যশোরে বছরে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে হচ্ছে সবজি চাষ by ফখরে আলম,
যশোরে প্রতিবছর এক হাজার কোটি টাকার সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। জেলার ২৫ লাখ মানুষের চাহিদা মিটিয়ে এই সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন সবজি চাষ করছেন। যশোরের ৮টি উপজেলায় সবজি চাষ হয়। তবে যশোর সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় বেশি সবজি চাষ হচ্ছে। কৃষকরা উন্নত বীজ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি আগাম সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। সরেজমিনে যশোর সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলার সবজি চাষ এলাকা ঘুরে কৃষক এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
যশোর সদর উপজেলার নোঙ্গরপুর, সাতমাইল, চূড়ামনকাঠি, হৈবতপুর ও শাহবাজপুর এবং বাঘারপাড়া উপজেলার গাইদঘাট, দাদপুর, রোস্তমপুর, ছাতিয়ানতলা ও খানপুর গ্রামের সবজিক্ষেতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো, আগাম বাঁধাকপি, মুলা, শিম ও বেগুন চাষ হয়েছে। সদর উপজেলার যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে সাতমাইলের মাঠে দেখা যায়, কৃষকরা সেখানে শিম আর বেগুন চাষ করেছেন। শিমক্ষেত পরিচর্যা করার সময় কথা হয় শাহবাজপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের সঙ্গে। তিনি এবার ১০ বিঘা জমিতে শিম এবং তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। তিনি জানান, এক বিঘায় শিম চাষ করতে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি শিম ফলে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ কেজি। বর্তমানে তিনি পাইকারি দরে প্রতি কেজি শিম বিক্রি করছেন ৪০-৫০ টাকায়। এক বিঘা জমিতে ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকার শিম বিক্রি হতে পারে।
মানিকদিহী গ্রামের মিজানুর রহমান এবার তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। এরই মধ্যে বেগুনে ফুল এসেছে। তিনি জানান, এক বিঘা বেগুন চাষে খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ৫০-৬০ হাজার টাকায়। বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয় প্রায় ২০০ মণ বেগুন। তিনি বলেন, 'সবজি চাষ করে আমরা উপকৃত হয়েছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এর চেয়ে লাভজনক আর কিছু নেই।' সাতমাইল এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, 'আমার ইউনিয়নে ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম রূপচাঁন ও ইপসা শিম চাষ হয়েছে।' শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নোঙরপুরে দেখা যায় অন্য রকম সবুজের সমারোহ। কৃষকরা জোট বেঁধে গ্রামের ১০০ বিঘা জমিতে শুধু বাঁধাকপির চাষ করেছেন। কৃষক ইকবাল হোসেন দেড় বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। এরই মধ্যে তাঁর জমির কপি বিক্রিযোগ্য হয়েছে। তিনি জানান, এক বিঘায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। তিনি আশা করছেন, এবার ৬০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হবে। ফজলুর রহমান নামের আরেক কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষ করেছেন কপি। এ ব্যাপারে যশোরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক শেখ হেমায়েত হোসেন বলেন, 'যশোরে বছরে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। গত বছর উৎপাদিত হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টন সবজি। এই হিসাবে গড়ে ২০ টাকা কেজি দাম ধরা হলে যশোরে বছরে এক হাজার কোটি টাকার সবজি উৎপাদিত হচ্ছে।' স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, কারিগরি পরামর্শ, উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত বীজ সরবরাহের কারণে যশোর অঞ্চলে সবজির বাম্পার ফলন হচ্ছে।
মানিকদিহী গ্রামের মিজানুর রহমান এবার তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। এরই মধ্যে বেগুনে ফুল এসেছে। তিনি জানান, এক বিঘা বেগুন চাষে খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ৫০-৬০ হাজার টাকায়। বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয় প্রায় ২০০ মণ বেগুন। তিনি বলেন, 'সবজি চাষ করে আমরা উপকৃত হয়েছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এর চেয়ে লাভজনক আর কিছু নেই।' সাতমাইল এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, 'আমার ইউনিয়নে ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম রূপচাঁন ও ইপসা শিম চাষ হয়েছে।' শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নোঙরপুরে দেখা যায় অন্য রকম সবুজের সমারোহ। কৃষকরা জোট বেঁধে গ্রামের ১০০ বিঘা জমিতে শুধু বাঁধাকপির চাষ করেছেন। কৃষক ইকবাল হোসেন দেড় বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। এরই মধ্যে তাঁর জমির কপি বিক্রিযোগ্য হয়েছে। তিনি জানান, এক বিঘায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। তিনি আশা করছেন, এবার ৬০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হবে। ফজলুর রহমান নামের আরেক কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষ করেছেন কপি। এ ব্যাপারে যশোরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক শেখ হেমায়েত হোসেন বলেন, 'যশোরে বছরে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। গত বছর উৎপাদিত হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টন সবজি। এই হিসাবে গড়ে ২০ টাকা কেজি দাম ধরা হলে যশোরে বছরে এক হাজার কোটি টাকার সবজি উৎপাদিত হচ্ছে।' স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, কারিগরি পরামর্শ, উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত বীজ সরবরাহের কারণে যশোর অঞ্চলে সবজির বাম্পার ফলন হচ্ছে।
No comments