বিপর্যস্ত ঈদযাত্রা by অরূপ দত্ত ও আনোয়ার হোসেন
মঙ্গলবার রাত ১১টার তূর্ণা নিশীথায় চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে সাড়ে ১০টার মধ্যেই কমলাপুর স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন আখতার শাহীন। গিয়ে দেখেন স্টেশনে ট্রেন নেই। খবর নিয়ে জানলেন, দেরি হবে। কেবল আখতার শাহীনই নন, স্টেশনে তাঁর মতো হাজার হাজার যাত্রী। কিন্তু কোনো ট্রেন নেই। খবর পাওয়া গেল, নরসিংদীর পৌর মেয়রকে গুলি করে মেরে ফেলার ঘটনায় সব ট্রেন আটকে আছে। কখন আসবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই।
রাত পৌনে ১২টার দিকে মাইকিং করা হলো, বিভিন্ন আন্তনগর ট্রেনের যাত্রীরা টিকিট ফেরত দিতে পারবেন। তার পরও শাহীনের মতো অনেক যাত্রী অপেক্ষা করতেই থাকলেন, যদি ট্রেন আসে! সেই তূর্ণা নিশীথা এল ভোর প্রায় চারটায়। কিন্তু যাত্রা করেও বেশি দূর যেতে পারল না।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, তখনো প্রচুর যাত্রী অপেক্ষা করছে। যাত্রীদের বড় অংশই সারা রাত স্টেশনে ছিল।
দুই দিনে টানা ১৪ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এভাবেই ঈদে ঘরমুখী মানুষের চলাচলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার পর মঙ্গল ও বুধবারে অন্তত ১৭টি ট্রেন দুই থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত যাত্রাপথে বিরতি কিংবা বিলম্বে যাত্রা করে।
এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা-জামালপুর পথের ঈদে ঘরমুখী প্রায় ৩০ হাজার মানুষের পরিকল্পিত যাত্রা অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। নারী-শিশু নিয়ে অগ্রিম টিকিট কেটে রাখা এসব যাত্রী কমলাপুর স্টেশন ও যাত্রাপথে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়ে। গতকাল বুধবার থেকে ঈদের জন্য বিক্রি করা অগ্রিম টিকিটের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই বিপর্যয়ের করণে উত্তরবঙ্গসহ অন্য পথে চলাচলকারী ট্রেনের যাত্রাও বিলম্বিত হয়।
গতকাল রাতে রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা ছয়টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তিনি জানান, এগারসিন্দুর ট্রেনের যে নয়টি বগি পুড়ে গেছে, সম্প্রতি মেরামত করা বগি দিয়ে সেই ট্রেনটি চালু রাখা হবে।
এদিকে, নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বিক্ষোভকারীরা আটকে দিলে কয়েকটি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা যাত্রীরা। কিছু বাস ঢাকা থেকে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে বিকল্প পথে চলেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর পৌর মেয়র মারা গেলে রাত নয়টায় ট্রেনলাইন বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধরা। এরপর রাত তিনটার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বুধবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্দুর ট্রেনে আগুন দেওয়া হলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। সব মিলিয়ে ট্রেন বন্ধ ছিল ১৪ ঘণ্টা।
গত মঙ্গলবার রাতে এগারসিন্দুর, চট্টগ্রাম থেকে আসা মহানগর গোধূলী, নোয়াখালী থেকে আসা উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস, নোয়াখালী থেকে আসা নোয়াখালী এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে সিলেটগামী উপবন ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেন পথে কিংবা কমলাপুর স্টেশনে আটকে যায়।
গতকাল বুধবার আবারও ট্রেন চলাচল বন্ধ হলে সুবর্ণা, মহানগর, জয়ন্তিকা, চট্টলা ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেসসহ ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া নয়টি ট্রেন পথে ও কমলাপুর স্টেশনে আটকে যায়।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের বিপরীতে তাঁরা প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছেন। দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রী হিসাবে ধরলে ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী চলাচল করার কথা। এই যাত্রীর মধ্যে অন্তত ৩০ হাজারের বেশি ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা-জামালপুর পথের। গতকাল ট্রেনে আগুন দেওয়ার পর ঢাকা-জামালপুর পথের একটিসহ অন্য পথের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কমলাপুর স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সারা দিন রেলের কোনো কর্মকর্তাকে স্টেশনে দেখা যায়নি। সে জন্য সমস্যার কখন সমাধান হবে কিংবা ট্রেন ছাড়বে কি না, সেটা জানতে না পেরে অনিশ্চয়তায় পড়তে হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে কমলাপুর স্টেশনে মাইকে ঘোষণা আসে, ‘অনির্দিষ্ট বিলম্বের কারণে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলী ও সুবর্ণা ট্রেনের টিকিট ফেরত নেওয়া হচ্ছে। কোনো যাত্রী চাইলে টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে যেতে পারবেন।’
টিকিট ফেরত নেওয়ার জন্য একটি কাউন্টার খোলা হয়। এতে কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ সারি পড়ে যায়।
জামালপুরগামী যমুনা ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে সারিতে দাঁড়ানো অবস্থায় বিকেল পাঁচটায় কথা হয় মোরশেদুজ্জামানের সঙ্গে। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি অভিযোগ করেন, ‘অগ্রিম টিকিট কেটেছিলাম ১০ ঘণ্টা সারিতে দাঁড়িয়ে। এখন টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। বউ-বাচ্চা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে আছে দুপুর থেকে। এখন বাসায় ফিরে যাওয়ারও শক্তি নেই।’
রেলওয়ে সূত্র জানায়, নরসিংদীতে যে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটিই ঢাকায় এসে যমুনা এক্সপ্রেস হিসেবে জামালপুরে যাওয়ার কথা বেলা তিনটায়। গতকাল এই ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়।
