আবার জেগে উঠল বাংলাদেশ
দুই বলে চাই চার রান। হবে, নাকি হবে না? অনিশ্চয়তার ভেলায় ভেসে রোমাঞ্চের দোলায় দুলছে স্টেডিয়ামের হাজার বিশেক দর্শক। রবি রামপলের করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলটিতে ব্যাট ছুঁইয়েই অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম শূন্যে ছুড়ে দিলেন মুষ্টিবদ্ধ হাত। বল কিন্তু তখনো আকাশে ভেসে ৩০ গজের সীমাও পেরোয়নি। কিন্তু টাইমিংটা এত নিখুঁত হয়েছিল যে, যা বোঝার বুঝে গিয়েছিলেন অধিনায়ক। ক্ষণকাল স্তব্ধ থেকে মুশফিকের উল্লাসে সম্বিত ফিরে পেলেন দর্শকরা। উচ্ছ্বাসে কেঁপে উঠল শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। যার ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশের প্রতি কোণে।
অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচে জয়, যে জয়ে ছেদ পড়ল টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চার বছরের নিষ্ফলা সময়ের, নিজে হয়েছেন ম্যাচসেরা, করেছেন ২৬ বলে অপরাজিত ৪১, ম্যাচ শেষ করেছেন ছক্কা দিয়ে_ এসব কিছুর মিলিত সমীকরণে মুশফিক সংবাদ সম্মেলনে এসে যথার্থই বলেছেন, 'এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারত না।' একই কথা তো প্রযোজ্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও।
গত বছরের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাই করে নতুন দিনের আগমনী গান শুনিয়েছিল বাংলাদেশ। অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে বাংলাদেশ থিতু হতে পারবে_এমন আশার পালে তখন জোর হাওয়া। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই কী এক দমকা হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল সব! বিশ্বকাপে ৫৮ ও ৭৮-এর কেলেঙ্কারি তো ছিলই। তবুও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে মুখরক্ষা হয় আপাতত। কিন্তু জিম্বাবুয়ে গিয়ে আর মুখরক্ষা হলো না। সব সিরিজ হেরে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। তৎকালীন অধিনায়ক সাবিক আল হাসান এবং সহঅধিনায়ক তামিম ইকবালের কৃতকর্মগুলো তখন চলে আসে সামনে। যার ফলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয় তাঁদের। কালকের ম্যাচটি ছিল নতুন বাংলাদেশের পথচলা। সেখানে শুরুটা তো আর এর চেয়ে ভালোভাবে হতে পারত না।
তাই তো অধিনায়কের ছক্কার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে ছুটে গেছেন স্কোয়াডের অন্য ক্রিকেটাররা। মেতে উঠেছেন শিশুর মতো আনন্দে। এরপর ড্রেসিংরুমেও কত উদ্যাপন। অনেকের চোখের কোণে তখন চিকচিক করছে অশ্রুবিন্দু। আনন্দ অশ্রু! এরপর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক এলেন বীরের মতো। নতুন যুগের পাঞ্জেরি হয়ে, যাঁর হাতে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলোকবর্তিকা।
তাই বলে মাইক্রোফোনের সামনে সব কৃতিত্ব একা নিয়ে নেননি। পুরো দলকেই ভাসিয়েছেন অকুণ্ঠ প্রশংসায়, 'আমাদের বোলিং-ফিল্ডিং খুব ভালো হয়েছে। বিশেষত ফিল্ডিং। ওখানে আজ আমরা ১০-১২ রান সেভ করেছি। সেটি খুব কাজে এসেছে। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়েছে। তবে মিডল ওডারে খুব একটা ভালো করতে পারিনি। লোয়ার মিডল অর্ডারে নাসির-নাঈম আমাকে খুব সাহায্য করেছে। সব মিলিয়ে দারুণ দলীয় প্রচেষ্টার এই জয়।' এই জয়ে একটু যে খুঁত সেটি ছিল ব্যাটিং। আর তা স্বীকারও করেছেন মুশফিক, 'আসলে এই উইকেটে ১৩২ খুব একটা বড় স্কোর না। মিডল অর্ডারে আমরা খারাপ ব্যাটিং করে ম্যাচটি ওদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।'
মুশফিক বলেছেন বটে, ১৩২ বড় স্কোর না। তবে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ড্যারেন সামি কিন্তু এটি দিয়েই ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন, 'এই তো কিছুদিন আগে আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৩ রান করেও জিতেছিলাম। এ কারণে আজ আশা ছাড়িনি। বোলারদের ওপর আমার আস্থা পুরোমাত্রায় ছিল।' সে আস্থার প্রতিদানে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যালিপসো সুর থেমে যায় মুশফিকের ব্যাটের মোহন বাঁশিতে। এই হারকে অবশ্য তারপরও 'ওয়েক আপ কল' বলতে নারাজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক, 'কারণ আমি তো আগেই বলেছি এটি হবে রোমাঞ্চকর এক সিরিজ।'
রোমাঞ্চের সেই প্রথম পর্বে কাল বিজয়ী বাংলাদেশ। যে বিজয়ের বার্তা পেঁৗছে গেছে ঘরে ঘরে। আবার ক্রিকেট আড্ডায় মাতছে বাংলাদেশ। তাই রঙিন ঘুড়ি উড়ছে এই পাললিক ব-দ্বীপের ক্রিকেটাকাশে। মুশফিকুর রহিমের জিয়নকাঠির স্পর্শে আবারও সত্যি সত্যি জেগে উঠল বাংলাদেশ!
