সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ইঙ্গিত পাকিস্তানি তালেবানের
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলে শান্তি আলোচনার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে তেহরিক-ই-তালেবান। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনটির দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় নেতা ওয়ালি-উর-রহমান মেহসুদ এ রকম ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মেহসুদ বলেন, ‘সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে কি না, অথবা বসলেও সেটা কোন সময়ে, সেসব বিষয়ে আমাদের শুরা কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সংলাপের জন্য এমন কোনো দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাকে আমরা বিশ্বাস করতে পারি। যেমন সৌদি আরব বা এ রকম কোনো আরব দেশ।’
তবে এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মেহসুদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলেই কেবল তাঁরা শুরা কাউন্সিলের বৈঠকে বসবেন।
গত মাসে পাকিস্তানে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে দেশটির সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেছিলেন, জঙ্গি সমস্যার পরিসমাপ্তি ঘটাতে পাকিস্তানের সরকার তাদের সঙ্গে বিরোধ মিটমাটের চেষ্টা চালাতে পারে।
এ ছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সরকার শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য দেশটির বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের জোট হচ্ছে তেহরিক-ই-তালেবান। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে গঠন করা হয় এ সংগঠনটি।
পাকিস্তানজুড়ে বিভিন্ন স্থানে আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য দায়ী করা হয় সংগঠনটিকে। আফগান সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় সংগঠনটির শক্ত ঘাঁটিতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তবে এসব অভিযান সংগঠনটিকে দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে। সংঘর্ষে হাজার হাজার সেনা, পুলিশ এবং বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পরিকল্পনাও রয়েছে জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবানের। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে ব্যর্থ বোমা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে তারা। এ ছাড়াও ২০০৯ সালে আফগানিস্তানের একটি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সিআইএর সাত গোয়েন্দাকে হত্যার ঘটনায় সংগঠনটির প্রধান হাকিমুল্লাহ মেহসুদকে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে ভাবা হয় তেহরিক-ই-তালেবানকে। যুক্তরাষ্ট্র গত বছর সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে এবং এর শীর্ষস্থানীয় দুই নেতাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের সমঝোতার ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রকে আরও খেপিয়ে তুলতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
মেহসুদ বলেন, ‘সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে কি না, অথবা বসলেও সেটা কোন সময়ে, সেসব বিষয়ে আমাদের শুরা কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সংলাপের জন্য এমন কোনো দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাকে আমরা বিশ্বাস করতে পারি। যেমন সৌদি আরব বা এ রকম কোনো আরব দেশ।’
তবে এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মেহসুদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলেই কেবল তাঁরা শুরা কাউন্সিলের বৈঠকে বসবেন।
গত মাসে পাকিস্তানে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে দেশটির সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেছিলেন, জঙ্গি সমস্যার পরিসমাপ্তি ঘটাতে পাকিস্তানের সরকার তাদের সঙ্গে বিরোধ মিটমাটের চেষ্টা চালাতে পারে।
এ ছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সরকার শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য দেশটির বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের জোট হচ্ছে তেহরিক-ই-তালেবান। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে গঠন করা হয় এ সংগঠনটি।
পাকিস্তানজুড়ে বিভিন্ন স্থানে আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য দায়ী করা হয় সংগঠনটিকে। আফগান সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় সংগঠনটির শক্ত ঘাঁটিতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তবে এসব অভিযান সংগঠনটিকে দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে। সংঘর্ষে হাজার হাজার সেনা, পুলিশ এবং বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পরিকল্পনাও রয়েছে জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবানের। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে ব্যর্থ বোমা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে তারা। এ ছাড়াও ২০০৯ সালে আফগানিস্তানের একটি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সিআইএর সাত গোয়েন্দাকে হত্যার ঘটনায় সংগঠনটির প্রধান হাকিমুল্লাহ মেহসুদকে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে ভাবা হয় তেহরিক-ই-তালেবানকে। যুক্তরাষ্ট্র গত বছর সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে এবং এর শীর্ষস্থানীয় দুই নেতাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের সমঝোতার ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রকে আরও খেপিয়ে তুলতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
No comments