যশোর-নড়াইল সড়কে ধর্মঘট
যশোর-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে ওই সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘট চলাকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, নড়াইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি, যশোর আন্তজেলা বাস সিন্ডিকেট ও নড়াইল জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক সমিতির ডাকে এ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। যশোর জেলা বাস-মিনিবাস
মালিক সমিতির সভাপতি আলী আকবর গতকাল বলেন, ‘মাস দুয়েক আগে কয়েক দফা বৈঠক করে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ধর্মঘট যে সোমবারই শুরু হবে, এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। সকালে চালকেরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিলে আমরা এতে সমর্থন দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘যত দিন রাস্তা ঠিক না হবে, তত দিন এ সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।’
গতকাল সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকেরা লঠিসোঁটা নিয়ে শহরের মনিহার, নীলগঞ্জ, হামিদপুরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নেন। তাঁরা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বাধা দেন।
ধর্মঘট চলাকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ওই সড়কের বিভিন্ন অংশে দুটি ট্রাক, তিনটি পিকআপসহ ১২টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ সময় শহরের মনিহার চত্বরে গাড়ির টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে যাত্রীদের নছিমন-করিমনে করে যশোর, নড়াইল ও বাঘারপাড়ায় যাতায়াত করতে হয়।
বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্তজা হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ধর্মঘট ডাকা হলেই সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু সে আশ্বাস বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। তিনি বলেন, ‘মাস দেড়েক আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও একজন সচিব যশোরে এসে সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমরা সে আশ্বাসের কোনো বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘সংস্কারের অভাবে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।’
শ্রমিক নেতা মোর্তজা হোসেন বলেন, গত তিন মাসে ওই সড়কে ছোট-বড় মিলিয়ে কমপক্ষে ৩০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়।
ছয় মাসেও কাজ শুরু হয়নি: যশোর-নড়াইল সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যেও সংস্কারকাজ শুরু হয়নি। এদিকে বেহাল এ সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যশোর-নড়াইল সড়কের বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ক্যাম্পসংলগ্ন বটতলা, হামিদপুর বাজার থেকে ময়লাখানা, ফতেপুর, চাড়াভিটা বাজার, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কৃষি কলেজ এলাকাসহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
বাসের একজন চালক জানান, যশোর থেকে নড়াইলের দূরত্ব মাত্র ৩৪ কিলোমিটার। রাস্তা ভালো থাকলে এ পথ যেতে ৫০ মিনিট সময় লাগার কথা। অথচ এখন দেড় ঘণ্টায়ও যাওয়া যাচ্ছে না।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর-নড়াইল সড়ক সংস্কারে গত ২৭ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২৭ জুন যশোরের সেল-পিএইএল-জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার এ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু কার্যাদেশ দেওয়ার প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এখনো সংস্কারকাজ শুরু করেনি। এ ব্যাপারে সওজ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, অর্থ বরাদ্দ না থাকা ও লাগাতার বর্ষার কারণে এত দিন কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় সওজের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। প্রধান প্রকৌশলী এই সড়ক সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি দু-এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে।
গতকাল সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকেরা লঠিসোঁটা নিয়ে শহরের মনিহার, নীলগঞ্জ, হামিদপুরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নেন। তাঁরা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বাধা দেন।
ধর্মঘট চলাকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ওই সড়কের বিভিন্ন অংশে দুটি ট্রাক, তিনটি পিকআপসহ ১২টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ সময় শহরের মনিহার চত্বরে গাড়ির টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে যাত্রীদের নছিমন-করিমনে করে যশোর, নড়াইল ও বাঘারপাড়ায় যাতায়াত করতে হয়।
বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্তজা হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ধর্মঘট ডাকা হলেই সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু সে আশ্বাস বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। তিনি বলেন, ‘মাস দেড়েক আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও একজন সচিব যশোরে এসে সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমরা সে আশ্বাসের কোনো বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘সংস্কারের অভাবে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।’
শ্রমিক নেতা মোর্তজা হোসেন বলেন, গত তিন মাসে ওই সড়কে ছোট-বড় মিলিয়ে কমপক্ষে ৩০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়।
ছয় মাসেও কাজ শুরু হয়নি: যশোর-নড়াইল সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যেও সংস্কারকাজ শুরু হয়নি। এদিকে বেহাল এ সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যশোর-নড়াইল সড়কের বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ক্যাম্পসংলগ্ন বটতলা, হামিদপুর বাজার থেকে ময়লাখানা, ফতেপুর, চাড়াভিটা বাজার, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কৃষি কলেজ এলাকাসহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
বাসের একজন চালক জানান, যশোর থেকে নড়াইলের দূরত্ব মাত্র ৩৪ কিলোমিটার। রাস্তা ভালো থাকলে এ পথ যেতে ৫০ মিনিট সময় লাগার কথা। অথচ এখন দেড় ঘণ্টায়ও যাওয়া যাচ্ছে না।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর-নড়াইল সড়ক সংস্কারে গত ২৭ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২৭ জুন যশোরের সেল-পিএইএল-জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার এ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু কার্যাদেশ দেওয়ার প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এখনো সংস্কারকাজ শুরু করেনি। এ ব্যাপারে সওজ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, অর্থ বরাদ্দ না থাকা ও লাগাতার বর্ষার কারণে এত দিন কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় সওজের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। প্রধান প্রকৌশলী এই সড়ক সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি দু-এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে।
No comments