দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন-আল-কায়েদার নেতারা আফ্রিকায় চলে যাচ্ছেন
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার নেতারা পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ছেড়ে উত্তর আফ্রিকায় চলে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) হামলায় সংগঠনটির প্রধান ওসামা বিন লাদেনসহ বেশ কয়েকজন নেতা নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটির নেতারা ওই এলাকা ছাড়ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, আগামী বছর
বড় ধরনের অভিযান চালালে পাকিস্তানের অবশিষ্ট আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতারা নিহত হবেন। একজন কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাত ড্রোন হামলায় আল-কায়েদার অনেক জ্যেষ্ঠ সদস্য নিহত হয়েছেন। এখন কয়েকজন মুষ্টিমেয় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জীবিত আছেন। গত মে মাসে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে বিন লাদেন নিহত হন।
সূত্রগুলো জানায়, অন্তত দুজন জ্যেষ্ঠ আল-কায়েদা নেতা লিবিয়ায় চলে গেছেন। অন্যরাও একই গন্তব্যের পথে রয়েছেন। এতে করে উত্তর আফ্রিকা ‘জিহাদের নতুন নাট্যমঞ্চে’ পরিণত হতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
একটি সূত্র বলেছে, ‘উত্তর আফ্রিকা থেকে খুবই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি গোষ্ঠী কয়েক বছরের জন্য আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে ঘাঁটি স্থাপনের পর আবার মধ্যপ্রাচ্যে ফিরে গেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাটো জোট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে বা আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে সেখানে ন্যাটো জোট বৃহত্তর নিরাপত্তার বিধান করতে পারে, এ কারণেই আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে উত্তর আফ্রিকায় আল-কায়েদার সদস্যরা ফিরে যাচ্ছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় আল-কায়েদার অস্থায়ী ঘাঁটিগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকদের যোগ দেওয়ার হিড়িক এখন খুব সামন্যই দেখা যায়। এটা আল-কায়েদার জন্য এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমি মনে করি আল-কায়েদা সত্যিই সেখানে দুর্বল হয়ে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আল-কায়েদা সেখানকার জন্য হুমকি নয়, তা বলা না গেলেও তারা আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে।’
গোয়েন্দা সূত্রগুলো গার্ডিয়ানকে বলেছে, তাদের ধারণা, বর্তমানে আফগানিস্তানে আল-কায়েদা বা আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট ১০০-এরও কম জঙ্গি রয়েছে।
হাক্কানি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই জঙ্গি সংগঠনটি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে বলে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, হাক্কানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়াটা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জন্য ভালো কিছু হবে না। অভিযান চালাতে গিয়ে সামরিক বাহিনী যদি বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় এবং হাক্কানিকে নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা সংগঠনটির ওপর কর্তৃত্ব হারাবে। আর যদি সামরিক বাহিনীর অভিযান সফল হয় তাহলে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ’ হারাবে।
সূত্রগুলো জানায়, অন্তত দুজন জ্যেষ্ঠ আল-কায়েদা নেতা লিবিয়ায় চলে গেছেন। অন্যরাও একই গন্তব্যের পথে রয়েছেন। এতে করে উত্তর আফ্রিকা ‘জিহাদের নতুন নাট্যমঞ্চে’ পরিণত হতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
একটি সূত্র বলেছে, ‘উত্তর আফ্রিকা থেকে খুবই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি গোষ্ঠী কয়েক বছরের জন্য আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে ঘাঁটি স্থাপনের পর আবার মধ্যপ্রাচ্যে ফিরে গেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাটো জোট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে বা আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে সেখানে ন্যাটো জোট বৃহত্তর নিরাপত্তার বিধান করতে পারে, এ কারণেই আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে উত্তর আফ্রিকায় আল-কায়েদার সদস্যরা ফিরে যাচ্ছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় আল-কায়েদার অস্থায়ী ঘাঁটিগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকদের যোগ দেওয়ার হিড়িক এখন খুব সামন্যই দেখা যায়। এটা আল-কায়েদার জন্য এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমি মনে করি আল-কায়েদা সত্যিই সেখানে দুর্বল হয়ে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আল-কায়েদা সেখানকার জন্য হুমকি নয়, তা বলা না গেলেও তারা আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে।’
গোয়েন্দা সূত্রগুলো গার্ডিয়ানকে বলেছে, তাদের ধারণা, বর্তমানে আফগানিস্তানে আল-কায়েদা বা আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট ১০০-এরও কম জঙ্গি রয়েছে।
হাক্কানি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই জঙ্গি সংগঠনটি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে বলে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, হাক্কানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়াটা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জন্য ভালো কিছু হবে না। অভিযান চালাতে গিয়ে সামরিক বাহিনী যদি বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় এবং হাক্কানিকে নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা সংগঠনটির ওপর কর্তৃত্ব হারাবে। আর যদি সামরিক বাহিনীর অভিযান সফল হয় তাহলে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ’ হারাবে।
No comments