যুক্তরাষ্ট্রকে গোপন চিঠি-সুজা-হাক্কানি-ইজাজকে তলব করছে সংসদীয় কমিটি
পাকিস্তানে সম্ভাব্য সামরিক অভ্যুত্থান ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়ে পাঠানো গোপন চিঠির (মেমো) বিষয়টি তদন্তে গঠিত সংসদীয় কমিটির সামনে তিনজনকে তলব করা হচ্ছে। তাঁরা হলেন: যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজ ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান লে. জেনারেল সুজা আহমেদ পাশা। গত মে মাসে পাকিস্তানে মার্কিন কমান্ডোদের অভিযানে নিহত হন আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন
লাদেন। ওই ঘটনার পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে—এমন আশঙ্কায় পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য কামনা করে সরকারের পক্ষ থেকে একটি গোপন চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ তদন্তে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির নির্দেশে একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জ্যেষ্ঠ নেতা রেজা রাব্বানি জানিয়েছেন, হাক্কানি, ইজাজ ও পাশাকে কমিটির সামনে হাজির হয়ে ওই গোপন চিঠির বিষয়ে তাঁদের মতামত দিতে হবে। প্রত্যেককে আলাদাভাবে কমিটির সামনে হাজির হতে হবে।
আগামী ১০ জানুয়ারির আগে অনুষ্ঠিতব্য কমিটির পরবর্তী বৈঠকের পর তিনজনকে তলব করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রেজা রাব্বানি বলেন, ‘ওই মেমোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের নথিপত্র কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে।’
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মনসুর ইজাজকে তলব করার জন্য স্বীকৃত কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করা হবে বলে জানান রাব্বানি।
এদিকে গোপন চিঠির বিষয়টি তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট গত শুক্রবার তিন বিচারকের সমন্বয়ে পৃথক একটি কমিশন গঠন করেছেন। ওই কমিশনকে চার সপ্তাহের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
গত অক্টোবরে ফিন্যানশিয়াল টাইমস পত্রিকায় এক নিবন্ধে ‘গোপন চিঠি’র বিষয়টি ফাঁস করেন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজ। তিনি দাবি করেন, রাষ্ট্রদূত হাক্কানির নির্দেশেই তিনি চিঠিটি লেখেন এবং মার্কিন সেনা কর্মকর্তার কাছে তা পৌঁছে দেন।
গোপন চিঠির জের ধরে পাকিস্তানের বেসামরিক সরকার ও সামরিক বাহিনী এখন মুখোমুখি অবস্থানে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রদূত হাক্কানি পদত্যাগ করেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট জারদারি ও হাক্কানি উভয়েই এমন কোনো গোপন চিঠির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। পিটিআই।
কমিটির প্রধান ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জ্যেষ্ঠ নেতা রেজা রাব্বানি জানিয়েছেন, হাক্কানি, ইজাজ ও পাশাকে কমিটির সামনে হাজির হয়ে ওই গোপন চিঠির বিষয়ে তাঁদের মতামত দিতে হবে। প্রত্যেককে আলাদাভাবে কমিটির সামনে হাজির হতে হবে।
আগামী ১০ জানুয়ারির আগে অনুষ্ঠিতব্য কমিটির পরবর্তী বৈঠকের পর তিনজনকে তলব করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রেজা রাব্বানি বলেন, ‘ওই মেমোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের নথিপত্র কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে।’
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মনসুর ইজাজকে তলব করার জন্য স্বীকৃত কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করা হবে বলে জানান রাব্বানি।
এদিকে গোপন চিঠির বিষয়টি তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট গত শুক্রবার তিন বিচারকের সমন্বয়ে পৃথক একটি কমিশন গঠন করেছেন। ওই কমিশনকে চার সপ্তাহের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
গত অক্টোবরে ফিন্যানশিয়াল টাইমস পত্রিকায় এক নিবন্ধে ‘গোপন চিঠি’র বিষয়টি ফাঁস করেন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজ। তিনি দাবি করেন, রাষ্ট্রদূত হাক্কানির নির্দেশেই তিনি চিঠিটি লেখেন এবং মার্কিন সেনা কর্মকর্তার কাছে তা পৌঁছে দেন।
গোপন চিঠির জের ধরে পাকিস্তানের বেসামরিক সরকার ও সামরিক বাহিনী এখন মুখোমুখি অবস্থানে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রদূত হাক্কানি পদত্যাগ করেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট জারদারি ও হাক্কানি উভয়েই এমন কোনো গোপন চিঠির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। পিটিআই।
No comments