রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাবে বিএনপি
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে মতামত দিতে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। একই সঙ্গে আমন্ত্রণ পাওয়া চারদলীয় জোটের শরিক ও নতুন মিত্ররা সংলাপে যোগ দেবে। গতকাল সোমবার রাতে চার দলের শীর্ষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সংলাপে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'সংলাপে বিএনপির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল
যাবে।' সূত্র জানায়, বৈঠকে 'সর্বদলীয় জাতীয়তাবাদী ঐক্যজোট' নামে চারদলীয় জোট সম্প্রসারণের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আগামী ১১ জানুয়ারি বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ১২ জানুয়ারি। গতকাল উভয় দলের সাধারণ সম্পাদক ও মহাসচিব বরাবর সংলাপের আমন্ত্রণপত্র পাঠান রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান। এছাড়া চারদলীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটকে আগামী ১ জানুয়ারি, ২ জানুুয়ারি বিজেপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়। চার দলের নতুন মিত্র লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিকে) সঙ্গে আজ সংলাপ করবেন রাষ্ট্রপতি। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণের লাভ-লোকসান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে শরিক দলগুলো সংলাপে যাওয়ার বিষয়ে মতামত দেন। সবার মতামত শুনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও সংলাপে যাওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। বৈঠকে সংলাপে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল করার বিষয়ে মত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রপতিকে তারা যুক্তি দেবেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনই এর প্রমাণ। কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েন চাইলেও সরকার দেয়নি। তাই আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সূত্র মতে, চারদলীয় জোটের শরিক দলগুলো জামায়াতকেও সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানাবে।
বিরোধী দলের সংলাপে যোগ দেওয়া না দেওয়া নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার মধ্যে গত ২০ ডিসেম্বর সূত্রের বরাত দিয়ে 'রাষ্ট্রপতির সংলাপে যোগ দেবে বিএনপি' শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করেছিল সমকাল। অবশ্য গতকাল বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে।
সূত্র জানায়, আগামী ৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ শেষে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ নিয়েও আলোচনা করেন নেতারা। আরও কয়েকদিন পরে নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে চার দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয়বস্তু নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাত ৯টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সংলাপ ছাড়াও চার দলের জোট সম্প্রসারণ, চট্টগ্রামের রোডমার্চ ও লিয়াজোঁ কমিটি গঠন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।
জানা গেছে, বৈঠকে চার দল সম্প্রসারণ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর চার দলের পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকে জোট সম্প্রসারণ করে সর্বদলীয় জাতীয়তাবাদী ঐক্যজোট নাম করার প্রস্তাব রয়েছে।
মির্জা ফখরুল জানান, শিগগিরই চারদলীয় জোটের সম্প্রসারণ হবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর রাতে চার দলের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বৈঠকেই কোনো কোনো দল জোটে অন্তর্ভুক্ত হবে- সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জোটের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, জোটে নতুন সম্পৃক্ততার বিষয়ে তাদের কিছুটা আপত্তি রয়েছে। শুধু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলকে অন্তর্ভুক্ত করে লাভ হবে না। আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে তারা বক্তব্য তুলে ধরবেন। জানা গেছে, জোটের বৈঠকের আগে চার দলের শরিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। তারা একসঙ্গে তাদের আপত্তি তুলে ধরবেন।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মজিবুর রহমান, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, মহাসচিব শামীম আল মামুন, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়েজউল্লাহ, জমিয়তে উলামা ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
গরিব ও দুস্থদের মাঝে খালেদা জিয়ার শীতবস্ত্র বিতরণ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গতকাল মধ্যরাতে গরিব ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। রাত ১২টার পর বনানী ওয়্যারলেস, গুলশান ও বনানী এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। এ সময় দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণের লাভ-লোকসান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে শরিক দলগুলো সংলাপে যাওয়ার বিষয়ে মতামত দেন। সবার মতামত শুনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও সংলাপে যাওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। বৈঠকে সংলাপে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল করার বিষয়ে মত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রপতিকে তারা যুক্তি দেবেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনই এর প্রমাণ। কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েন চাইলেও সরকার দেয়নি। তাই আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সূত্র মতে, চারদলীয় জোটের শরিক দলগুলো জামায়াতকেও সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানাবে।
বিরোধী দলের সংলাপে যোগ দেওয়া না দেওয়া নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার মধ্যে গত ২০ ডিসেম্বর সূত্রের বরাত দিয়ে 'রাষ্ট্রপতির সংলাপে যোগ দেবে বিএনপি' শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করেছিল সমকাল। অবশ্য গতকাল বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে।
সূত্র জানায়, আগামী ৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ শেষে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ নিয়েও আলোচনা করেন নেতারা। আরও কয়েকদিন পরে নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে চার দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয়বস্তু নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাত ৯টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সংলাপ ছাড়াও চার দলের জোট সম্প্রসারণ, চট্টগ্রামের রোডমার্চ ও লিয়াজোঁ কমিটি গঠন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।
জানা গেছে, বৈঠকে চার দল সম্প্রসারণ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর চার দলের পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকে জোট সম্প্রসারণ করে সর্বদলীয় জাতীয়তাবাদী ঐক্যজোট নাম করার প্রস্তাব রয়েছে।
মির্জা ফখরুল জানান, শিগগিরই চারদলীয় জোটের সম্প্রসারণ হবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর রাতে চার দলের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বৈঠকেই কোনো কোনো দল জোটে অন্তর্ভুক্ত হবে- সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জোটের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, জোটে নতুন সম্পৃক্ততার বিষয়ে তাদের কিছুটা আপত্তি রয়েছে। শুধু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলকে অন্তর্ভুক্ত করে লাভ হবে না। আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে তারা বক্তব্য তুলে ধরবেন। জানা গেছে, জোটের বৈঠকের আগে চার দলের শরিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। তারা একসঙ্গে তাদের আপত্তি তুলে ধরবেন।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মজিবুর রহমান, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, মহাসচিব শামীম আল মামুন, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়েজউল্লাহ, জমিয়তে উলামা ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
গরিব ও দুস্থদের মাঝে খালেদা জিয়ার শীতবস্ত্র বিতরণ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গতকাল মধ্যরাতে গরিব ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। রাত ১২টার পর বনানী ওয়্যারলেস, গুলশান ও বনানী এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। এ সময় দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments