সাম্প্রতিক : অবসরগ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধি-সরকার কি তরুণদের ভুলে গেছে? by আরিফ জেবতিক
প্রতিটি ঘরে একটি করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছিল বর্তমান মহাজোট সরকার। কিন্তু ১৯ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকের একটি সিদ্ধান্ত থেকে মনে হচ্ছে, সরকার ভুলে গেছে যে মূলত তরুণ ভোটারদের সমর্থন নিয়েই তারা গত জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়েছিল। যে তরুণ ভোটাররা তাদের ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের কর্মসংস্থান এখনো করা যায়নি। অথচ গত ১৯ ডিসেম্বরের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯
করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। নতুন কর্মসংস্থান তৈরির কোনো ব্যবস্থা না করে পুরনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি দীর্ঘায়িত করার মূল কারণ নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক। সরকারগুলো যত বেশি গণবিচ্ছিন্ন হয়, ততই তারা আমলানির্ভর হয়ে পড়ে। তখন জনমানুষকে তুষ্ট করার বদলে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের তুষ্ট করার জন্য তাদের মধ্যে বেশি উৎসাহ দেখা যায়। চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তেও সেই উৎসাহের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ধারণা করি, সরকার এখন চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়ে উচ্চ পর্যায়ের আমলাদের কৃতজ্ঞ করতে চাইছে, যাতে আগামী নির্বাচনের সময় এই সিনিয়র আমলারা তাদের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেন।
অবশ্য অবসরগ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য যেসব খোড়া যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে তা হলো_স্বাধীনতার পর যখন চাকরির বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়, তখন গড় আয়ু ছিল অনেক কম। এখন গড় আয়ু বেড়ে ৬৭ দশমিক ৮ বছর হয়েছে। আগে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর। বর্তমানে তা ৩০ বছর। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সরকারি চাকরির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬০ বছর। দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার বিষয়টিও বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এর মাঝের চাতুরিগুলো খেয়াল করা যাক। প্রথমেই আসি গড় আয়ু বৃদ্ধি প্রসঙ্গে। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে ভেজাল খেয়ে, পরিবেশ দূষণের মধ্যে বাস করেও মানুষ দিব্যি দীর্ঘদিন ধরে বেঁচে আছে। গড় বয়সসীমা বৃদ্ধির এই ধোঁয়াশা তৈরি আমলাদের চাণক্য বুদ্ধি ছাড়া কিছু নয়। একটি দেশের গড় আয়ু হিসাব করা হয় সেই দেশের প্রতিটি মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর সময় গণনায় নিয়ে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে এ দেশে নবজাতকের মৃত্যুর হার ছিল অনেক বেশি। সেই সময়কার খুব কম পরিবারই পাওয়া যাবে যাদের পরিবারের এক বা একাধিক শিশু অল্প বয়সে মারা যায়নি। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় বাংলাদেশ শিশুমৃত্যু, বিশেষ করে নবজাতক ও প্রসূতি মাতার মৃত্যুহার অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছে। ফলে দেশের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু এর সঙ্গে মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। আর দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সেবাপ্রাপ্তির যে অজুহাত দেখানো হয়েছে, সেটি তো আরো হাস্যকর। ৫৭ বছর ধরে সেবা করে যদি দেশের কোনো পরিবর্তন কেউ করতে না পারেন, তাহলে বাকি দুই বছরে তিনি সেটি করে ফেলবেন, এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর। ৫৯ বছর বয়সে এই কর্মকর্তা আরো অভিজ্ঞ হবেন, তখন কি তাঁর অবসরগ্রহণের সময়সীমা আবারও বৃদ্ধি করা হবে?
এই অবসরগ্রহণের বয়স বৃদ্ধির কারণে প্রশাসনে যে নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে, তার আলামত এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ইতিমধ্যে থমকে গেছে। সরকারকে এখন হিমশিম খেতে হবে এই বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তার পদোন্নতির ব্যবস্থা ও পদায়ন করতে। কিন্তু এতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজ হবে না। তখন হয়তো গুচ্ছের টাকা খরচ করে আরো কিছু কর্মচারীকে ওএসডি করে বসিয়ে রাখার চিন্তা করবে সরকার।
কিন্তু মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের হতাশা তাতে করে কাটবে না, কারণ সরকার অবসরগ্রহণের সময় বৃদ্ধি করেই বসে থাকবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সরকার তার পছন্দের বড় একটি অংশকে চাকরির মেয়াদ শেষেও আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেবে। এভাবে দিনে দিনে প্রশাসনে এত বেশি পরিমাণ জট পাকানো হবে যে সেই জটে পা জড়িয়ে বাংলাদেশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঝুঁকতে থাকবে, সামনে এগোনো সহজ হবে না।
পাঠকদের অনেকেই মনে করতে পারেন, আমি সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরগ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছি। ব্যাপারটা তা নয়। আমি ক্ষুব্ধ কারণ আমাদের তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি এই মন্ত্রিসভা যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। তারা অগ্রাধিকার বিবেচনা করতে গিয়ে তরুণদের ওপর বুড়োদের ঠাঁই দিয়েছেন। নতুন কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মত দিয়েছেন, পদোন্নতি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না বরং এখনো ১২ লাখ অনুমোদিত পদের মধ্যে দুই লাখ পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদ দ্রুত পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ কথা শুনে আমরা আশাবাদী হতে চাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, এই দ্রুত বলতে কবে? কত দিনের মধ্যে? যে দ্রুততায় অবসরগ্রহণের বয়স বৃদ্ধি করতে গিয়ে সংসদের জন্য অপেক্ষা করা যাচ্ছে না, অধ্যাদেশ জারি করতে হচ্ছে, এর
শতভাগের একভাগ দ্রুততাও কি এই নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখানো হবে?