গত বছরের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাই করে নতুন দিনের আগমনী গান শুনিয়েছিল বাংলাদেশ। অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে বাংলাদেশ থিতু হতে পারবে_এমন আশার পালে তখন জোর হাওয়া। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই কী এক দমকা হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল সব! বিশ্বকাপে ৫৮ ও ৭৮-এর কেলেঙ্কারি তো ছিলই। তবুও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে মুখরক্ষা হয় আপাতত। কিন্তু জিম্বাবুয়ে গিয়ে আর মুখরক্ষা হলো না। সব সিরিজ হেরে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। তৎকালীন অধিনায়ক সাবিক আল হাসান এবং সহঅধিনায়ক তামিম ইকবালের কৃতকর্মগুলো তখন চলে আসে সামনে। যার ফলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয় তাঁদের। কালকের ম্যাচটি ছিল নতুন বাংলাদেশের পথচলা। সেখানে শুরুটা তো আর এর চেয়ে ভালোভাবে হতে পারত না।
তাই তো অধিনায়কের ছক্কার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে ছুটে গেছেন স্কোয়াডের অন্য ক্রিকেটাররা। মেতে উঠেছেন শিশুর মতো আনন্দে। এরপর ড্রেসিংরুমেও কত উদ্যাপন। অনেকের চোখের কোণে তখন চিকচিক করছে অশ্রুবিন্দু। আনন্দ অশ্রু! এরপর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক এলেন বীরের মতো। নতুন যুগের পাঞ্জেরি হয়ে, যাঁর হাতে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলোকবর্তিকা।
তাই বলে মাইক্রোফোনের সামনে সব কৃতিত্ব একা নিয়ে নেননি। পুরো দলকেই ভাসিয়েছেন অকুণ্ঠ প্রশংসায়, 'আমাদের বোলিং-ফিল্ডিং খুব ভালো হয়েছে। বিশেষত ফিল্ডিং। ওখানে আজ আমরা ১০-১২ রান সেভ করেছি। সেটি খুব কাজে এসেছে। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়েছে। তবে মিডল ওডারে খুব একটা ভালো করতে পারিনি। লোয়ার মিডল অর্ডারে নাসির-নাঈম আমাকে খুব সাহায্য করেছে। সব মিলিয়ে দারুণ দলীয় প্রচেষ্টার এই জয়।' এই জয়ে একটু যে খুঁত সেটি ছিল ব্যাটিং। আর তা স্বীকারও করেছেন মুশফিক, 'আসলে এই উইকেটে ১৩২ খুব একটা বড় স্কোর না। মিডল অর্ডারে আমরা খারাপ ব্যাটিং করে ম্যাচটি ওদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।'
মুশফিক বলেছেন বটে, ১৩২ বড় স্কোর না। তবে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ড্যারেন সামি কিন্তু এটি দিয়েই ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন, 'এই তো কিছুদিন আগে আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৩ রান করেও জিতেছিলাম। এ কারণে আজ আশা ছাড়িনি। বোলারদের ওপর আমার আস্থা পুরোমাত্রায় ছিল।' সে আস্থার প্রতিদানে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যালিপসো সুর থেমে যায় মুশফিকের ব্যাটের মোহন বাঁশিতে। এই হারকে অবশ্য তারপরও 'ওয়েক আপ কল' বলতে নারাজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক, 'কারণ আমি তো আগেই বলেছি এটি হবে রোমাঞ্চকর এক সিরিজ।'
রোমাঞ্চের সেই প্রথম পর্বে কাল বিজয়ী বাংলাদেশ। যে বিজয়ের বার্তা পেঁৗছে গেছে ঘরে ঘরে। আবার ক্রিকেট আড্ডায় মাতছে বাংলাদেশ। তাই রঙিন ঘুড়ি উড়ছে এই পাললিক ব-দ্বীপের ক্রিকেটাকাশে। মুশফিকুর রহিমের জিয়নকাঠির স্পর্শে আবারও সত্যি সত্যি জেগে উঠল বাংলাদেশ!
No comments