ফের বড় দরপতনে বিক্ষোভ অগ্নিসংযোগ, অনশন
শেয়ারবাজারে পতন চলছেই। চলতি সপ্তাহে টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এর প্রতিবাদে রাজধানীতে দিনভর বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করেন। ফলে প্রায় তিন ঘণ্টা মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে।মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ২২৫.৫৩ পয়েন্ট কমে ৫২৯৩.৩১ পয়েন্টে স্থির হয়েছে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের তিন দিনে ডিএসইর সূচক কমল ৪৩৪.৪৯ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৯টি কম্পানির মধ্যে ১০টি ছাড়া বাকি সব শেয়ারেরই দাম কমেছে গতকাল।
এদিকে গতকাল ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের কোনো ক্রেতা ছিল না।
গতকাল সকাল ১১টায় লেনদেন শুরুর সময় 'বাংলাদেশ শেয়ার ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন' নামের বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ডিএসইর সামনে মানববন্ধন করে। তারা পুঁজিবাজারকে কুচক্রীমহলের হাত থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে ব্যানার বহন করে। সংগঠনটি এক ঘণ্টার মতো ডিএসই ভবনের সামনে অবস্থান করে নানা স্লোগান দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিনিয়োগকারীদের অন্য একটি সংগঠন 'বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ' তাদের পূর্বঘোষিত প্রতীকী অনশন শুরু করে। তবে দুপুর দেড়টার দিকে ডিএসই সাধারণ মূল্যসূচক ২০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে গেলে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভীর পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁদের অনেকে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা খড়কুটো জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় বিনিয়োগকারীরা দরপতন ঠেকাতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও কামনা করেন। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান রশিদ চৌধুরী বলেন, 'দরপতন হতে হতে বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কিন্তু এর পরও সরকারের বোধোদয় হচ্ছে না। গতকালও (সোমবার) মসিউর রহমান বিনিয়োগকারীদের সুনাগরিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের ফটকাবাজ, জুয়াড়ি বলেছিলেন।' অবিলম্বে লেনদেন স্থগিত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের শীর্ষ লোকজনের কথাতেই প্রমাণ হয়, শেয়ারবাজার নিয়ে তাঁদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে।
বিক্ষোভরত বিনিয়োগকারী রুবেল হোসেন বলেন, 'সরকার শুধু ধৈর্য ধরতে বলে, আমরা আর কত অপেক্ষা করব, নিঃস্ব হওয়ার পর তো আর কিছু বাকি নেই।' শেয়ারবাজারই সরকারের পতন ডেকে আনবে মন্তব্য করে আনোয়ার হোসেন নামের অন্য এক বিনিয়োগকারী বলেন, ৩৪ লাখ বিনিয়োগকারী বাঁচতে না পারলে সরকারও থাকতে পারবে না।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারল্য সংকটের কারণেই শেয়ারবাজারের বিপর্যয় ঠেকানো যাচ্ছে না। বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য গত কয়েক মাসে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়েনি। বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলেও এর প্রতিফলন ঘটেনি শেয়ারবাজারে। উল্টো অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করলে হয়রানির শিকার হতে পারেন_এমন আশঙ্কা থেকে অনেকে এ সুযোগ নেননি। গঠিত 'বাংলাদেশ ফান্ড' নিয়েও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। এ ছাড়া আবারও ফোর্স সেলের আতঙ্ক ভর করছে বিনিয়োগকারীদের মনে। দরপতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া সাম্প্রতিক কয়েকটি সিদ্ধান্তে বাজার মাঝেমধ্যে ঊর্ধ্বমুখী হলেও আবার পতনের ধারায় ফিরে যায়।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, সঞ্চয়পত্রের আমানতের সুদের হার বাড়ায় মানুষ সেদিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে পুঁজিবাজারে চরম তারল্য সংকট রয়েছে। বাজার চাঙ্গা করার জন্য এই সংকট কাটানো প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, 'বাজারের এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরা ছাড়া উপায় নেই। আশা করি বাজার খুব শিগগির ঠিক হয়ে যাবে।'
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের তৃতীয় দিনেও দরপতন দিয়েই লেনদেন শুরু হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)। সময় যতই গড়াতে থাকে সূচকের পতনও ততই বাড়তে থাকে। দুপুর আড়াইটার দিকে সূচক কমে যায় প্রায় ২৫০ পয়েন্টের মতো। দিন শেষে সূচকের পতন ছিল ২২৫.৫৩ পয়েন্ট। গতকাল লেনদেন হওয়া ২৫৯টি কম্পানির মধ্যে ২৪৯টির শেয়ারের দাম কমেছে। কেবল আটটি কম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দুটি কম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। তবে আগের দিনের চেয়ে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সোমবার থেকে গতকাল ৮০ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়ে কাল ৩৩৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
