আজ জেলহত্যা দিবসঃ জানুয়ারিতে আপিল শুনানির প্রত্যাশা
আজ ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। দেশের ইতিহাসে এক শোক ও কলঙ্কের দিন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ভোরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। আগস্টে বিপথগামী সেনা কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে কারাগারে হানা দিয়ে হত্যা করা হয় তাঁর এই চার সহযোগীকে। প্রতিবছরের মতো এবারও জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে চার নেতাকে।
৩৬ বছর কেটে গেলেও জাতির এই কৃতী সন্তানদের নজিরবিহীন হত্যার বিচার-প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তবে জানুয়ারিতে যাতে মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি হয়, তার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের শীর্ষ আইনি কর্মকর্তা।
৩ নভেম্বর কারাগারে যাঁদের হত্যা করা হয়েছিল, তাঁরা হলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান। তাঁরা পরিচিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে। বলা হয়, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সম্পন্ন হয় ৩ নভেম্বর।
নির্মম ও কলঙ্কজনক জেলহত্যার বিচার চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়নি আজও। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে উচ্চ আদালতের রায়ে আসামিদের প্রায় সবাই খালাস পাওয়ার পরও বিচারের দাবি কমেনি।
আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিতে দিনটি স্মরণ করবে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
কাটল ৩৬ বছর: প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর শুরু হয় বিচার-প্রক্রিয়া। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এখন শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শিগগিরই আপিলের শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
চার নেতা হত্যা মামলার ঘটনার ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে পলাতক তিন আসামি রিসালদার মোসলেম, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার আবুল হাশেম মৃধার ফাঁসি এবং ১২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও জেল আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট রায় দেন। রায়ে নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়। রিসালদার মোসলেমের মৃত্যুদণ্ড ও পলাতক অপর আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।
গত ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে দণ্ডিত পলাতক দুই আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার আবুল হাশেম মৃধাকে অবিলম্বে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত আপিল শুনানির জন্য সারসংক্ষেপ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলেন।
সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে মামলার প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ১৩ নভেম্বর আদালত খোলার পর আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হবে। আপিলের ওপর দ্রুত শুনানির জন্য একটি আবেদন দেওয়া হবে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে গতকাল বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। অপর আসামিরা পলাতক। তাঁরা জেলহত্যা মামলারও আসামি। মারফত আলী ও আবুল হাশেম মৃধার ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করা হয়। আপিল বিভাগ আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। তবে বিচারের শুরু থেকে ওই দুজন পলাতক আছেন। ইতিমধ্যে পেপারবুক তৈরি হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসে যেন আপিলের ওপর শুনানি হয়, সে জন্য আবেদন জানানো হবে।
কর্মসূচি: জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আজ দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোর সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল সাতটায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল সাড়ে সাতটায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত। বিকেল সাড়ে তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আলোচনা সভা। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতা করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে দলীয় কর্মসূচি পালনের জন্য দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, চেতনায় ৭১ ফাউন্ডেশন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল জেলহত্যা দিবসে কর্মসূচি নিয়েছে।
৩ নভেম্বর কারাগারে যাঁদের হত্যা করা হয়েছিল, তাঁরা হলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান। তাঁরা পরিচিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে। বলা হয়, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সম্পন্ন হয় ৩ নভেম্বর।
নির্মম ও কলঙ্কজনক জেলহত্যার বিচার চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়নি আজও। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে উচ্চ আদালতের রায়ে আসামিদের প্রায় সবাই খালাস পাওয়ার পরও বিচারের দাবি কমেনি।
আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিতে দিনটি স্মরণ করবে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
কাটল ৩৬ বছর: প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর শুরু হয় বিচার-প্রক্রিয়া। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এখন শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শিগগিরই আপিলের শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
চার নেতা হত্যা মামলার ঘটনার ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে পলাতক তিন আসামি রিসালদার মোসলেম, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার আবুল হাশেম মৃধার ফাঁসি এবং ১২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও জেল আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট রায় দেন। রায়ে নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়। রিসালদার মোসলেমের মৃত্যুদণ্ড ও পলাতক অপর আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।
গত ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে দণ্ডিত পলাতক দুই আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার আবুল হাশেম মৃধাকে অবিলম্বে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত আপিল শুনানির জন্য সারসংক্ষেপ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলেন।
সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে মামলার প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ১৩ নভেম্বর আদালত খোলার পর আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হবে। আপিলের ওপর দ্রুত শুনানির জন্য একটি আবেদন দেওয়া হবে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে গতকাল বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। অপর আসামিরা পলাতক। তাঁরা জেলহত্যা মামলারও আসামি। মারফত আলী ও আবুল হাশেম মৃধার ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করা হয়। আপিল বিভাগ আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। তবে বিচারের শুরু থেকে ওই দুজন পলাতক আছেন। ইতিমধ্যে পেপারবুক তৈরি হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসে যেন আপিলের ওপর শুনানি হয়, সে জন্য আবেদন জানানো হবে।
কর্মসূচি: জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আজ দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোর সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল সাতটায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল সাড়ে সাতটায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত। বিকেল সাড়ে তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আলোচনা সভা। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতা করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে দলীয় কর্মসূচি পালনের জন্য দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, চেতনায় ৭১ ফাউন্ডেশন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল জেলহত্যা দিবসে কর্মসূচি নিয়েছে।
No comments