সরকার যদি এই শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের একটি সময়সীমা ঘোষণা করতে পারত, তবে দেশের তরুণরা আশ্বস্ত হতো।
আমরা সবকিছু এত জট পাকিয়ে ফেলেছি যে এ দেশের তরুণরা জন্মের পরেই বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। সেশন জটের কারণে একজন তরুণ তাঁর কর্মস্পৃহার সবচেয়ে উচ্চ সময়ে কাজ পান না। একুশের একজন তরুণকে যদি আমরা সরকারের কর্মকর্তা করতে পারতাম, তাহলে কী চমৎকারই না হতো। এসব তরুণের বুকে অনেক বেশি দেশপ্রেম, আধুনিক বিশ্ব তাঁদের নখদর্পণে, তাঁদের মনটা অনেক বেশি সৎ; এই তরুণরা আমাদের জন্য প্রশাসনের নিচের দিকে অনেক বড় সম্পদ হতে পারতেন। কিন্তু আমাদের এখানে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে দিতে মানুষের বয়স ৩০ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের সেশনজট, অনিশ্চয়তা আর বেকারত্ব এই তরুণদের জীবনীশক্তিকে অনেকটাই নিঃশেষ করে ফেলে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগের দীর্ঘ পরিক্রমায় তাঁরা ক্লান্ত ও শ্রান্ত হয়ে পড়েন।
এ এক দুষ্ট চক্র। সরকারের উচিত ছিল এই চক্র ভাঙার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠা। দিন বদলের স্লোগান দেওয়া সরকারের কাছে তার তরুণ ভোটারদের তেমনই প্রত্যাশা ছিল।
কিন্তু সরকার সেই গতানুগতিক পথেই হাঁটছে। আমলারা সরকারকে ঘিরে ধরছে আর আমলাদের খুশি করতে সরকার তাই রাষ্ট্রপতির দরবারে অধ্যাদেশ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে। কিন্তু এই গতানুগতিকতার চর্চায় তারা ভুলে যাচ্ছে, মাত্র কয়েক বছর আগেই তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে অসংখ্য তরুণ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
অবশ্য অবসরগ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য যেসব খোড়া যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে তা হলো_স্বাধীনতার পর যখন চাকরির বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়, তখন গড় আয়ু ছিল অনেক কম। এখন গড় আয়ু বেড়ে ৬৭ দশমিক ৮ বছর হয়েছে। আগে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর। বর্তমানে তা ৩০ বছর। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সরকারি চাকরির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬০ বছর। দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার বিষয়টিও বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এর মাঝের চাতুরিগুলো খেয়াল করা যাক। প্রথমেই আসি গড় আয়ু বৃদ্ধি প্রসঙ্গে। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে ভেজাল খেয়ে, পরিবেশ দূষণের মধ্যে বাস করেও মানুষ দিব্যি দীর্ঘদিন ধরে বেঁচে আছে। গড় বয়সসীমা বৃদ্ধির এই ধোঁয়াশা তৈরি আমলাদের চাণক্য বুদ্ধি ছাড়া কিছু নয়। একটি দেশের গড় আয়ু হিসাব করা হয় সেই দেশের প্রতিটি মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর সময় গণনায় নিয়ে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে এ দেশে নবজাতকের মৃত্যুর হার ছিল অনেক বেশি। সেই সময়কার খুব কম পরিবারই পাওয়া যাবে যাদের পরিবারের এক বা একাধিক শিশু অল্প বয়সে মারা যায়নি। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় বাংলাদেশ শিশুমৃত্যু, বিশেষ করে নবজাতক ও প্রসূতি মাতার মৃত্যুহার অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছে। ফলে দেশের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু এর সঙ্গে মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। আর দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সেবাপ্রাপ্তির যে অজুহাত দেখানো হয়েছে, সেটি তো আরো হাস্যকর। ৫৭ বছর ধরে সেবা করে যদি দেশের কোনো পরিবর্তন কেউ করতে না পারেন, তাহলে বাকি দুই বছরে তিনি সেটি করে ফেলবেন, এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর। ৫৯ বছর বয়সে এই কর্মকর্তা আরো অভিজ্ঞ হবেন, তখন কি তাঁর অবসরগ্রহণের সময়সীমা আবারও বৃদ্ধি করা হবে?
