ট্রানজিট থেকে ভারত লাভবান হবে : ড. মসিউর রহমান
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, কাপড়ের ওপর ভারতের দেয়া শুল্ক ছাড় থেকে আমরা লাভবান হবো আর ভারত ট্রানজিট থেকে লাভবান হবে। কিন্তু তিস্তা চুক্তি না হলে ট্রানজিট চুক্তি হবে না, এটা ঠিক নয়। কারণ তিস্তা চুক্তি না হলেও আমরা পানি পাবো। তিনি বলেন, আশুগঞ্জ থেকে আগরতলা পর্যন্ত ভারতকে সাময়িকভাবে যে ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা দেয়া হয়েছে, তা পরীক্ষামূলক। এটা আজীবন চলবে না। যেহেতু ট্রানজিট বা ট্রানশিপমেন্টের কোনো অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। তাই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এটি চালু করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘নতুন বীমা আইন ও বীমা খাত’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মসিউর রহমান বলেন, ভারতের পণ্য পরিবহনের জন্য সড়কের যে ক্ষতি হবে তা সংস্কারের ব্যয়ভার ভারত সরকার বহন করবে। তবে ট্রানজিট কবে থেকে চূড়ান্ত হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না কবে শুরু হচ্ছে। তবে এ নিয়ে কোনো প্রপাগান্ডা বা মিথ্যা সংবাদ প্রচার না করার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি। সরকারের অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গে মসিউর রহমান বলেন, সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ করলেই মূল্যস্ফীতি বাড়ে বিষয়টি এমন নয়। তবে টাকা ছাপিয়ে সরকার খরচ করলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে।
ইআরএফের সভাপতি মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সোহরাব হোসেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আসিফ ইব্রাহিমসহ আরও অনেকে।
বীমা আইন-২০১০ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাড়তি প্রিমিয়াম ধার্য করায় দেশি কোম্পানিতে বীমা করতে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই আইন অনুযায়ী আগের সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি প্রিমিয়াম নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আইডিআরএ বলছে, কোনো ধরনের নতুন বাড়তি চার্জ নেয়া হচ্ছে না। আসিফ ইব্রাহিম বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজার বিভিন্ন কারণে সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। অন্যদিকে অনেক বিনিয়োগকারী গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে উত্পাদনে যেতে পারছেন না। অথচ এই শিল্পকে দেয়া বীমা সুবিধা উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। এমন হলে আমরা দেশি বীমা কোম্পানিতে বীমা করব না। শেফাক আহমেদ বলেন, নতুন কোনো চার্জ নেয়া হচ্ছে না; বরং আগের আইনই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সবার জন্য সমান সুযোগ দেয়া হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ বীমা কোম্পানি এখন রুগ্ন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘বীমাগ্রহীতা এবং বীমা কোম্পানি সবার স্বার্থ রক্ষার জন্যই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রণকারী বডি যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে, তাদের দ্বারাই যদি নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় তাহলে নিয়ন্ত্রণকারী বডি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করতে শুরু করে। তাই রেগুলেটরি বডির নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে মসিউর রহমান বলেন, ভারতের পণ্য পরিবহনের জন্য সড়কের যে ক্ষতি হবে তা সংস্কারের ব্যয়ভার ভারত সরকার বহন করবে। তবে ট্রানজিট কবে থেকে চূড়ান্ত হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না কবে শুরু হচ্ছে। তবে এ নিয়ে কোনো প্রপাগান্ডা বা মিথ্যা সংবাদ প্রচার না করার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি। সরকারের অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গে মসিউর রহমান বলেন, সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ করলেই মূল্যস্ফীতি বাড়ে বিষয়টি এমন নয়। তবে টাকা ছাপিয়ে সরকার খরচ করলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে।
ইআরএফের সভাপতি মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সোহরাব হোসেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আসিফ ইব্রাহিমসহ আরও অনেকে।
বীমা আইন-২০১০ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাড়তি প্রিমিয়াম ধার্য করায় দেশি কোম্পানিতে বীমা করতে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই আইন অনুযায়ী আগের সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি প্রিমিয়াম নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আইডিআরএ বলছে, কোনো ধরনের নতুন বাড়তি চার্জ নেয়া হচ্ছে না। আসিফ ইব্রাহিম বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজার বিভিন্ন কারণে সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। অন্যদিকে অনেক বিনিয়োগকারী গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে উত্পাদনে যেতে পারছেন না। অথচ এই শিল্পকে দেয়া বীমা সুবিধা উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। এমন হলে আমরা দেশি বীমা কোম্পানিতে বীমা করব না। শেফাক আহমেদ বলেন, নতুন কোনো চার্জ নেয়া হচ্ছে না; বরং আগের আইনই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সবার জন্য সমান সুযোগ দেয়া হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ বীমা কোম্পানি এখন রুগ্ন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘বীমাগ্রহীতা এবং বীমা কোম্পানি সবার স্বার্থ রক্ষার জন্যই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রণকারী বডি যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে, তাদের দ্বারাই যদি নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় তাহলে নিয়ন্ত্রণকারী বডি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করতে শুরু করে। তাই রেগুলেটরি বডির নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা থাকতে হবে।
No comments