মতবিনিময় সভা-উড়ালসড়ক নয়, দরকার রেল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন
নগরের যাতায়াতব্যবস্থার উন্নয়নে উড়ালসড়কের (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) পরিবর্তে রেল-যোগাযোগের বিদ্যমান ব্যবস্থার উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীতে গতকাল সোমবার এক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা এ আহ্বান জানান। তাঁদের মতে, ১১ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত ২৬ কিলোমিটার উড়ালসড়ক রাজধানীতে যানজট, ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য, দূষণ ও জ্বালানি-নির্ভরতা বাড়াবে। জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ঢাকার যাতায়াতব্যবস্থা: চলমান
পদক্ষেপসমূহ এবং আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট।
বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত দ্রুতগতির উড়ালপথের কারণে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেলওয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন বসানো সম্ভব হবে না। এর পরিবর্তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভালো মানের কমিউটার ট্রেন চালু এবং প্রয়োজনীয় রেললাইন স্থাপন জরুরি। পাশাপাশি উড়ালপথের চেয়ে অনেক কম খরচে ঢাকায় বাস সার্ভিস, হাঁটার সুব্যবস্থা ও জ্বালানিমুক্ত যানের সমন্বয়ে সুষ্ঠু যাতায়াতব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার।
সভায় মূল প্রবন্ধে পরিবহন বিশেষজ্ঞ মাহবুবুল বারী বলেন, ঢাকায় উড়ালসড়কসহ বড় বড় সব প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ হেঁটে, রিকশায়, বাসে, রেলসহ অন্যান্য গণপরিবহনে যাতায়াত করলেও তার জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই।
মতবিনিমিয় সভায় সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের অধ্যাপক সারোয়ার জাহান। তিনি বলেন, ঢাকার ওপর চাপ কমাতে দেশের অন্যান্য শহরে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে হবে। মোটকথা, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি।
ঢাকার যাতায়াতব্যবস্থার উন্নয়নে পথচারীদের প্রাধান্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য ইকরাম আহমেদ।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এম এনামুল হক বলেন, নিরাপদ যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশের রেলওয়ের উন্নয়ন করে মানুষের সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, পথচারীদের নিরাপত্তা ও আকর্ষণের জন্য হকার উচ্ছেদ নয়, ফুটপাতে সুশৃঙ্খলভাবে বসার ব্যবস্থা করা দরকার। তাঁর মতে, জনপ্রতিনিধিরা হেঁটে, গণপরিবহনে চলাচল করে বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করে পদক্ষেপ নিলে সেটা অনেক বাস্তবসম্মত হবে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের খান যানজট নিরসনে ঢাকায় এক দিন কারমুক্ত দিবস পালন করার সুপারিশ করেন। অন্যান্যের মধ্যে ইনস্টিটিউট অব লেবারস স্টাডিজের সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত দ্রুতগতির উড়ালপথের কারণে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেলওয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন বসানো সম্ভব হবে না। এর পরিবর্তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভালো মানের কমিউটার ট্রেন চালু এবং প্রয়োজনীয় রেললাইন স্থাপন জরুরি। পাশাপাশি উড়ালপথের চেয়ে অনেক কম খরচে ঢাকায় বাস সার্ভিস, হাঁটার সুব্যবস্থা ও জ্বালানিমুক্ত যানের সমন্বয়ে সুষ্ঠু যাতায়াতব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার।
সভায় মূল প্রবন্ধে পরিবহন বিশেষজ্ঞ মাহবুবুল বারী বলেন, ঢাকায় উড়ালসড়কসহ বড় বড় সব প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ হেঁটে, রিকশায়, বাসে, রেলসহ অন্যান্য গণপরিবহনে যাতায়াত করলেও তার জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই।
মতবিনিমিয় সভায় সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের অধ্যাপক সারোয়ার জাহান। তিনি বলেন, ঢাকার ওপর চাপ কমাতে দেশের অন্যান্য শহরে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে হবে। মোটকথা, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি।
ঢাকার যাতায়াতব্যবস্থার উন্নয়নে পথচারীদের প্রাধান্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য ইকরাম আহমেদ।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এম এনামুল হক বলেন, নিরাপদ যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশের রেলওয়ের উন্নয়ন করে মানুষের সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, পথচারীদের নিরাপত্তা ও আকর্ষণের জন্য হকার উচ্ছেদ নয়, ফুটপাতে সুশৃঙ্খলভাবে বসার ব্যবস্থা করা দরকার। তাঁর মতে, জনপ্রতিনিধিরা হেঁটে, গণপরিবহনে চলাচল করে বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করে পদক্ষেপ নিলে সেটা অনেক বাস্তবসম্মত হবে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের খান যানজট নিরসনে ঢাকায় এক দিন কারমুক্ত দিবস পালন করার সুপারিশ করেন। অন্যান্যের মধ্যে ইনস্টিটিউট অব লেবারস স্টাডিজের সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments