ঈশ্বরদীর চালের বাজারে বিক্রি নেমেছে প্রায় শূন্যের কোঠায় by আহমেদ উল হক রানা,
দেশের অন্যতম ধান-চালের আড়ত পাবনার ঈশ্বরদীতে চালের বাজারে ধস নেমেছে। এলসির মাধ্যমে সম্প্রতি অতিরিক্ত চালের আমদানি, ধানের দাম এবং অটো রাইস মিলের বাছাই করা চালের দাম কমে যাওয়ায় এই ধস নেমে এসেছে বলে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা জানান। ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া, জয়নগর, সাহাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫৫০ থেকে ৬০০ ধানের চাতাল আছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন এসব আড়ত থেকে ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক চাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এতে প্রতিদিন ঈশ্বরদীতে প্রায় ১০ কোটি টাকার বিকিকিনি হয়। গত এক সপ্তাহে এ বিকিকিনি প্রায় ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ প্রায় ৯০ শতাংশ কমেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখন ঈশ্বরদীর সব মিলে দিনে এক কোটি টাকার চাল বিক্রিও সম্ভব হচ্ছে না।
ঈশ্বরদী উপজেলা ধান-চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আলী বিশ্বাস জানান, প্রতিদিন তাঁর চাতাল থেকেই শুধু ঢাকার ৩১টি দোকানে চাল সরবরাহ করা হতো। গত এক সপ্তাহে সে সরবরাহ নেমে এসেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়। তিনি জানান, চালের দাম কমে যাওয়ায় মিল মালিকরা বস্তাপ্রতি লোকসান গুনছে ৩০০ টাকা। তিনি জানান, ঈশ্বরদীর বিভিন্ন চাতালে উৎপাদিত মিনিকেট চালের ৮৪ কেজির বস্তার দাম তিন হাজার ৩৫০ টাকা থেকে কমে তিন হাজার ১০০ টাকা, বিআর২৯ চাল দুই হাজার ৭৫০ টাকা থেকে কমে দুই হাজার ৪০০ টাকা, বিআর২৮ চাল দুই হাজার ৮৫০ টাকা থেকে কমে দুই হাজার ৬৫০ টাকা, হাইব্রীড চাল দুই হাজার ৪৫০ টাকা থেকে কমে দুই হাজার ৩০০ টাকা, পারিজা চাল দুই হাজার ৬০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকায় নেমে এসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাউল ব্যসায়ী ও চাতাল মালিকরা লোকসানের মুখে পড়বেন বলেও জানান সাদেক আলী বিশ্বাস। উপজেলা চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলাম বাজারে চালের দাম পড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে অতিরিক্ত চাল আমদানি করাকে দায়ী করেন। তিনি জানান, আমাদের দেশ তো চালে এরই মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেখানে এবারে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এলসির চালের দাম কম হওয়ার পরও আমদানিকারকরা বাজার ধরে রাখতে চালের দাম আরো কমিয়েছে। এর বিপরীতে দেশি হাস্কিং মিলে উৎপাদিত চালের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় আড়তদাররা বেশি করে কিনছেন এলসির চাল। ফলে ইশ্বরদীর চাল বিক্রি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। শুক্রবার পর্যন্ত ঈশ্বরদীর বিভিন্ন চাতাল ও মিলে প্রায় ১৮ হাজার টন চাল অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে ছিল বলে ব্যবসায়ীরা জানান। খাইরুল ইসলাম ব্যবসার বর্তমান অবস্থাকে শেয়ার বিপর্যয়ের সঙ্গে তুলনা করে জানান, এভাবে অব্যাহত দরপতন ঘটলে ঈশ্বরদীর চালের ব্যবসায়ীরা বেঁচে থাকার তাগিদেই হয়তো ব্যবসা পরিবর্তনে বাধ্য হবেন।
চালের ব্যবসায় ধস নামায় তার ধাক্কা লেগেছে ঈশ্বরদীর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়ও। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান চাল বিক্রি না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে টাকা রাখার বদলে সঞ্চয় করা টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছেন। ব্যাংক এশিয়া ঈশ্বরদী শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, তাঁর ব্যাংকে চাল ব্যবসায়ীরা গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি টাকার লেনদেন করেন। গত এক সপ্তাহে এ লেনদেন কমে ৫০ থেকে ৭০ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। একই অবস্থা অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়ও।
