ফিরে দেখা ২০১১-বার্সেলোনা আর মেসির বছর!
ধরা যাক, পেপ গার্দিওলার হাতে একটা খেরোখাতা ধরিয়ে দেওয়া হলো। বলা হলো, এ বছর আপনার অতৃপ্তির তালিকা তৈরি করুন। বার্সেলোনা কোচ ভাববেন, অনেকক্ষণ ভাববেন। এর পর একটা তারিখ লিখবেন: ২০ এপ্রিল ২০১১, এর পর একটা সময় লিখবেন: ১০৩তম মিনিট, এর পর লিখবেন একটা নাম: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো!এক বর্ষপঞ্জিতে একটি ক্লাবের পক্ষে সর্বোচ্চ ছয়টি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক শিরোপা জেতা সম্ভব। ২০০৯ সালে সেটাই করে
দেখিয়েছিল বার্সা। স্প্যানিশ লিগ, স্প্যানিশ কাপ (কোপা ডেল রে), স্প্যানিশ সুপার কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ এবং ক্লাব বিশ্বকাপ। এ বছর বার্সা সেই উচ্চতার একদম কাছাকাছি গিয়েছে। ছয়টির বদলে জিতেছে পাঁচটি শিরোপা। কেবল কোপা ডো রের শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি। ২০ এপ্রিল ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে রোনালদোর একমাত্র গোলে সেই শিরোপা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। শিরোপা ষষ্ঠকের দ্বিতীয় কীর্তিটা গড়তে না-পারাই এ বছর গার্দিওলার একমাত্র আক্ষেপ।
সেটি হয়নি। কিন্তু তার পরও এ বছরটি ছিল বার্সেলোনারই। অবশ্য এটাও বলে রাখা ভালো, ক্লাব ফুটবলে ঠিক সালতামামি করা সম্ভব নয়। ক্লাব মৌসুম শুরু হয় এক বছরের মাঝামাঝি, শেষ হয় পরের বছরের মাঝামাঝি। সেই হিসাব মাথায় রেখেও বলতে হয়, ২০১১ ছিল বার্সেলোনা আর লিওনেল মেসির বছর।
বার্সার একটা খেদ আছে। আর দুহাত ভরে পাওয়ার এই মৌসুমে একটা খেদ আছে মেসিরও। গত জুলাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল-শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের আসর কোপা আমেরিকা হয়ে গেল আর্জেন্টিনায়। ক্লাবের হয়ে সফল কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে ম্লান মেসি কথা দিয়েছিলেন, একটা শিরোপার জন্য বুভুক্ষু আর্জেন্টিনার ক্ষুধা মিটবে এবারই। না, পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে বিদায় করে দিয়েছে উরুগুয়ে। ২০১০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চমক দেখানো উরুগুয়ে ২০১১ সালেও আলো ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত কোপা আমেরিকা জিতেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলে উত্থান হয়েছে নতুন তারকার। সেই ১৯৬৩ সালের পর সান্তোসকে কোপা লিবার্তোদোরেসের শিরোপা জিতিয়েছেন নেইমার। ফাইনালে পেনারলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ম্যাচটির প্রথম গোলটিও ছিল তাঁর। এই নেইমারকে নিয়ে ইউরোপের ক্লাবগুলোর মধ্যে ইঁদুর-বিড়াল খেলাও চলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত নেইমার সান্তোসেই থেকে গেছেন। তবে দুই বছর থেকে আসি আসি করতে থাকা সেস ফ্যাব্রিগাস ঠিকই ফিরেছেন তাঁর পুরোনো ঠিকানায়।
ওদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এটি তাদের ১৯তম শিরোপা। ১৮টি শিরোপা জেতা লিভারপুল এখন দুইয়ে। ফার্গুসনের শিষ্যদের সামনে সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগও জেতার। কিন্তু গত চারবারের তিনবারই ফাইনালে ওঠা ম্যানইউ এবারও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছে বার্সেলোনার কাছে। ইতালিয়ান লিগে টানা পাঁচ মৌসুম ধরে চলা ইন্টার মিলানের আধিপত্য এ বছর খর্ব হয়েছে। ১৮ নম্বর স্কুডেট্টো ঘরে তুলেছে এসি মিলান। নয় বছর পর জার্মান বুন্দেসলিগা জিতেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
