আমাকে দিয়ে ক্লাবের খারাপ হলে বাদ দিতে পারে
গত মৌসুমে মোহামেডানের চরম দুঃসময়ে হাল ধরেছিলেন শফিকুল ইসলাম মানিক। অখ্যাতদের নিয়ে গড়া দলে ঘষামাজা করতে করতেই মোটামুটি একটা মানে দাঁড়িয়েছিল সাদা-কালো ফুটবল দল। বিস্ময়করভাবে ক্লাবের নতুন কমিটি এই কোচকে ছেঁটে ফেলতে চাইছে বলে খবর চাউর হয়েছে চারদিক। এসব ব্যাপারে মানিক মুখোমুখি হয়েছেন কালের কণ্ঠ স্পোর্টসেরকালের কণ্ঠ স্পোর্টস : আপনি মোহামেডানে আছেন, এটাই এখনো পর্যন্ত সত্যি। কিন্তু আপনাকে নিয়ে হঠাৎ মোহামেডানের অফিশিয়ালদের তরফ থেকে নেতিবাচক কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে...
শফিকুল ইসলাম মানিক : যে নেতিবাচক খবরের কথা বলছেন সেটা আমার কাছে এখনো উড়ো খবরই। কারণ আমাকে সরাসরি কিছু জানায়নি মোহামেডান। সত্যি বললে, আমি এবারও মোহামেডানে কাজ করব বলে ঠিক করেছিলাম। গত মৌসুমে সুপার কাপের সময়ই বেশির ভাগ দল অনানুষ্ঠানিক দলবদল সেরে ফেলে। তখন যাঁরা ক্লাবের কর্মকর্তা ছিলেন তাঁরা কিছু অর্থ দিয়ে নতুন মৌসুমের জন্য দল গড়ার অনুরোধ করে আমাকে। মোটামুটি একটা দল গঠন করি আমি। নিজে দল গড়েছি বলে নৈতিকভাবে তাদের সঙ্গে থাকার একটা দায় আমার ওপর এসে পড়ে, তাই নানা অফার উপেক্ষা করেও আমি রয়ে গেছি মোহামেডানে। কিন্তু ক্লাবের নির্বাচনের পরে নানা উড়ো কথাই শুনছি। কোচ পাল্টে দলের ভালো হলে আমার কোনো আপত্তি নেই।
প্রশ্ন : কিন্তু এ ব্যাপারে কি ক্লাবের কর্মকর্তারা আপনার সঙ্গে কথা বলেনি?
মানিক : না। একবার শুধু এক পরিচালক আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন দলবদল শেষ করতে কী পরিমাণ টাকা লাগবে। মানে আরো নতুন কিছু খেলোয়াড়কে নিতে গেলে কত টাকা অগ্রিম দিতে হবে? সেটা আমি জানালাম, তারপর দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলল মোহামেডান। আমাকে ক্লাব থেকে জানানো হয়নি বলে আমি সেদিন উপস্থিত ছিলাম না দলবদলে।
প্রশ্ন : অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ক্লাবের সঙ্গে আপনার একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত চলে যেতে হলে...
মানিক : আমার দিক থেকে কোনো দূরত্ব নেই। আমি প্রতিদিনই ক্লাবে যাই, খোঁজখবর নিই। তাদের চিন্তা-ভাবনা কী, সেটা তো আর আমি জানি না। আমাকে দিয়ে ক্লাবের খারাপ হলে তারা বাদ দিতে পারে। সেখানে তো আমার করার কিছু নেই।
প্রশ্ন : তখন আপনি তো সমস্যায় পড়ে যাবেন। আগে আপনার কয়েকটি দল থেকেই অফার ছিল। তা কী এখনো আছে?
