কোনো রকমে হার এড়াল বাংলাদেশ-সনৎ বাবলা,
দর্শকশূন্য নেহরু স্টেডিয়ামে তাঁদের উদ্দীপ্ত করার কেউ ছিল না। শরীরী ভাষায় ছিল না তাদের জয়-স্পৃহা। ছিল না যথেষ্ট মনঃসংযোগ। সব শূন্যতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে চিঁড়েচ্যাপ্টা বাংলাদেশ কোনোরকমে হার এড়িয়ে শুরু করল সপ্তম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল।এ এক অচেনা বাংলাদেশ। পাঁচ মাস আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করা প্রতিপক্ষ নয়। লেবাননকে হারিয়ে তোলপাড় ফেলা দল নয়। মুখচেনা সদস্যরা কমবেশি ওই দলেরই, কিন্তু
কাল মাঠের খেলায় তাঁরা ভীষণ অচেনা হয়ে গেলেন। কমল-মিশু বাদ দিলে বাকিদের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। যাঁর হাতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড সেই সুজনের শরীরী ভাষা দেখে বোঝার উপায় নেই তাঁরা জয়ের জন্য নেমেছেন। দৌড়ে পারেন না, লড়াইয়ে পারেন না। এই না-পারার সঙ্গে বলের ফ্লাইট মিস করে মাঝেমধ্যে তাল মিলিয়েছেন গোলরক্ষক সোহেলও। আবার তিনিই ত্রাতা, দু-দুটো দুর্দান্ত সেভের সুবাদে ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়ে বেঁচে আছে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের আশা।
শুরু থেকেই ভুলে-ভরা এক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। নিচ থেকে মাঝমাঠ পর্যন্ত ঠিকঠাক হয় কিন্তু তারপর গিয়ে সব এলোমেলো। পাসিং ঠিক হয় না, তাতে করে আক্রমণে বিনিসুতোর মালাও তৈরি করা যায়নি। আর সেই সুতো ছেঁড়া মানেই হুমকির মুখে বাংলাদেশ ডিফেন্স। তারা দৌড়ে পেরে ওঠে না পাকিস্তানি অ্যাটাকারদের সঙ্গে দৌড়ে, পেরে ওঠে না ক্লিশে শরীর নিয়ে দীর্ঘদেহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে। তাতে হার মেনে ৩০ মিনিটে একবার গোল খাওয়ার সব আয়োজন করে রেখেছিল। ডান দিক থেকে পাঠানো জাদিদ খানের মাইনাসে গোলরক্ষক সোহেল পরাস্ত হলে পোস্টের সামনে ফাঁকায় পেয়েও ফয়সাল ইকবাল পোস্টে রাখতে পারেননি বল। বেঁচে গিয়ে বাংলাদেশ চেষ্টা করে যায় নিজেদের ছন্দে ফেরাতে। আবদুল বাতেন কোমল প্রান্ত বদল করে ডানে গিয়ে দু-দুটো ভালো আক্রমণের জোগান দিলেও ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় সতীর্থরা না থাকায় বিফলে গেছে। চমৎকার সুযোগ বললে সেটি পেয়েছে ৪৫ মিনিটে, গোল পোস্টের অবিমৃশ্যকারিতায় যা বিফলে গেছে। কোমলের কর্নারে আরিফুলের দারুণ হেডটি ক্রসবার ঠেকিয়ে দিয়েছে, তারপর ফিরতি বলে এমিলি তিনবার চেষ্টা করলেও প্রতিবারই সামনে দাঁড়ানো ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে পাকিস্তান বেঁচে যায়।
