বামীর সঙ্গে ব্যবসা করেন। আনোয়ারা জানান, সাধারণত সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বেলা তিনটার মধ্যে বাসায় খেতে আসেন। ওই দিন দুপুরে খেতে না আসায় আনোয়ারা বিকেল চারটার দিকে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু ফোন বন্ধ পান। এর পর থেকে ওই ফোনটি আর খোলেনি। আনোয়ারা থানায় থানায় ঘুরেছেন, কোথাও লাশ উদ্ধারের কথা শুনলেই ছুটে গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ, মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল মর্গ, টাঙ্গাইল হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় স্বামীর খোঁজে গেছেন, কিন্তু পাননি। র্যাব, পুলিশ, ডিবিও কোনো খোঁজ দিতে পারেনি।
আবুল বাশারের ভাই বাবুল শেখ বলেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় গেছেন। কিন্তু ভাইকে পাননি। কারও সঙ্গে শত্রুতা আছে কি না, সেটাও তাঁর জানা নেই।
আবদুর রহিমের স্ত্রী আমেনা বেগমও অনেক ঘুরেছেন। পল্লবী থানায় জিডি করেছেন। কিন্তু স্বামীর খোঁজ পাননি। আমেনা বলেন, ‘ভাই, আমি মাইনষের বাড়ি কাম করি। বাচ্চা দুইডাও ছোড। বাপ ছাড়া আমি হ্যাগোরে ক্যামনে পালুম।’
আতাউর রহমানের স্ত্রী নাদিরা সুলতানা বলেন, বাসা যাত্রাবাড়ীতে হলেও আতাউর প্রতিদিনই মিরপুরে আসতেন। ওই দিন সকালেও মিরপুরে আসার জন্য বের হন। খোঁজ না পাওয়ায় কদমতলী থানায় তিনি জিডি করেছেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। কিছু বলতে পারেননি পল্লবী থানার ওসি শাহাবুদ্দীন খলিফাও।
নিখোঁজ চারজনের মধ্যে রহিম ছাড়া অন্য তিনজনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নে। এ বিষয়ে রাজৈর থানার পুলিশ জানায়, রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর, লুন্দি ও এর আশপাশের কয়েকটি গ্রাম চাঁদাবাজদের আখড়া। এরা বিভিন্ন সন্ত্রাসীর নাম ভাঙিয়ে টেলিফোনে চাঁদা দাবি করে থাকে। স্থানীয় ভাষায় এটাকে বলা হয় ‘হ্যালো ব্যবসা’। এই হ্যালো ব্যবসার সঙ্গে নিখোঁজ ব্যক্তিদের কোনো সম্পর্ক বা বিরোধ থাকতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ কারণে তাঁরা পালিয়ে থাকতে পারেন।
রাজৈর থানার ওসি নওশের আলী প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের অপরাধীরা সাধারণত বড় কোনো দান মারতে পারলে ২০-২৫ দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। তাঁর ধারণা, এঁদের ক্ষেত্রেও এ রকমটি হতে পারে। তবে পুলিশ নিশ্চিত নয়।
No comments