গতকাল সকাল ১১টায় লেনদেন শুরুর সময় 'বাংলাদেশ শেয়ার ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন' নামের বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ডিএসইর সামনে মানববন্ধন করে। তারা পুঁজিবাজারকে কুচক্রীমহলের হাত থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে ব্যানার বহন করে। সংগঠনটি এক ঘণ্টার মতো ডিএসই ভবনের সামনে অবস্থান করে নানা স্লোগান দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিনিয়োগকারীদের অন্য একটি সংগঠন 'বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ' তাদের পূর্বঘোষিত প্রতীকী অনশন শুরু করে। তবে দুপুর দেড়টার দিকে ডিএসই সাধারণ মূল্যসূচক ২০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে গেলে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভীর পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁদের অনেকে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা খড়কুটো জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় বিনিয়োগকারীরা দরপতন ঠেকাতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও কামনা করেন। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান রশিদ চৌধুরী বলেন, 'দরপতন হতে হতে বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কিন্তু এর পরও সরকারের বোধোদয় হচ্ছে না। গতকালও (সোমবার) মসিউর রহমান বিনিয়োগকারীদের সুনাগরিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের ফটকাবাজ, জুয়াড়ি বলেছিলেন।' অবিলম্বে লেনদেন স্থগিত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের শীর্ষ লোকজনের কথাতেই প্রমাণ হয়, শেয়ারবাজার নিয়ে তাঁদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে।
বিক্ষোভরত বিনিয়োগকারী রুবেল হোসেন বলেন, 'সরকার শুধু ধৈর্য ধরতে বলে, আমরা আর কত অপেক্ষা করব, নিঃস্ব হওয়ার পর তো আর কিছু বাকি নেই।' শেয়ারবাজারই সরকারের পতন ডেকে আনবে মন্তব্য করে আনোয়ার হোসেন নামের অন্য এক বিনিয়োগকারী বলেন, ৩৪ লাখ বিনিয়োগকারী বাঁচতে না পারলে সরকারও থাকতে পারবে না।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারল্য সংকটের কারণেই শেয়ারবাজারের বিপর্যয় ঠেকানো যাচ্ছে না। বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য গত কয়েক মাসে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়েনি। বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলেও এর প্রতিফলন ঘটেনি শেয়ারবাজারে। উল্টো অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করলে হয়রানির শিকার হতে পারেন_এমন আশঙ্কা থেকে অনেকে এ সুযোগ নেননি। গঠিত 'বাংলাদেশ ফান্ড' নিয়েও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। এ ছাড়া আবারও ফোর্স সেলের আতঙ্ক ভর করছে বিনিয়োগকারীদের মনে। দরপতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া সাম্প্রতিক কয়েকটি সিদ্ধান্তে বাজার মাঝেমধ্যে ঊর্ধ্বমুখী হলেও আবার পতনের ধারায় ফিরে যায়।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, সঞ্চয়পত্রের আমানতের সুদের হার বাড়ায় মানুষ সেদিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে পুঁজিবাজারে চরম তারল্য সংকট রয়েছে। বাজার চাঙ্গা করার জন্য এই সংকট কাটানো প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, 'বাজারের এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরা ছাড়া উপায় নেই। আশা করি বাজার খুব শিগগির ঠিক হয়ে যাবে।'
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের তৃতীয় দিনেও দরপতন দিয়েই লেনদেন শুরু হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)। সময় যতই গড়াতে থাকে সূচকের পতনও ততই বাড়তে থাকে। দুপুর আড়াইটার দিকে সূচক কমে যায় প্রায় ২৫০ পয়েন্টের মতো। দিন শেষে সূচকের পতন ছিল ২২৫.৫৩ পয়েন্ট। গতকাল লেনদেন হওয়া ২৫৯টি কম্পানির মধ্যে ২৪৯টির শেয়ারের দাম কমেছে। কেবল আটটি কম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দুটি কম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। তবে আগের দিনের চেয়ে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সোমবার থেকে গতকাল ৮০ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়ে কাল ৩৩৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
No comments