চার বছর ধরে একটি হুইল চেয়ারের আশায় মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলী by আজাদ রহমান
শরীরের সব শক্তি হারিয়ে দীর্ঘ চার বছর থেকে একটি চালা ঘরে পড়ে আছেন তিনি। পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় উঠে বসেন, আবার শুইয়ে দিলে বিছানায় পড়ে থাকেন। অর্থের অভাবে ঠিকমতো চিকিত্সাও হচ্ছে না। এমনই এক অবস্থায় জীবন কাটছে মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলীর। চার বছর আগে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, চিকিত্সকেরা ব্যবস্থাপত্রে যে ওষুধ লিখে দিয়েছেন—টাকার
অভাবে তা-ও কিনে খাওয়াতে পারছেন না। এমনকি বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য তিনি প্রায়ই ইশারা করে একটি হুইল চেয়ার কিনে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তাঁদের পক্ষে সেটাও কিনে দেওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের কাছে চেয়ারটির জন্য চার বছর থেকে ধরনা দিচ্ছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
বাবর আলী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের শামছুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তিনি। অন্য ভাইয়েরা দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। তিনি নিজেও সেভাবেই সংসার চালাতেন। এভাবে একমাত্র ছেলে বাদশা মিয়াকে এইচএসসি পাস করিয়েছেন। মেয়ে ফাহিমা খাতুনও পার্শ্ববর্তী বেথুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। বাবর আলীর বাবা শামছুদ্দিন মণ্ডল জানান, তাঁর ছেলে একাত্তর সালে যুদ্ধে চলে যান। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশের জন্য যুদ্ধ করেন। নিজেদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে পরের খেতে কাজ শুরু করেন। এভাবে কষ্ট করে চলছিল তাঁর সংসার। বর্তমানে তিনি মাসে দুই হাজার টাকা ভাতা পান। এই ভাতার টাকা আর একমাত্র ছেলে বাদশা মণ্ডলের আয়ে সংসার চলে।
বাবরের স্ত্রী নাসিমা খাতুন জানান, চার বছর আগে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে টিউবওয়েলের দিকে যাওয়ার সময় হঠাত্ করে তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর খুব ইচ্ছা একটু বাড়ির চারপাশ ঘুরে বেড়ানো। নিজে উঠতে পারে না, তাই সারাক্ষণ হাত দিয়ে ইশারা করে একটি হুইল চেয়ারের কথা বলেন। এই চেয়ার পেলে তিনি চালা ঘর থেকে বাইরে বেরুতে পারবেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তাঁরা কিনে দিতে পারেননি।
বাবর আলী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের শামছুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তিনি। অন্য ভাইয়েরা দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। তিনি নিজেও সেভাবেই সংসার চালাতেন। এভাবে একমাত্র ছেলে বাদশা মিয়াকে এইচএসসি পাস করিয়েছেন। মেয়ে ফাহিমা খাতুনও পার্শ্ববর্তী বেথুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। বাবর আলীর বাবা শামছুদ্দিন মণ্ডল জানান, তাঁর ছেলে একাত্তর সালে যুদ্ধে চলে যান। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশের জন্য যুদ্ধ করেন। নিজেদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে পরের খেতে কাজ শুরু করেন। এভাবে কষ্ট করে চলছিল তাঁর সংসার। বর্তমানে তিনি মাসে দুই হাজার টাকা ভাতা পান। এই ভাতার টাকা আর একমাত্র ছেলে বাদশা মণ্ডলের আয়ে সংসার চলে।
বাবরের স্ত্রী নাসিমা খাতুন জানান, চার বছর আগে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে টিউবওয়েলের দিকে যাওয়ার সময় হঠাত্ করে তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর খুব ইচ্ছা একটু বাড়ির চারপাশ ঘুরে বেড়ানো। নিজে উঠতে পারে না, তাই সারাক্ষণ হাত দিয়ে ইশারা করে একটি হুইল চেয়ারের কথা বলেন। এই চেয়ার পেলে তিনি চালা ঘর থেকে বাইরে বেরুতে পারবেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তাঁরা কিনে দিতে পারেননি।
No comments