মানিক : সমস্যা মানে হয়তো চাকরিহীন থাকব। কারণ যেসব জায়গা থেকে অফার ছিল তারা কোচ নিয়োগ দিয়ে ফেলেছে। শেখ জামাল ধানমণ্ডির তরফ থেকে খুব ভালো অফার ছিল আমার। মুক্তিযোদ্ধাও চেয়েছিল আমাকে। কিন্তু আমার নৈতিকতা সব সময় আমাকে বাধা দিয়েছে মোহামেডান ছেড়ে যেতে। দলটি করেছি আমি, আমার কথায় অনেকে মোহামেডানে এসেছে। এবারও দলটি ভালো হয়নি জানি। তার পরও আমি দল ছেড়ে গেলে ব্যাপারটা মোটেও ভালো দেখাত না। অর্থের চেয়ে ন্যায়-নীতিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছিল আমার কাছে। তার বিনিময়ে ক্লাব বিদায় করলেও আমার কোনো আপত্তি নেই। ভাবব, নতুন কমিটি ক্লাবের ভালোর জন্যই এটা করছে।
প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধায় এখনো আপনার দুয়ার খোলা আছে, শোনা যাচ্ছে...
মানিক : তারা একজন কোচকে নিয়োগ দিয়ে ফেলেছে। তাই বিষয়টা এখন ওরকম কোনো পর্যায়ে নেই।
প্রশ্ন : কিন্তু এ ব্যাপারে কি ক্লাবের কর্মকর্তারা আপনার সঙ্গে কথা বলেনি?
মানিক : না। একবার শুধু এক পরিচালক আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন দলবদল শেষ করতে কী পরিমাণ টাকা লাগবে। মানে আরো নতুন কিছু খেলোয়াড়কে নিতে গেলে কত টাকা অগ্রিম দিতে হবে? সেটা আমি জানালাম, তারপর দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলল মোহামেডান। আমাকে ক্লাব থেকে জানানো হয়নি বলে আমি সেদিন উপস্থিত ছিলাম না দলবদলে।
প্রশ্ন : অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ক্লাবের সঙ্গে আপনার একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত চলে যেতে হলে...
মানিক : আমার দিক থেকে কোনো দূরত্ব নেই। আমি প্রতিদিনই ক্লাবে যাই, খোঁজখবর নিই। তাদের চিন্তা-ভাবনা কী, সেটা তো আর আমি জানি না। আমাকে দিয়ে ক্লাবের খারাপ হলে তারা বাদ দিতে পারে। সেখানে তো আমার করার কিছু নেই।
প্রশ্ন : তখন আপনি তো সমস্যায় পড়ে যাবেন। আগে আপনার কয়েকটি দল থেকেই অফার ছিল। তা কী এখনো আছে?
মানিক : সমস্যা মানে হয়তো চাকরিহীন থাকব। কারণ যেসব জায়গা থেকে অফার ছিল তারা কোচ নিয়োগ দিয়ে ফেলেছে। শেখ জামাল ধানমণ্ডির তরফ থেকে খুব ভালো অফার ছিল আমার। মুক্তিযোদ্ধাও চেয়েছিল আমাকে। কিন্তু আমার নৈতিকতা সব সময় আমাকে বাধা দিয়েছে মোহামেডান ছেড়ে যেতে। দলটি করেছি আমি, আমার কথায় অনেকে মোহামেডানে এসেছে। এবারও দলটি ভালো হয়নি জানি। তার পরও আমি দল ছেড়ে গেলে ব্যাপারটা মোটেও ভালো দেখাত না। অর্থের চেয়ে ন্যায়-নীতিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছিল আমার কাছে। তার বিনিময়ে ক্লাব বিদায় করলেও আমার কোনো আপত্তি নেই। ভাবব, নতুন কমিটি ক্লাবের ভালোর জন্যই এটা করছে।
প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধায় এখনো আপনার দুয়ার খোলা আছে, শোনা যাচ্ছে...
মানিক : তারা একজন কোচকে নিয়োগ দিয়ে ফেলেছে। তাই বিষয়টা এখন ওরকম কোনো পর্যায়ে নেই।
No comments