ঝামেলায় পড়েছে বাসের যাত্রীরাও। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর বাস টার্মিনাল ও জয়কালীমন্দির এলাকা থেকে ভৈরব, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার বাস চলাচল করে। এই সব বাসই নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে যায়। গতকাল সকাল থেকেই এই মহাসড়ক ছিল বন্ধ।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, তখনো প্রচুর যাত্রী অপেক্ষা করছে। যাত্রীদের বড় অংশই সারা রাত স্টেশনে ছিল।
দুই দিনে টানা ১৪ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এভাবেই ঈদে ঘরমুখী মানুষের চলাচলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার পর মঙ্গল ও বুধবারে অন্তত ১৭টি ট্রেন দুই থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত যাত্রাপথে বিরতি কিংবা বিলম্বে যাত্রা করে।
এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা-জামালপুর পথের ঈদে ঘরমুখী প্রায় ৩০ হাজার মানুষের পরিকল্পিত যাত্রা অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। নারী-শিশু নিয়ে অগ্রিম টিকিট কেটে রাখা এসব যাত্রী কমলাপুর স্টেশন ও যাত্রাপথে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়ে। গতকাল বুধবার থেকে ঈদের জন্য বিক্রি করা অগ্রিম টিকিটের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই বিপর্যয়ের করণে উত্তরবঙ্গসহ অন্য পথে চলাচলকারী ট্রেনের যাত্রাও বিলম্বিত হয়।
গতকাল রাতে রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা ছয়টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তিনি জানান, এগারসিন্দুর ট্রেনের যে নয়টি বগি পুড়ে গেছে, সম্প্রতি মেরামত করা বগি দিয়ে সেই ট্রেনটি চালু রাখা হবে।
এদিকে, নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বিক্ষোভকারীরা আটকে দিলে কয়েকটি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা যাত্রীরা। কিছু বাস ঢাকা থেকে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে বিকল্প পথে চলেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর পৌর মেয়র মারা গেলে রাত নয়টায় ট্রেনলাইন বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধরা। এরপর রাত তিনটার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বুধবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্দুর ট্রেনে আগুন দেওয়া হলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। সব মিলিয়ে ট্রেন বন্ধ ছিল ১৪ ঘণ্টা।
গত মঙ্গলবার রাতে এগারসিন্দুর, চট্টগ্রাম থেকে আসা মহানগর গোধূলী, নোয়াখালী থেকে আসা উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস, নোয়াখালী থেকে আসা নোয়াখালী এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে সিলেটগামী উপবন ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেন পথে কিংবা কমলাপুর স্টেশনে আটকে যায়।
গতকাল বুধবার আবারও ট্রেন চলাচল বন্ধ হলে সুবর্ণা, মহানগর, জয়ন্তিকা, চট্টলা ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেসসহ ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া নয়টি ট্রেন পথে ও কমলাপুর স্টেশনে আটকে যায়।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের বিপরীতে তাঁরা প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছেন। দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রী হিসাবে ধরলে ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী চলাচল করার কথা। এই যাত্রীর মধ্যে অন্তত ৩০ হাজারের বেশি ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা-জামালপুর পথের। গতকাল ট্রেনে আগুন দেওয়ার পর ঢাকা-জামালপুর পথের একটিসহ অন্য পথের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কমলাপুর স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সারা দিন রেলের কোনো কর্মকর্তাকে স্টেশনে দেখা যায়নি। সে জন্য সমস্যার কখন সমাধান হবে কিংবা ট্রেন ছাড়বে কি না, সেটা জানতে না পেরে অনিশ্চয়তায় পড়তে হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে কমলাপুর স্টেশনে মাইকে ঘোষণা আসে, ‘অনির্দিষ্ট বিলম্বের কারণে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলী ও সুবর্ণা ট্রেনের টিকিট ফেরত নেওয়া হচ্ছে। কোনো যাত্রী চাইলে টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে যেতে পারবেন।’
টিকিট ফেরত নেওয়ার জন্য একটি কাউন্টার খোলা হয়। এতে কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ সারি পড়ে যায়।
জামালপুরগামী যমুনা ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে সারিতে দাঁড়ানো অবস্থায় বিকেল পাঁচটায় কথা হয় মোরশেদুজ্জামানের সঙ্গে। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি অভিযোগ করেন, ‘অগ্রিম টিকিট কেটেছিলাম ১০ ঘণ্টা সারিতে দাঁড়িয়ে। এখন টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। বউ-বাচ্চা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে আছে দুপুর থেকে। এখন বাসায় ফিরে যাওয়ারও শক্তি নেই।’
রেলওয়ে সূত্র জানায়, নরসিংদীতে যে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটিই ঢাকায় এসে যমুনা এক্সপ্রেস হিসেবে জামালপুরে যাওয়ার কথা বেলা তিনটায়। গতকাল এই ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়।
ঝামেলায় পড়েছে বাসের যাত্রীরাও। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর বাস টার্মিনাল ও জয়কালীমন্দির এলাকা থেকে ভৈরব, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার বাস চলাচল করে। এই সব বাসই নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে যায়। গতকাল সকাল থেকেই এই মহাসড়ক ছিল বন্ধ।
No comments