যাই হোক, বাংলাদেশ অন্তত একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করে প্রথমার্ধ শেষ করেছে। এটাই তো হতে পারত দ্বিতীয়ার্ধের উজ্জীবনি বটিকা। এ জন্য এই অর্ধের শুরুতে দুটো বদলি করেছিলেন কোচ। ফরোয়ার্ড এমিলির জায়গায় নামেন মিডফিল্ডার মিশু এবং অনীকের বদলি মিঠুন চৌধুরী। কিন্তু নিটফল শূন্য, পুরো দল স্নায়ুচাপের কাছে নিজেদের এতটাই সঁপে দিয়েছেন, কোনোভাবে নিজেদের ফেরাতে পারেননি। তাই ছন্দহারা হয়েই খেলেছে পুরো দল। এর মধ্যে ৭৫ মিনিটে মামুনুলের মাধ্যমে দারুণ এক আক্রমণের সূচনা হয়ে যায়। বাঁ দিকে বলটি আয়ত্তে নিয়ে আতিকুর রহমান মিশু ঠেলেন পাকিস্তানের ডিফেন্সে কিন্তু মিঠুনের ভলি পোস্টে ঢোকার মুখে জাফর খান কোনোরকমে সেভ করেন কর্নারের বিনিময়ে। গোল না হলেও এমন একটি অ্যাটাকে সাধারণত আত্মবিশ্বাস ফেরার কথা। কিন্তু ফেরেনি, যথারীতি এলেমেলো এবং মিনিট দুয়েক পরেই ন্যক্কারজনক ডিফেন্ডিং করে গোল সাজিয়ে দেয় কলিমুল্লাহকে। সুজন-রেজাউল-আরিফের মাঝ দিয়ে তিনি বল নিয়ে গেলেও সর্বশেষ প্রহরী সোহেল তাঁকে আটকান। কলিমুল্লাহর শট অবিশ্বাস্য সেভ করেছেন এ বাংলাদেশি গোলরক্ষক। ৯০ মিনিটে আবার এ গোলরক্ষকই নড়বড়ে, হাসনাইন আব্বাসের শট তাঁর গ্রিপ ফসকে গেলে সেই বলটি শাকির খালি পোস্টে রাখতে পারেননি বলেই রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। খেলা শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগেও তাদের ম্যাচ হারার আয়োজন হয়ে গিয়েছিল। জাদিদের শটে ফ্লাইট মিস করে সোহেল ভূপাতিত, বল রওনা দিয়েছে গোলমুখী কিন্তু রেজাউল দৌড়ে গিয়ে শেষ মুহূর্তে মান বাঁচিয়েছেন বাংলাদেশের।
সাফে পাকিস্তানের কাছে না হারার ইতিহাস সুরক্ষিত রইল বাংলাদেশের। বেঁচে রইল সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। তবে সেই স্বপ্ন ঝাঁকুনি খেল ভীষণভাবে। কারণ এই বাংলাদেশ ছন্দহীন, আত্মবিশ্বাসহীন ও মনোসংযোগহীন। দলের চরিত্র না পাল্টালে স্বপ্নভঙ্গ আসন্ন। ঘরের মাঠ দুর্বার হয়ে ওঠার অভ্যাসটা তারা ভিন দেশে বজায় রাখতে পারলেই টিকে থাকবে সাফের উচ্চাশা।
বাংলাদেশ : সোহেল, নাসির, সুজন, আরিফুল, রেজাউল, প্রাণতোষ, শাহেদ (ইমন বাবু), মামুনুল, কোমল, মিশু, অনিক (মিঠুন) ও এমিলি (মিশু)।
শুরু থেকেই ভুলে-ভরা এক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। নিচ থেকে মাঝমাঠ পর্যন্ত ঠিকঠাক হয় কিন্তু তারপর গিয়ে সব এলোমেলো। পাসিং ঠিক হয় না, তাতে করে আক্রমণে বিনিসুতোর মালাও তৈরি করা যায়নি। আর সেই সুতো ছেঁড়া মানেই হুমকির মুখে বাংলাদেশ ডিফেন্স। তারা দৌড়ে পেরে ওঠে না পাকিস্তানি অ্যাটাকারদের সঙ্গে দৌড়ে, পেরে ওঠে না ক্লিশে শরীর নিয়ে দীর্ঘদেহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে। তাতে হার মেনে ৩০ মিনিটে একবার গোল খাওয়ার সব আয়োজন করে রেখেছিল। ডান দিক থেকে পাঠানো জাদিদ খানের মাইনাসে গোলরক্ষক সোহেল পরাস্ত হলে পোস্টের সামনে ফাঁকায় পেয়েও ফয়সাল ইকবাল পোস্টে রাখতে পারেননি বল। বেঁচে গিয়ে বাংলাদেশ চেষ্টা