এই অবসরগ্রহণের বয়স বৃদ্ধির কারণে প্রশাসনে যে নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে, তার আলামত এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ইতিমধ্যে থমকে গেছে। সরকারকে এখন হিমশিম খেতে হবে এই বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তার পদোন্নতির ব্যবস্থা ও পদায়ন করতে। কিন্তু এতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজ হবে না। তখন হয়তো গুচ্ছের টাকা খরচ করে আরো কিছু কর্মচারীকে ওএসডি করে বসিয়ে রাখার চিন্তা করবে সরকার।
কিন্তু মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের হতাশা তাতে করে কাটবে না, কারণ সরকার অবসরগ্রহণের সময় বৃদ্ধি করেই বসে থাকবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সরকার তার পছন্দের বড় একটি অংশকে চাকরির মেয়াদ শেষেও আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেবে। এভাবে দিনে দিনে প্রশাসনে এত বেশি পরিমাণ জট পাকানো হবে যে সেই জটে পা জড়িয়ে বাংলাদেশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঝুঁকতে থাকবে, সামনে এগোনো সহজ হবে না।
পাঠকদের অনেকেই মনে করতে পারেন, আমি সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরগ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছি। ব্যাপারটা তা নয়। আমি ক্ষুব্ধ কারণ আমাদের তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি এই মন্ত্রিসভা যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। তারা অগ্রাধিকার বিবেচনা করতে গিয়ে তরুণদের ওপর বুড়োদের ঠাঁই দিয়েছেন। নতুন কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মত দিয়েছেন, পদোন্নতি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না বরং এখনো ১২ লাখ অনুমোদিত পদের মধ্যে দুই লাখ পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদ দ্রুত পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ কথা শুনে আমরা আশাবাদী হতে চাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, এই দ্রুত বলতে কবে? কত দিনের মধ্যে? যে দ্রুততায় অবসরগ্রহণের বয়স বৃদ্ধি করতে গিয়ে সংসদের জন্য অপেক্ষা করা যাচ্ছে না, অধ্যাদেশ জারি করতে হচ্ছে, এর
শতভাগের একভাগ দ্রুততাও কি এই নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখানো হবে?
সরকার যদি এই শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের একটি সময়সীমা ঘোষণা করতে পারত, তবে দেশের তরুণরা আশ্বস্ত হতো।
আমরা সবকিছু এত জট পাকিয়ে ফেলেছি যে এ দেশের তরুণরা জন্মের পরেই বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। সেশন জটের কারণে একজন তরুণ তাঁর কর্মস্পৃহার সবচেয়ে উচ্চ সময়ে কাজ পান না। একুশের একজন তরুণকে যদি আমরা সরকারের কর্মকর্তা করতে পারতাম, তাহলে কী চমৎকারই না হতো। এসব তরুণের বুকে অনেক বেশি দেশপ্রেম, আধুনিক বিশ্ব তাঁদের নখদর্পণে, তাঁদের মনটা অনেক বেশি সৎ; এই তরুণরা আমাদের জন্য প্রশাসনের নিচের দিকে অনেক বড় সম্পদ হতে পারতেন। কিন্তু আমাদের এখানে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে দিতে মানুষের বয়স ৩০ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের সেশনজট, অনিশ্চয়তা আর বেকারত্ব এই তরুণদের জীবনীশক্তিকে অনেকটাই নিঃশেষ করে ফেলে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগের দীর্ঘ পরিক্রমায় তাঁরা ক্লান্ত ও শ্রান্ত হয়ে পড়েন।
এ এক দুষ্ট চক্র। সরকারের উচিত ছিল এই চক্র ভাঙার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠা। দিন বদলের স্লোগান দেওয়া সরকারের কাছে তার তরুণ ভোটারদের তেমনই প্রত্যাশা ছিল।
কিন্তু সরকার সেই গতানুগতিক পথেই হাঁটছে। আমলারা সরকারকে ঘিরে ধরছে আর আমলাদের খুশি করতে সরকার তাই রাষ্ট্রপতির দরবারে অধ্যাদেশ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে। কিন্তু এই গতানুগতিকতার চর্চায় তারা ভুলে যাচ্ছে, মাত্র কয়েক বছর আগেই তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে অসংখ্য তরুণ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
No comments