হিলারি-দীপু মনি বৈঠক আজ
দুই বছরেরও বেশি সময় পর আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। এদিকে ঢাকায় কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক গতকাল কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, আজ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের জন্য ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দ রয়েছে।ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি কুয়েতে এশিয়ান কো-অপারেশন ডায়ালগে (এসিডি) যোগ দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গেছেন। ঠিক কখন হিলারি-দীপু মনি বৈঠক হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
ওই বৈঠক যদি যুক্তরাষ্ট্র সময় অনুযায়ী দিনের মাঝামাঝি বা বিকেলে হয়, তাহলে বাংলাদেশে তা বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত গড়াবে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বুধবার (আজ) ১৫ মিনিটের বৈঠক-সূচি রয়েছে। তবে ওই বৈঠক কখন কোথায় হবে, সে ব্যাপারে তিনি জানাতে পারেননি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বিশেষ কোনো ইস্যু নেই। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয় বৈঠকে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকের পর দুই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অগ্রগতি ও প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সূত্র জানায়, গত দুই বছর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক বৈঠক না হলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণের সপ্তাহেও লিবিয়া সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে তাঁরা দুজন উপস্থিত ছিলেন। তবে ড. ইউনূসকে অপসারণের পর দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। এসবের পরও আজকের বৈঠককে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে।
ওয়াশিংটন সফরকালে ক্যাপিটল হিলে প্রভাবশালী কয়েকজন সিনেটর ও প্রতিনিধি পরিষদ-সদস্যের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ফোরাম আয়োজিত সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ দেশের বাণিজ্য ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য দেবেন তিনি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, গত বছরই হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা ছিল। সরকার জানতে পেরেছিল, হিলারি ক্লিনটনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আবাসনের ব্যবস্থা খুঁজছিলেন। শেষ পর্যন্ত ওই সফর হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও ব্লেক হিলারি ক্লিনটনের ঢাকা সফরের শর্ত হিসেবে ইউনূস ইস্যুর সম্মানজনক সমাধানের কথা বলেছিলেন। গত মার্চ মাসে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ ইস্যুতে ওবামা প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করে। এ নিয়ে আলোচনার জন্য হিলারি ক্লিনটন রবার্ট ও ব্লেককে ঢাকায় পাঠান। ব্লেক ঢাকায় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ইউনূস ইস্যুর সম্মানজনক সমাধান না হলে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে কালো ছায়া পড়বে। আর সমাধান হলে হিলারি ক্লিনটনকে বাংলাদেশ সফরে আসতে তিনি উৎসাহিত করবেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বুধবার (আজ) ১৫ মিনিটের বৈঠক-সূচি রয়েছে। তবে ওই বৈঠক কখন কোথায় হবে, সে ব্যাপারে তিনি জানাতে পারেননি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বিশেষ কোনো ইস্যু নেই। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয় বৈঠকে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকের পর দুই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অগ্রগতি ও প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সূত্র জানায়, গত দুই বছর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক বৈঠক না হলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণের সপ্তাহেও লিবিয়া সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে তাঁরা দুজন উপস্থিত ছিলেন। তবে ড. ইউনূসকে অপসারণের পর দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। এসবের পরও আজকের বৈঠককে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে।
ওয়াশিংটন সফরকালে ক্যাপিটল হিলে প্রভাবশালী কয়েকজন সিনেটর ও প্রতিনিধি পরিষদ-সদস্যের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ফোরাম আয়োজিত সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ দেশের বাণিজ্য ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য দেবেন তিনি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, গত বছরই হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা ছিল। সরকার জানতে পেরেছিল, হিলারি ক্লিনটনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আবাসনের ব্যবস্থা খুঁজছিলেন। শেষ পর্যন্ত ওই সফর হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও ব্লেক হিলারি ক্লিনটনের ঢাকা সফরের শর্ত হিসেবে ইউনূস ইস্যুর সম্মানজনক সমাধানের কথা বলেছিলেন। গত মার্চ মাসে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ ইস্যুতে ওবামা প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করে। এ নিয়ে আলোচনার জন্য হিলারি ক্লিনটন রবার্ট ও ব্লেককে ঢাকায় পাঠান। ব্লেক ঢাকায় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ইউনূস ইস্যুর সম্মানজনক সমাধান না হলে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে কালো ছায়া পড়বে। আর সমাধান হলে হিলারি ক্লিনটনকে বাংলাদেশ সফরে আসতে তিনি উৎসাহিত করবেন।
No comments