শুধু মেসি-বার্সা নয়, এক মৌসুমে স্প্যানিশ লিগে রেকর্ড ৪০ গোল করে রোনালদো জানাচ্ছেন, ‘আমিও কিন্তু আছি।’ রোনালদোর গুরু মরিনহোও আছেন এ বছর বিতর্কে জড়িয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনার কাছে হেরে যাওয়ার পর উয়েফাকে স্বভাবসুলভ ভাষায় একহাত নেন। শাস্তি হিসেবে নিষিদ্ধও হন। ফুটবলে এ বছর বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন কার্লোস তেভেজও, কোচ মানচিনির নির্দেশ অমান্য করে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানানোয়। ফিফায় ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে হয়েছে তোলপাড়। বছরের শেষ প্রান্তে এসে লেগেছে বর্ণবাদের দাগ।
তার পরও শেষ পর্যন্ত ২০১১ বার্সেলোনা আর মেসির বছর! এএফপি, ওয়েবসাইট।
সেটি হয়নি। কিন্তু তার পরও এ বছরটি ছিল বার্সেলোনারই। অবশ্য এটাও বলে রাখা ভালো, ক্লাব ফুটবলে ঠিক সালতামামি করা সম্ভব নয়। ক্লাব মৌসুম শুরু হয় এক বছরের মাঝামাঝি, শেষ হয় পরের বছরের মাঝামাঝি। সেই হিসাব মাথায় রেখেও বলতে হয়, ২০১১ ছিল বার্সেলোনা আর লিওনেল মেসির বছর।
বার্সার একটা খেদ আছে। আর দুহাত ভরে পাওয়ার এই মৌসুমে একটা খেদ আছে মেসিরও। গত জুলাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল-শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের আসর কোপা আমেরিকা হয়ে গেল আর্জেন্টিনায়। ক্লাবের হয়ে সফল কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে ম্লান মেসি কথা দিয়েছিলেন, একটা শিরোপার জন্য বুভুক্ষু আর্জেন্টিনার ক্ষুধা মিটবে এবারই। না, পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে বিদায় করে দিয়েছে উরুগুয়ে। ২০১০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চমক দেখানো উরুগুয়ে ২০১১ সালেও আলো ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত কোপা আমেরিকা জিতেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলে উত্থান হয়েছে নতুন তারকার। সেই ১৯৬৩ সালের পর সান্তোসকে কোপা লিবার্তোদোরেসের শিরোপা জিতিয়েছেন নেইমার। ফাইনালে পেনারলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ম্যাচটির প্রথম গোলটিও ছিল তাঁর। এই নেইমারকে নিয়ে ইউরোপের ক্লাবগুলোর মধ্যে ইঁদুর-বিড়াল খেলাও চলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত নেইমার সান্তোসেই থেকে গেছেন। তবে দুই বছর থেকে আসি আসি করতে থাকা সেস ফ্যাব্রিগাস ঠিকই ফিরেছেন তাঁর পুরোনো ঠিকানায়।
ওদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এটি তাদের ১৯তম শিরোপা। ১৮টি শিরোপা জেতা লিভারপুল এখন দুইয়ে। ফার্গুসনের শিষ্যদের সামনে সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগও জেতার। কিন্তু গত চারবারের তিনবারই ফাইনালে ওঠা ম্যানইউ এবারও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছে বার্সেলোনার কাছে। ইতালিয়ান লিগে টানা পাঁচ মৌসুম ধরে চলা ইন্টার মিলানের আধিপত্য এ বছর খর্ব হয়েছে। ১৮ নম্বর স্কুডেট্টো ঘরে তুলেছে এসি মিলান। নয় বছর পর জার্মান বুন্দেসলিগা জিতেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
শুধু মেসি-বার্সা নয়, এক মৌসুমে স্প্যানিশ লিগে রেকর্ড ৪০ গোল করে রোনালদো জানাচ্ছেন, ‘আমিও কিন্তু আছি।’ রোনালদোর গুরু মরিনহোও আছেন এ বছর বিতর্কে জড়িয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনার কাছে হেরে যাওয়ার পর উয়েফাকে স্বভাবসুলভ ভাষায় একহাত নেন। শাস্তি হিসেবে নিষিদ্ধও হন। ফুটবলে এ বছর বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন কার্লোস তেভেজও, কোচ মানচিনির নির্দেশ অমান্য করে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানানোয়। ফিফায় ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে হয়েছে তোলপাড়। বছরের শেষ প্রান্তে এসে লেগেছে বর্ণবাদের দাগ।
তার পরও শেষ পর্যন্ত ২০১১ বার্সেলোনা আর মেসির বছর! এএফপি, ওয়েবসাইট।
No comments