পুলিশের বাধায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পণ্ড
পুলিশের বাধায় গতকাল সোমবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি অনেক স্থানে পণ্ড হয়ে গেছে। ঘটেছে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা। গাইবান্ধায় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে চারজন আহত হয়েছে। গুম, খুন, অপহরণ, বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিএনপির নেতারা বলেছেন, মিছিল-সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু পুলিশ সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের বরাত দিয়ে ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
গাইবান্ধা: জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলটি বেলা দেড়টার দিকে শহরের হকার্স মার্কেটের কাছে পৌঁছালে পুলিশ লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা রেলস্টেশন প্লাটফর্মে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। পুলিশ এই সমাবেশও ভণ্ডুলের চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ছয়টি রাবার বুলেট ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়। রাবার বুলেটে বিএনপির চারজন কর্মী আহত হন বলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাউছুল আযম জানান। পুলিশ সুপার বাসুদেব বণিক রাবার বুলেট ছোড়ার কথা স্বীকার করেছেন।
রাজশাহী: মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান (মিনু) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করার উদ্দেশে নগরের রাজারহাতা এলাকায় লোকনাথ স্কুলের সামনে যান। সেখানে যাওয়ার পরপরই পুলিশ তাঁকে ঘিরে ফেলে। সেখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে নগরের কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তা ছাড়া গ্রেপ্তার এড়াতে মিজানুর রহমানও মুঠোফোনে তাঁদের সেখানে যেতে নিষেধ করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি কর্মসূচি স্থগিত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে নগরের ভুবনমোহন পার্কেও প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ ছাড়া সেখানে আর কেউ ঢুকতে পারেনি।
জানতে চাইলে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার পর এই সরকার সবচেয়ে জুলুমবাজ সরকার। পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি।
নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন, মিছিল করতে কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, সে জন্য পুলিশ প্রস্তুতি নিয়েছিল।
নোয়াখালী: জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানের অনুসারীরা শহরের পৌরবাজারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে জেলা জামে মসজিদের সামনে থেকে আরেকটি মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশি বাধায় সেটিও পণ্ড হয়ে যায়।
সিলেট: নগরের কোর্ট পয়েন্টে বিএনপির জেলা ও নগর কমিটি প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল। মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে রোববার রাতেই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফ্ফার বরাবর চিঠি দিয়ে এ কর্মসূচি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে গতকাল সকালে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় প্রেস ব্রিফিং করে এর প্রতিবাদ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। লিখিত বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশে কি জরুরি আইন বলবৎ করা হয়েছে? তা না হলে একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে চিঠি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় কেন?’
মহানগর পুলিশ কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাজবাড়ী: জেলা বিএনপি সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। পরে কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধা: জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলটি বেলা দেড়টার দিকে শহরের হকার্স মার্কেটের কাছে পৌঁছালে পুলিশ লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা রেলস্টেশন প্লাটফর্মে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। পুলিশ এই সমাবেশও ভণ্ডুলের চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ছয়টি রাবার বুলেট ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়। রাবার বুলেটে বিএনপির চারজন কর্মী আহত হন বলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাউছুল আযম জানান। পুলিশ সুপার বাসুদেব বণিক রাবার বুলেট ছোড়ার কথা স্বীকার করেছেন।
রাজশাহী: মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান (মিনু) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করার উদ্দেশে নগরের রাজারহাতা এলাকায় লোকনাথ স্কুলের সামনে যান। সেখানে যাওয়ার পরপরই পুলিশ তাঁকে ঘিরে ফেলে। সেখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে নগরের কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তা ছাড়া গ্রেপ্তার এড়াতে মিজানুর রহমানও মুঠোফোনে তাঁদের সেখানে যেতে নিষেধ করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি কর্মসূচি স্থগিত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে নগরের ভুবনমোহন পার্কেও প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ ছাড়া সেখানে আর কেউ ঢুকতে পারেনি।
জানতে চাইলে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার পর এই সরকার সবচেয়ে জুলুমবাজ সরকার। পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি।
নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন, মিছিল করতে কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, সে জন্য পুলিশ প্রস্তুতি নিয়েছিল।
নোয়াখালী: জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানের অনুসারীরা শহরের পৌরবাজারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে জেলা জামে মসজিদের সামনে থেকে আরেকটি মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশি বাধায় সেটিও পণ্ড হয়ে যায়।
সিলেট: নগরের কোর্ট পয়েন্টে বিএনপির জেলা ও নগর কমিটি প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল। মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে রোববার রাতেই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফ্ফার বরাবর চিঠি দিয়ে এ কর্মসূচি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে গতকাল সকালে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় প্রেস ব্রিফিং করে এর প্রতিবাদ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। লিখিত বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশে কি জরুরি আইন বলবৎ করা হয়েছে? তা না হলে একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে চিঠি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় কেন?’
মহানগর পুলিশ কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাজবাড়ী: জেলা বিএনপি সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। পরে কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
No comments