আরো এগোতে প্রয়োজন স্ব-উদ্যোগী নারী নেতৃত্ব

ন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রয়োজন স্ব-উদ্যোগী নারী নেতৃত্ব, যাঁরা স্থানীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে 'নরডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ' (এনসিসিআই) আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্বরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এ আলোচনায় এনসিসিআইয়ের সদস্য, বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তা ও সংগঠকরা অংশ নেন। এতে সহায়তা করে ঢাকায় নরওয়ের দূতাবাস।


তিনটি পর্বে ভাগ করা অনুষ্ঠানে বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে শক্তিশালী নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলা, নারী শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, নারী উদ্যোক্তা তৈরি, ব্যবসায়িক অংশীদারদের সুসম্পর্ক এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নতুন ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
গুলশানে এরিকসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনার মূল বিষয় ছিল নারীর পরিচয়, কর্ম ও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগকে কাজে লাগানোর বিষয়ে নারী নেতৃত্ব এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে তোলা। অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডা. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে অনেক নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছেন, যাঁরা সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে ব্যাপকভিত্তিক ভূমিকা রাখছেন।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত রহ্নে বিরতে লুন্দ বলেন, নারী উদ্যোক্তারা খারাপ সময় কিভাবে উৎরে যাবেন, সে জন্য এ আলোচনা অনেকটা সহায়ক হবে। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা উন্নয়নশীল ও সম্ভাবনার বাংলাদেশে নিজেদের একটা ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন।
তিনি বলেন, 'নারীরা স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোতে তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সফলতা দেখাতে পেরেছেন। নারীদের অংশগ্রহণে আমাদের অর্থনীতি, জন্মহার এবং বাজেটে বড় ধরনের সহায়তা হচ্ছে। তাই আমি আপনাদের উৎসাহিত করছি এ জন্য যে স্থানীয় এবং বিশ্বজুড়ে নারীরা যাতে ব্যবসায়িকভাবে এগোতে পারে, সে জন্য এনসিসিআই যেন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়।'
বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রেনিউর্সের প্রেসিডেন্ট রোকিয়া আফজাল রহমান বলেন, বাংলাদেশের আর্থর্-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে নারী উদ্যোক্তারা ভালো ভূমিকা রাখছেন। কোনো রকমের প্রযুক্তিগত সহায়তা ছাড়াই নিজেদের মৌলিক জ্ঞান এবং দক্ষতা দিয়ে ব্যবসায়িক চিত্রটা বদলে দিচ্ছেন।
এনসিসিআইয়ের সভাপতি এরিল্ড ক্লেকেরহাগ বলেন, সামাজিক পদ্ধতি ও ব্যবসায়িক রীতি নরডিক দেশগুলোতে নারীর ক্ষমতায়নের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক নেতৃত্ব, নতুন ব্যবসার সৃষ্টি এবং কাজের ক্ষেত্রে সমতার সুযোগ তৈরি করেছে। এরিল্ড ক্লেকেরহাগ আরো বলেন, নরডিক দেশগুলো খুবই প্রতিযোগিতামূলক, বিশ্বব্যাপী এটি স্বীকৃত। বাংলাদেশ ক্রমেই খুবই আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক গন্তব্য হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত অ্যানিলি লিনডাল কেনি, ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত এসভেনড অলিং, টেলিনরের এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলডা টনে, ঢাকা উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ফারহানা নাজ আহমেদ, টিএমএসএসের এঙ্িিকউটিভ ডাইরেক্টর অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, বেসরকারি সংস্থা 'বাঁচতে শেখা'র প্রতিষ্ঠাতা অ্যাঞ্জেলা গমেজ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) হেড অব রিসার্চ ড. ফাহমিদা খাতুন, এরিকসন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পার-হেনরিক নেইলসন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

No comments

Powered by Blogger.