'সরকারের বিরুদ্ধে এরকম প্রতিবাদের দরকার আছে' by ইয়াহ্ইয়া ফজল,
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণের উত্তর কানিশাইল গ্রামের ৮০ ছুঁই ছুঁই তফিদ আলী খরতাপ উপেক্ষা করে এসেছেন আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বিএনপির সমাবেশে। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কী বলেন, তা শোনার জন্যই তাঁর কষ্ট করে আসা। অশীতিপর এ বৃদ্ধ বিএনপির সমর্থক নন। কোনো কালে ছিলেনও না। তবে কেন এত দূর থেকে সমাবেশে আসা_জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার তিন ছেলে কোস্টার (বাস) চালায়। এর পরও পরিবারের দুই বেলা চাল-ডালের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশ্বাস করো বাবা, আর্থিক অনটনের কারণে আমার নবম শ্রেণী পড়ুয়া নাতিকে পড়ালেখা ছাড়িয়ে লেদের ঘরে কাজে পাঠাইছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ জন্য সরকারের বিরুদ্ধে এরকম প্রতিবাদের দরকার আছে।'
তফিদ আলীর মতো অনেকেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ জনভোগান্তির মতো কার্যক্রমবিরোধী কর্মসূচিতে নিজেদের সমর্থন জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে গতকাল মঙ্গলবার সিলেটে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিয়েছে। চলি্লশোর্ধ্ব আলী আহমদ নগরীর একটি অভিজাত বিপণিবিতানের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফোনে সমাবেশস্থলে যাওয়া মানুষের ছবি ধারণ করছিলেন। কথা বলে জানা গেল, তিনি এসেছেন বালাগঞ্জ উপজেলার হরিপুর থেকে। পেশায় কৃষক। কোনো দলের সমর্থক নন। তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, 'যখন যে দলরে ভালো মনে হয় তারেই ভোট দিই।' তিনি মনে করেন, বিএনপির এ কর্মসূচি সময়োপযোগী ও যৌক্তিক। তাঁর মন্তব্য, 'জিনিসপত্রের যে দাম তাতে সাধারণ মানুষের না খেয়ে মরার অবস্থা। অথচ সরকারের সেদিকে খেয়ালই নেই।'
নগরীর সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, দেশের যে বেহালদশা, জিনিসপত্রের যে দাম তাতে সরকারের বিরুদ্ধে এরকম আন্দোলনের দরকার ছিল। এ ধরনের আন্দোলনে সমর্থন জানালেও তিনি হরতালের মতো কর্মসূচির পক্ষে নন।
সমাবেশস্থলে বাদাম বিক্রি করছিলেন শফিক মিয়া। তাঁরও একই কথা, সারা দিন বাদাম বিক্রি করে লাভ হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বাজারে কেজি ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। তাঁর প্রশ্ন, 'এ টাকা দিয়ে ডাল-চাল কিনব, না ঘর ভাড়া দিমু। সন্তানের লেখাপড়ার খরচের কথা না হয় বাদই দিলাম।'
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের হতাশার চিত্র পাওয়া গেছে সমাবেশে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলে। রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত নয় তবুও সমাবেশে এসেছে_এরকম লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম ছিল না গতকাল। দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে বিরোধী দল সোচ্চার ভূমিকা নিচ্ছে কি না, তা তারা দেখছে আগ্রহ নিয়ে। নগরীর কাজী ইলিয়াসে খাদ্য অফিসের সামনের টং দোকানে চা পানরত সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'বিএনপি এলে যে আমাদের একেবারে উদ্ধার করে ফেলবে_সে রকম ভাবার কারণ নেই। ঘুরেফিরে দুই দল একই রকম। তবে দ্রব্যমূল্য যে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সেটা সরকার বোঝার চেষ্টা করছে না। বিষয়টি সরকারের নজরে আনতে এরকম প্রতিবাদের প্রয়োজন আছে।'
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আরেফিন রহমানের কণ্ঠেও হতাশা। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ গেলে বিএনপি আসবে। তাতে কি দুর্নীতি কমবে? এসব ভেবে লাভ নেই। বরং কে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারল, তা-ই দেখার বিষয়।'
তফিদ আলীর মতো অনেকেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ জনভোগান্তির মতো কার্যক্রমবিরোধী কর্মসূচিতে নিজেদের সমর্থন জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে গতকাল মঙ্গলবার সিলেটে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিয়েছে। চলি্লশোর্ধ্ব আলী আহমদ নগরীর একটি অভিজাত বিপণিবিতানের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফোনে সমাবেশস্থলে যাওয়া মানুষের ছবি ধারণ করছিলেন। কথা বলে জানা গেল, তিনি এসেছেন বালাগঞ্জ উপজেলার হরিপুর থেকে। পেশায় কৃষক। কোনো দলের সমর্থক নন। তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, 'যখন যে দলরে ভালো মনে হয় তারেই ভোট দিই।' তিনি মনে করেন, বিএনপির এ কর্মসূচি সময়োপযোগী ও যৌক্তিক। তাঁর মন্তব্য, 'জিনিসপত্রের যে দাম তাতে সাধারণ মানুষের না খেয়ে মরার অবস্থা। অথচ সরকারের সেদিকে খেয়ালই নেই।'
নগরীর সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, দেশের যে বেহালদশা, জিনিসপত্রের যে দাম তাতে সরকারের বিরুদ্ধে এরকম আন্দোলনের দরকার ছিল। এ ধরনের আন্দোলনে সমর্থন জানালেও তিনি হরতালের মতো কর্মসূচির পক্ষে নন।
সমাবেশস্থলে বাদাম বিক্রি করছিলেন শফিক মিয়া। তাঁরও একই কথা, সারা দিন বাদাম বিক্রি করে লাভ হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বাজারে কেজি ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। তাঁর প্রশ্ন, 'এ টাকা দিয়ে ডাল-চাল কিনব, না ঘর ভাড়া দিমু। সন্তানের লেখাপড়ার খরচের কথা না হয় বাদই দিলাম।'
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের হতাশার চিত্র পাওয়া গেছে সমাবেশে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলে। রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত নয় তবুও সমাবেশে এসেছে_এরকম লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম ছিল না গতকাল। দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে বিরোধী দল সোচ্চার ভূমিকা নিচ্ছে কি না, তা তারা দেখছে আগ্রহ নিয়ে। নগরীর কাজী ইলিয়াসে খাদ্য অফিসের সামনের টং দোকানে চা পানরত সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'বিএনপি এলে যে আমাদের একেবারে উদ্ধার করে ফেলবে_সে রকম ভাবার কারণ নেই। ঘুরেফিরে দুই দল একই রকম। তবে দ্রব্যমূল্য যে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সেটা সরকার বোঝার চেষ্টা করছে না। বিষয়টি সরকারের নজরে আনতে এরকম প্রতিবাদের প্রয়োজন আছে।'
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আরেফিন রহমানের কণ্ঠেও হতাশা। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ গেলে বিএনপি আসবে। তাতে কি দুর্নীতি কমবে? এসব ভেবে লাভ নেই। বরং কে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারল, তা-ই দেখার বিষয়।'
No comments