বিদ্রোহীদের জাতীয় কাউন্সিল গঠন : ইইউ’র সমর্থন : সঙ্কটে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারকে উত্খাতের চূড়ান্ত নকশা প্রস্তুত করেছে বিদ্রোহীরা। এরই মধ্যে সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল (এসএনসি) গঠন করেছে তারা। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধীদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলকেও তাদের সমর্থনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। ফলে সিরিয়ায় যে একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। গত সোমবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক শেষে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ইইউ সিরীয় জাতীয় পরিষদ গঠনকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা জানান, এই ধরনের যেকোনো পদক্ষেপ, যা কিনা বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে এককভাবে আসা উচিত, তা এখনও কিছুটা পিছিয়ে আছে। যদিও আসাদ সরকার তার বিরোধীদের সাহায্যে যেকোনো পক্ষকেই সহ্য করবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান ক্যাথরিন এশটন জানান, আমি মনে করি, আমাদের এখনও আরও কিছুটা ভেবে দেখা দরকার। আমাদের আরও সময় নিয়ে ভেবে দেখতে হবে, সিরিয়ায় কি করতে যাচ্ছি এবং ভেবেচিন্তেই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। তিনি আরও জানান, আমি মনে করি, আমরা সিরিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আশায় এতদিন অবিচল ছিলাম। সেখানে যে পরিমাণ মানুষ প্রাণ দিয়েছে, তার সংখ্যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।ক্যাথরিন এশটন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এভাবে জনগণকে নিষ্পেষণ করার অব্যাহত প্রচেষ্টা অত্যন্ত ভীতিপ্রদ। আমরা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে (জাতিসংঘের) নিরাপত্তা পরিষদ এবং তুরস্কে আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
যদিও এই স্বাগত জানানো সিরিয়ার নবগঠিত জাতীয় পরিষদকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুরোপুরি স্বীকৃতি দেয়া না। লিবিয়ায় গাদ্দাফির বিরুদ্ধে তার বিরোধীদের যত দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল ইইউ, ঠিক সেভাবে না হলেও পরিস্থিতি পাল্টাতে সময় প্রয়োজন হবে। ৬ মাস ধরে চলা সিরিয়ার সহিংসতায় উভয়পক্ষেরই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে। জাতিসংঘের দাবি অনুযায়ী বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৯শ’ বিক্ষোভকারী। পাশাপাশি সরকার দাবি করছে, আন্দোলনকারীরা এখন পর্যন্ত ১১শ’ নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে। যদিও আসাদ সরকার তার দেশে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর কার্যকম অনকেটাই নিষিদ্ধ করেছে, যার কারণে সরকারি কর্তৃপক্ষ কিংবা বিরোধীদলীয় কর্মীদের কোনো ঘটনার সত্যতা যাচাই করাটা অনেক দুরূহ হয়ে পড়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার। পাশাপাশি সরকারবিরোধীদের এ আন্দোলনকে বিদেশিদের মদতপুষ্ট আখ্যা দিয়ে কঠোরহাতে তা দমনের অঙ্গীকারে এখন পর্যন্ত অবিচল। ফলে উভয়পক্ষই যদি তাদের অবস্থানে অনড় থাকে, তবে পরিস্থিতি যে ঘোলাটে হবে তা অনেকটাই স্বাভাবিক। আসাদ সরকার এরই মধ্যে দেশটিতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কার্যক্রম সীমিত করেছে। পাশাপাশি মানবাধিকার গ্রুপগুলোর ওপর রয়েছে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। তাই হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা ও তার সত্যাসত্য যাচাই করার সুযোগ থাকছে না।
আসাদের ১১ বছরের শাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দমাতে সরকারি বাহিনীর হামলার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল থেকে। তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বেশ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে আমেরিকা ফ্রান্সসহ বিভিন্ন মহলে। এখন সে ক্ষোভ ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় প্রকাশ পায়, সে দিকেই বিশ্ববাসীর দৃষ্টি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান ক্যাথরিন এশটন জানান, আমি মনে করি, আমাদের এখনও আরও কিছুটা ভেবে দেখা দরকার। আমাদের আরও সময় নিয়ে ভেবে দেখতে হবে, সিরিয়ায় কি করতে যাচ্ছি এবং ভেবেচিন্তেই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। তিনি আরও জানান, আমি মনে করি, আমরা সিরিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আশায় এতদিন অবিচল ছিলাম। সেখানে যে পরিমাণ মানুষ প্রাণ দিয়েছে, তার সংখ্যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।ক্যাথরিন এশটন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এভাবে জনগণকে নিষ্পেষণ করার অব্যাহত প্রচেষ্টা অত্যন্ত ভীতিপ্রদ। আমরা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে (জাতিসংঘের) নিরাপত্তা পরিষদ এবং তুরস্কে আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
যদিও এই স্বাগত জানানো সিরিয়ার নবগঠিত জাতীয় পরিষদকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুরোপুরি স্বীকৃতি দেয়া না। লিবিয়ায় গাদ্দাফির বিরুদ্ধে তার বিরোধীদের যত দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল ইইউ, ঠিক সেভাবে না হলেও পরিস্থিতি পাল্টাতে সময় প্রয়োজন হবে। ৬ মাস ধরে চলা সিরিয়ার সহিংসতায় উভয়পক্ষেরই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে। জাতিসংঘের দাবি অনুযায়ী বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৯শ’ বিক্ষোভকারী। পাশাপাশি সরকার দাবি করছে, আন্দোলনকারীরা এখন পর্যন্ত ১১শ’ নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে। যদিও আসাদ সরকার তার দেশে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর কার্যকম অনকেটাই নিষিদ্ধ করেছে, যার কারণে সরকারি কর্তৃপক্ষ কিংবা বিরোধীদলীয় কর্মীদের কোনো ঘটনার সত্যতা যাচাই করাটা অনেক দুরূহ হয়ে পড়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার। পাশাপাশি সরকারবিরোধীদের এ আন্দোলনকে বিদেশিদের মদতপুষ্ট আখ্যা দিয়ে কঠোরহাতে তা দমনের অঙ্গীকারে এখন পর্যন্ত অবিচল। ফলে উভয়পক্ষই যদি তাদের অবস্থানে অনড় থাকে, তবে পরিস্থিতি যে ঘোলাটে হবে তা অনেকটাই স্বাভাবিক। আসাদ সরকার এরই মধ্যে দেশটিতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কার্যক্রম সীমিত করেছে। পাশাপাশি মানবাধিকার গ্রুপগুলোর ওপর রয়েছে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। তাই হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা ও তার সত্যাসত্য যাচাই করার সুযোগ থাকছে না।
আসাদের ১১ বছরের শাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দমাতে সরকারি বাহিনীর হামলার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল থেকে। তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বেশ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে আমেরিকা ফ্রান্সসহ বিভিন্ন মহলে। এখন সে ক্ষোভ ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় প্রকাশ পায়, সে দিকেই বিশ্ববাসীর দৃষ্টি।
No comments