সাতকানিয়ায় গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যান নিহত
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আবছারকে (৩৮) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে নিজ বাড়িতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার স্থানীয় লোকজন কক্সবাজার-সাতকানিয়া সড়ক অবরোধ করে। এদিকে, গতকাল সোমবার নুরুল আবছারের জানাজায় যোগ দিতে এসে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা
আবদুল মোনাফ গণপিটুনির শিকার হন। তিনি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি নুরুল আবছার নলুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাতকানিয়ার জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রোববার স্থানীয় ঢেমশা উচ্চবিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান থেকে রাত একটার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন। কিছুক্ষণ পর বাড়ির উঠানে হইচই শুনে তিনি দ্বিতীয় তলার ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ান। এ সময় তাঁর চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আরিফকে কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় লোক মারধর করছিল। তিনি তাঁদের কাছে আরিফকে মারধর করার কারণ জানতে চান। তখন তাঁর দিকে এক ব্যক্তি টর্চের আলো ধরে রাখে। অন্যরা উঠান থেকে পরপর তিনটি গুলি করে।
মোহাম্মদ আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে আবছার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আরিফ বলেন, অন্তত ১০-১২ জন লোক হামলায় অংশ নেয়। তিনি জানান, আবছারকে প্রথমে স্থানীয় কেরানিহাটের একটি ক্লিনিকে এবং সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে তাঁর মরদেহ প্রথমে কর্মস্থল জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজে আনা হয়। সেখানে ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নুরুল আবছার হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকালে কলেজের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করেন কলেজের ছাত্ররা। এ সময় ওই সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেন।
গতকাল বাদ আসর আবছারের বাড়ির সামনে জানাজার আয়োজন করা হয়। জানাজা শুরুর আগমুহূর্তে সেখানে পুষ্পস্তবক নিয়ে হাজির হন সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল মোনাফ। তিনি ফুল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলেন, ‘ওই শালাকে ধর, ও-ই খুন করিয়েছে!’ এরপর সেখানে উপস্থিত লোকজন আবদুল মোনাফকে পিটুনি দেয়। তারা মোনাফের মুখ, ঠোঁট, পিঠ ও তলপেটে আঘাত করে। পরে জানাজায় আসা অন্য লোকজন মোনাফকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মোনাফকে প্রথমে চন্দনাইশের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রূপম ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর হাত, মুখ ও পেটে আঁচড় লাগা ছাড়া বড় ধরনের কোনো আঘাত বা ক্ষত নেই।’
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) নুরে আলম মিনা প্রথম আলোকে বলেন, আবছার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, তা নিয়ে এ মুহূর্তে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে পেশাদার খুনিরা যে এতে জড়িত, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত।
নুরুল আবছার খুন হওয়ার ব্যাপারে দোহাজারী ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদেরা তাঁর উত্থান মেনে নিতে পারেননি। তাই তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
গতকাল রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো মামলা হয়নি। আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করছি।’
মোহাম্মদ আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে আবছার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আরিফ বলেন, অন্তত ১০-১২ জন লোক হামলায় অংশ নেয়। তিনি জানান, আবছারকে প্রথমে স্থানীয় কেরানিহাটের একটি ক্লিনিকে এবং সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে তাঁর মরদেহ প্রথমে কর্মস্থল জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজে আনা হয়। সেখানে ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নুরুল আবছার হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকালে কলেজের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করেন কলেজের ছাত্ররা। এ সময় ওই সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেন।
গতকাল বাদ আসর আবছারের বাড়ির সামনে জানাজার আয়োজন করা হয়। জানাজা শুরুর আগমুহূর্তে সেখানে পুষ্পস্তবক নিয়ে হাজির হন সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল মোনাফ। তিনি ফুল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলেন, ‘ওই শালাকে ধর, ও-ই খুন করিয়েছে!’ এরপর সেখানে উপস্থিত লোকজন আবদুল মোনাফকে পিটুনি দেয়। তারা মোনাফের মুখ, ঠোঁট, পিঠ ও তলপেটে আঘাত করে। পরে জানাজায় আসা অন্য লোকজন মোনাফকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মোনাফকে প্রথমে চন্দনাইশের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রূপম ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর হাত, মুখ ও পেটে আঁচড় লাগা ছাড়া বড় ধরনের কোনো আঘাত বা ক্ষত নেই।’
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) নুরে আলম মিনা প্রথম আলোকে বলেন, আবছার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, তা নিয়ে এ মুহূর্তে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে পেশাদার খুনিরা যে এতে জড়িত, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত।
নুরুল আবছার খুন হওয়ার ব্যাপারে দোহাজারী ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদেরা তাঁর উত্থান মেনে নিতে পারেননি। তাই তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
গতকাল রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো মামলা হয়নি। আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করছি।’
No comments