টেস্টে দুটি ট্রিপল আর টোয়েন্টি টোয়েন্টির প্রথম সেঞ্চুরি
ক্রিস গেইলের ব্যাটে রীতিমতো বসন্ত চলছে। মাঝপথে যোগ দিয়েও হয়েছেন গত আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। ব্যাট হেসেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগেও। ডেভিড ওয়ার্নারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৭ রান এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়কের ব্যাট থেকে। সেই তিনি জাতীয় দলে ব্রাত্য! বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বিশ্বকাপের পর আর সুযোগ পাননি ৯১ টেস্টে ৬৩৭৩ আর ২২৮ ওয়ানডেতে ৮০৮৭ রান করা এ ব্যাটসম্যান। অথচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ টেস্ট সিরিজেও ট্রিপল সেঞ্চুরি আছে তাঁর, যা গেইলের দ্বিতীয় ট্রিপল ও ক্যারিয়ারসেরা টেস্ট ইনিংস।
মুত্তিয়া মুরালিধরন অবসর নেওয়ার পর ২০১০-এর নভেম্বরে গল টেস্টে গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডবের মুখে পড়েছিল লঙ্কানরা। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি ব্যাট করছিলেন ওয়ানডের মতো আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে। ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেন প্রথম দিনেই। ২১৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন পরের দিন। শেষ পর্যন্ত ইনিংসটা থামে ৩৩৩ রানে। ৬৫৩ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৩৭ বলে ৩৪ বাউন্ডারি ও ৯টি ছক্কা মারার পর বোল্ড হন অজন্তা মেন্ডিসের বলে। বেশি ঝড়টা যায় সূরয রানদিভের ওপর দিয়ে। তাঁর ১৫৪ বলে ৬ ছক্কাসহ নিয়েছিলেন ১৪৩ রান। এ ছাড়া মেন্ডিসের ১২৮ বলে ৭৩ আর ৫৫ করেছিলেন ধাম্মিকা প্রসাদের ৬৮ বলে। গেইলের ব্যাটে চড়ে ৯ উইকেটে ৫৮০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৩৭৮ রানে অল আউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৪ উইকেটে ২৪১ করায় ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি।
গেইল ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিটি করেছিলেন সেন্ট জোন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত বোলিংকে ভোঁতা বানিয়ে। তাঁকে থামাতে ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ১১ জনই বল করেছিলেন! কাজ হয়নি তাতেও। পোলক, এনটিনি, ক্যালিস, জনডেকিদের সাধারণ মানে নামিয়ে ৬৩০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৮৩ বলে ৩৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সেবার করেছিলেন ৩১৭ রান। পোলকের ৮৬ বলে ৫৩, এনটিনির ৮৩ বলে ৬১, জনডেকির ৪৫ বলে ৫৪ আর ক্যালিসের ৭২ বলে নিয়েছিলেন ৫৭ রান। তাঁর ট্রিপলে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৮৮ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অল আউট হয় ৭৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়ারা ১ উইকেটে ১২৭ করলে ড্র মেনে নেয় দুই দল। ম্যাচ শেষে গেইলের প্রশংসায় ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, 'আমার ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙার সামর্থ্য আছে গেইলের। নিশ্চিত থাকুন এটাই ওর ক্যারিয়ারের একমাত্র ট্রিপল নয়।' লারার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ বছর পর দ্বিতীয় ট্রিপল করেন গেইল।
টেস্টে ১৩ আর ওয়ানডেতে গেইলের সেঞ্চুরি ১৯টি। ২০০১ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে করা প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটিই ছিল নজর কাড়ার মতো, ১৫০ বলে ১৫২। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১৫৩ই তাঁর ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ। পরের বছর জোহানেসবার্গে অপরাজিত ১৫২ করেও অবশ্য জেতাতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ম্যাচটিতে ক্যারিবীয়দের ৩০৪ রানের চ্যালেঞ্জ ২ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। সেবার না পারলেও ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে তাঁর অসাধারণ সেঞ্চুরিতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৩৫ বলে ১৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১৩৩ রানে অপরাজিত থেকে ৬ ওভার বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় উপহার দিয়ে ক্যারিবীয়দের ফাইনালে নিয়ে যান গেইল।
টোয়েন্টি টোয়েন্টিতেও সেঞ্চুরি আছে তাঁর। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে ২০০৭ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ৫৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ১০ ছক্কায় করা গেইলের ১১৭ রান এই ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখনো সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। মজার ব্যাপার টোয়েন্টি টোয়োন্টিতে সেটাই ছিল গেইলের প্রথম ম্যাচ। এ ছাড়া গত আইপিএলে ১২ ম্যাচে ৬০৮ করার পথেও দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন এই হার্ডহিটার। সাবেক দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৫৫ বলে ১০২ আর পাঞ্জাবের বিপক্ষে করেছিলেন ৪৯ বলে ১০৭। ক্রিকইনফো
গেইল ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিটি করেছিলেন সেন্ট জোন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত বোলিংকে ভোঁতা বানিয়ে। তাঁকে থামাতে ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ১১ জনই বল করেছিলেন! কাজ হয়নি তাতেও। পোলক, এনটিনি, ক্যালিস, জনডেকিদের সাধারণ মানে নামিয়ে ৬৩০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৮৩ বলে ৩৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সেবার করেছিলেন ৩১৭ রান। পোলকের ৮৬ বলে ৫৩, এনটিনির ৮৩ বলে ৬১, জনডেকির ৪৫ বলে ৫৪ আর ক্যালিসের ৭২ বলে নিয়েছিলেন ৫৭ রান। তাঁর ট্রিপলে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৮৮ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অল আউট হয় ৭৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়ারা ১ উইকেটে ১২৭ করলে ড্র মেনে নেয় দুই দল। ম্যাচ শেষে গেইলের প্রশংসায় ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, 'আমার ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙার সামর্থ্য আছে গেইলের। নিশ্চিত থাকুন এটাই ওর ক্যারিয়ারের একমাত্র ট্রিপল নয়।' লারার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ বছর পর দ্বিতীয় ট্রিপল করেন গেইল।
টেস্টে ১৩ আর ওয়ানডেতে গেইলের সেঞ্চুরি ১৯টি। ২০০১ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে করা প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটিই ছিল নজর কাড়ার মতো, ১৫০ বলে ১৫২। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১৫৩ই তাঁর ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ। পরের বছর জোহানেসবার্গে অপরাজিত ১৫২ করেও অবশ্য জেতাতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ম্যাচটিতে ক্যারিবীয়দের ৩০৪ রানের চ্যালেঞ্জ ২ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। সেবার না পারলেও ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে তাঁর অসাধারণ সেঞ্চুরিতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৩৫ বলে ১৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১৩৩ রানে অপরাজিত থেকে ৬ ওভার বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় উপহার দিয়ে ক্যারিবীয়দের ফাইনালে নিয়ে যান গেইল।
টোয়েন্টি টোয়েন্টিতেও সেঞ্চুরি আছে তাঁর। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে ২০০৭ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ৫৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ১০ ছক্কায় করা গেইলের ১১৭ রান এই ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখনো সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। মজার ব্যাপার টোয়েন্টি টোয়োন্টিতে সেটাই ছিল গেইলের প্রথম ম্যাচ। এ ছাড়া গত আইপিএলে ১২ ম্যাচে ৬০৮ করার পথেও দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন এই হার্ডহিটার। সাবেক দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৫৫ বলে ১০২ আর পাঞ্জাবের বিপক্ষে করেছিলেন ৪৯ বলে ১০৭। ক্রিকইনফো
No comments