চলতি চাল সংগ্রহ মৌসুমে ঈশ্বরদীতে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টন। এ মাসের ১৫ তারিখে সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। চাতালমালিক ও ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ মৌসুম শেষে চালের বাজারে দরপতন ও অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা ধান-চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আলী বিশ্বাস জানান, প্রতিদিন তাঁর চাতাল থেকেই শুধু ঢাকার ৩১টি দোকানে চাল সরবরাহ করা হতো। গত এক সপ্তাহে সে সরবরাহ নেমে এসেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়। তিনি জানান, চালের দাম কমে যাওয়ায় মিল মালিকরা বস্তাপ্রতি লোকসান গুনছে ৩০০ টাকা। তিনি জানান, ঈশ্বরদীর বিভিন্ন চাতালে উৎপাদিত মিনিকেট চালের ৮৪ কেজির বস্তার দাম তিন হাজার ৩৫০ টাকা থেকে কমে তিন হাজার ১০০ টাকা, বিআর২৯ চাল দুই হাজার ৭৫০ টাকা থেকে কমে দুই হাজার ৪০০ টাকা, বিআর২৮ চাল দুই হাজার ৮৫০ টাকা থেকে কমে দুই হাজার ৬৫০ টাকা, হাইব্রীড চাল দুই হাজার ৪৫০ টাকা থেকে কমে দুই হাজার ৩০০ টাকা, পারিজা চাল দুই হাজার ৬০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকায় নেমে এসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাউল ব্যসায়ী ও চাতাল মালিকরা লোকসানের মুখে পড়বেন বলেও জানান সাদেক আলী বিশ্বাস। উপজেলা চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলাম বাজারে চালের দাম পড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে অতিরিক্ত চাল আমদানি করাকে দায়ী করেন। তিনি জানান, আমাদের দেশ তো চালে এরই মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেখানে এবারে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এলসির চালের দাম কম হওয়ার পরও আমদানিকারকরা বাজার ধরে রাখতে চালের দাম আরো কমিয়েছে। এর বিপরীতে দেশি হাস্কিং মিলে উৎপাদিত চালের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় আড়তদাররা বেশি করে কিনছেন এলসির চাল। ফলে ইশ্বরদীর চাল বিক্রি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। শুক্রবার পর্যন্ত ঈশ্বরদীর বিভিন্ন চাতাল ও মিলে প্রায় ১৮ হাজার টন চাল অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে ছিল বলে ব্যবসায়ীরা জানান। খাইরুল ইসলাম ব্যবসার বর্তমান অবস্থাকে শেয়ার বিপর্যয়ের সঙ্গে তুলনা করে জানান, এভাবে অব্যাহত দরপতন ঘটলে ঈশ্বরদীর চালের ব্যবসায়ীরা বেঁচে থাকার তাগিদেই হয়তো ব্যবসা পরিবর্তনে বাধ্য হবেন।
চালের ব্যবসায় ধস নামায় তার ধাক্কা লেগেছে ঈশ্বরদীর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়ও। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান চাল বিক্রি না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে টাকা রাখার বদলে সঞ্চয় করা টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছেন। ব্যাংক এশিয়া ঈশ্বরদী শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, তাঁর ব্যাংকে চাল ব্যবসায়ীরা গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি টাকার লেনদেন করেন। গত এক সপ্তাহে এ লেনদেন কমে ৫০ থেকে ৭০ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। একই অবস্থা অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়ও।
চলতি চাল সংগ্রহ মৌসুমে ঈশ্বরদীতে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টন। এ মাসের ১৫ তারিখে সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। চাতালমালিক ও ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ মৌসুম শেষে চালের বাজারে দরপতন ও অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন।
No comments