জাহাজভাঙা শিল্পের জন্য ইয়ার্ড নির্মাণে জায়গা দেবে সরকার by ফারজানা লাবনী
জাহাজভাঙা শিল্পের জন্য পরিবেশসম্মতভাবে একাধিক ইয়ার্ড গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে জাহাজ কাটতে ইয়ার্ড নির্মাণে ব্যবসায়ীদের জায়গা বরাদ্দের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ইয়ার্ড নির্মাণ ও জাহাজভাঙা কাজে ব্যবহারের জন্য দুটি জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। এ দুটি স্থান হলো, চট্টগ্রামের মিরসরাই এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বালেশ্বর নদসংলগ্ন এলাকা। চট্টগ্রামের মিরসরায়ে প্রায় ২০ হাজার একর জায়গার ওপর নির্মিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ১০০ একর জায়গায় জাহাজ কাটতে একাধিক ইয়ার্ড নির্মাণে ব্যবহার করা হবে।
অন্যটি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার ৫৪ একর জায়গা।গতকালের বৈঠকে মিরসরাই এ ইয়ার্ড নির্মাণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বরগুনা জেলার পাথরঘাটার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ এলাকায় জাহাজভাঙা ব্যবসা করা যাবে কি-না, তার সম্ভ্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এখানে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেলে গড়ে তোলা হবে ইয়ার্ড ও জাহাজ ভাঙার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবস্থা। শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জাহাজভাঙা শিল্পের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের মিরসরায়ে ২০ হাজার একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড)। নির্মাণাধীন এসইজেডের একটি অংশে ইয়ার্ড নির্মাণে জায়গা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকাও জাহাজভাঙা শিল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। ইতিবাচক প্রতিবেদন এলেই আমরা কাজ শুরু করব',_জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জাহাজভাঙা শিল্পই হবে ভবিষ্যতে এ দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিল্প খাত। চীনের জাহাজভাঙা শিল্প বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। সম্প্রতি জাহাজভাঙা কাজে জড়িত সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিরা চীনের বিভিন্ন ইয়ার্ড সফর করেন। এ সময় অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে জাহাজভাঙা শিল্প গড়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং জাহাজভাঙা বিধিমালা তৈরি কমিটির আহ্বায়ক এ বি এম খোরশেদ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, সরবরাহ করা জায়গায় নির্মিত ইয়ার্ডগুলোয় বিচিং পদ্ধতির পরিবর্তে ফ্লোটিং ডক বা ড্রাই ডকিং পদ্ধতিতে জাহাজ কাটা বাধ্যতামূলক করা হবে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ফ্লোটিং ডক-পদ্ধতি ব্যবহারে আইন করার সম্ভাবনা বেশি। এ পদ্ধতিতে কোনো বর্জ্য মাটিতে বা সাগরে মিশতে পারবে না বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত অর্থনৈতিক অঞ্চল বা শিল্পপার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক, প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রোগ্রাম (চঝউঝচ)-এর আওতায় ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তাও দিয়েছে। জাহাজভাঙা শিল্পের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জায়গা নির্বাচন করা হচ্ছে বলে এ কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয় জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে গত ৭ ও ৮ অক্টোবর পাঁচ সদস্যের কমিটি সরেজমিনে পাথরঘাটার চরদোনিয়া এলাকায় পরিদর্শন করেন। কমিটির অন্যদের মধ্যে রয়েছে শিপিংয়ের পরিচালক, চট্টগ্রাম ড্রাইডকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের পরিচালক (কারিগরি), বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পপার্ক নির্মাণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান, যেকোনো এলাকায় একসঙ্গে এক শ থেকে দেড় শ-এর কম ইয়ার্ড একই জায়গায় না থাকলে ব্যবসা করতে সমস্যা হবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জাহাজভাঙা শিল্পের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের মিরসরায়ে ২০ হাজার একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড)। নির্মাণাধীন এসইজেডের একটি অংশে ইয়ার্ড নির্মাণে জায়গা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকাও জাহাজভাঙা শিল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। ইতিবাচক প্রতিবেদন এলেই আমরা কাজ শুরু করব',_জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জাহাজভাঙা শিল্পই হবে ভবিষ্যতে এ দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিল্প খাত। চীনের জাহাজভাঙা শিল্প বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। সম্প্রতি জাহাজভাঙা কাজে জড়িত সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিরা চীনের বিভিন্ন ইয়ার্ড সফর করেন। এ সময় অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে জাহাজভাঙা শিল্প গড়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং জাহাজভাঙা বিধিমালা তৈরি কমিটির আহ্বায়ক এ বি এম খোরশেদ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, সরবরাহ করা জায়গায় নির্মিত ইয়ার্ডগুলোয় বিচিং পদ্ধতির পরিবর্তে ফ্লোটিং ডক বা ড্রাই ডকিং পদ্ধতিতে জাহাজ কাটা বাধ্যতামূলক করা হবে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ফ্লোটিং ডক-পদ্ধতি ব্যবহারে আইন করার সম্ভাবনা বেশি। এ পদ্ধতিতে কোনো বর্জ্য মাটিতে বা সাগরে মিশতে পারবে না বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত অর্থনৈতিক অঞ্চল বা শিল্পপার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক, প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রোগ্রাম (চঝউঝচ)-এর আওতায় ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তাও দিয়েছে। জাহাজভাঙা শিল্পের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জায়গা নির্বাচন করা হচ্ছে বলে এ কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয় জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে গত ৭ ও ৮ অক্টোবর পাঁচ সদস্যের কমিটি সরেজমিনে পাথরঘাটার চরদোনিয়া এলাকায় পরিদর্শন করেন। কমিটির অন্যদের মধ্যে রয়েছে শিপিংয়ের পরিচালক, চট্টগ্রাম ড্রাইডকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের পরিচালক (কারিগরি), বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পপার্ক নির্মাণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান, যেকোনো এলাকায় একসঙ্গে এক শ থেকে দেড় শ-এর কম ইয়ার্ড একই জায়গায় না থাকলে ব্যবসা করতে সমস্যা হবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
No comments