করে যায় নিজেদের ছন্দে ফেরাতে। আবদুল বাতেন কোমল প্রান্ত বদল করে ডানে গিয়ে দু-দুটো ভালো আক্রমণের জোগান দিলেও ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় সতীর্থরা না থাকায় বিফলে গেছে। চমৎকার সুযোগ বললে সেটি পেয়েছে ৪৫ মিনিটে, গোল পোস্টের অবিমৃশ্যকারিতায় যা বিফলে গেছে। কোমলের কর্নারে আরিফুলের দারুণ হেডটি ক্রসবার ঠেকিয়ে দিয়েছে, তারপর ফিরতি বলে এমিলি তিনবার চেষ্টা করলেও প্রতিবারই সামনে দাঁড়ানো ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে পাকিস্তান বেঁচে যায়।
যাই হোক, বাংলাদেশ অন্তত একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করে প্রথমার্ধ শেষ করেছে। এটাই তো হতে পারত দ্বিতীয়ার্ধের উজ্জীবনি বটিকা। এ জন্য এই অর্ধের শুরুতে দুটো বদলি করেছিলেন কোচ। ফরোয়ার্ড এমিলির জায়গায় নামেন মিডফিল্ডার মিশু এবং অনীকের বদলি মিঠুন চৌধুরী। কিন্তু নিটফল শূন্য, পুরো দল স্নায়ুচাপের কাছে নিজেদের এতটাই সঁপে দিয়েছেন, কোনোভাবে নিজেদের ফেরাতে পারেননি। তাই ছন্দহারা হয়েই খেলেছে পুরো দল। এর মধ্যে ৭৫ মিনিটে মামুনুলের মাধ্যমে দারুণ এক আক্রমণের সূচনা হয়ে যায়। বাঁ দিকে বলটি আয়ত্তে নিয়ে আতিকুর রহমান মিশু ঠেলেন পাকিস্তানের ডিফেন্সে কিন্তু মিঠুনের ভলি পোস্টে ঢোকার মুখে জাফর খান কোনোরকমে সেভ করেন কর্নারের বিনিময়ে। গোল না হলেও এমন একটি অ্যাটাকে সাধারণত আত্মবিশ্বাস ফেরার কথা। কিন্তু ফেরেনি, যথারীতি এলেমেলো এবং মিনিট দুয়েক পরেই ন্যক্কারজনক ডিফেন্ডিং করে গোল সাজিয়ে দেয় কলিমুল্লাহকে। সুজন-রেজাউল-আরিফের মাঝ দিয়ে তিনি বল নিয়ে গেলেও সর্বশেষ প্রহরী সোহেল তাঁকে আটকান। কলিমুল্লাহর শট অবিশ্বাস্য সেভ করেছেন এ বাংলাদেশি গোলরক্ষক। ৯০ মিনিটে আবার এ গোলরক্ষকই নড়বড়ে, হাসনাইন আব্বাসের শট তাঁর গ্রিপ ফসকে গেলে সেই বলটি শাকির খালি পোস্টে রাখতে পারেননি বলেই রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। খেলা শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগেও তাদের ম্যাচ হারার আয়োজন হয়ে গিয়েছিল। জাদিদের শটে ফ্লাইট মিস করে সোহেল ভূপাতিত, বল রওনা দিয়েছে গোলমুখী কিন্তু রেজাউল দৌড়ে গিয়ে শেষ মুহূর্তে মান বাঁচিয়েছেন বাংলাদেশের।
সাফে পাকিস্তানের কাছে না হারার ইতিহাস সুরক্ষিত রইল বাংলাদেশের। বেঁচে রইল সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। তবে সেই স্বপ্ন ঝাঁকুনি খেল ভীষণভাবে। কারণ এই বাংলাদেশ ছন্দহীন, আত্মবিশ্বাসহীন ও মনোসংযোগহীন। দলের চরিত্র না পাল্টালে স্বপ্নভঙ্গ আসন্ন। ঘরের মাঠ দুর্বার হয়ে ওঠার অভ্যাসটা তারা ভিন দেশে বজায় রাখতে পারলেই টিকে থাকবে সাফের উচ্চাশা।
বাংলাদেশ : সোহেল, নাসির, সুজন, আরিফুল, রেজাউল, প্রাণতোষ, শাহেদ (ইমন বাবু), মামুনুল, কোমল, মিশু, অনিক (মিঠুন) ও এমিলি (মিশু)।
No comments