আফগান বন্দিশিবিরে নির্যাতনের রিপোর্ট প্রকাশ করল জাতিসংঘ
আফগান পরিচালিত কয়েকটি বন্দি শিবিরে সন্দেহভাজন তালেবান বন্দিদের লাঠিপেটা, বৈদ্যুতিক শকসহ বেশ কয়েক ধরনের বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে জাতিসংঘের এক রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের ৭৪ পৃষ্ঠার ঐ রিপোর্টে জানানো হয়, এসব নির্যাতন আফগান সরকারের পলিসি অনুযায়ী নয়, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব নির্যাতন চালানো হয়েছে। যার বেশিরভাগই নিরাপত্তা সার্ভিস গুরুত্ব দেয়নি। ঐ রিপোর্টে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করা হচ্ছিল, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী তথ্য এবং স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য বর্বর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৪টি প্রদেশে ৪৭টি বন্দি শিবির আফগান ন্যাশনাল পুলিশ পরিচালনা করে আসছে।
নিরাপত্তা অধিদফতরের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এরা বলছে, আন্তর্জাতিক ও আফগান আইনে নির্যাতন চালিয়েছে। ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সামরিক জোট গত মাসে ঘোষণা করে যে, তারা ১৬টি বন্দি শিবিরে আটকদের স্থানান্তর বন্ধ করে দিয়েছে। পুনরায় স্থানান্তরের আগে ন্যাটো সমস্যা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবে। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং সরকার কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছে সুশাসন এবং আফগানিস্তানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম বন্দিদের নির্যাতনের খবর প্রকাশ করে বিবিসি। সে সময় সরকার এ কথা অস্বীকার করে বলেছে, এসব নির্যাতনের খবর রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। তা আন্তর্জাতিক ও আফগান আইনের আওতায় করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ধরনের অসদাচরণ সরকারি নীতির ফলশ্রুতিতে হয়নি।
৩৭৯ জন বন্দির সঙ্গে কথা বলে নির্যাতনের কথা জানা যায়। অনেক বন্দির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়ে গেছে। এতে করে ধারণা করা যায় যে, তাদেরকে বর্বরভাবে পেটানো হয়েছে। ১৪ বছরের শিশুও তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে তা কেবল প্রশিক্ষণ এবং কোনো কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের জন্য। জাতিসংঘের রিপোর্টে আরও বলা হয়, কোনো দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ বাবদ যে অর্থ দেয়া হয়, সে দেশের বিরুদ্ধে যদি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে ১৯৯৭ সালের আইন অনুযায়ী বন্ধ করে দেয়া হতে পারে সব সাহায্য।
এই রিপোর্ট প্রকাশের পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এ ধরনের নির্যাতন বন্ধ করার লক্ষ্যে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করছে। জাতিসংঘের আফগান মিশন ওই খসড়া তৈরি করে। ৩৭৯ জন বন্দির সঙ্গে কথা বলে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয় ২০১০ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ে।
৩৭৯ জন বন্দির সঙ্গে কথা বলে নির্যাতনের কথা জানা যায়। অনেক বন্দির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়ে গেছে। এতে করে ধারণা করা যায় যে, তাদেরকে বর্বরভাবে পেটানো হয়েছে। ১৪ বছরের শিশুও তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে তা কেবল প্রশিক্ষণ এবং কোনো কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের জন্য। জাতিসংঘের রিপোর্টে আরও বলা হয়, কোনো দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ বাবদ যে অর্থ দেয়া হয়, সে দেশের বিরুদ্ধে যদি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে ১৯৯৭ সালের আইন অনুযায়ী বন্ধ করে দেয়া হতে পারে সব সাহায্য।
এই রিপোর্ট প্রকাশের পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এ ধরনের নির্যাতন বন্ধ করার লক্ষ্যে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করছে। জাতিসংঘের আফগান মিশন ওই খসড়া তৈরি করে। ৩৭৯ জন বন্দির সঙ্গে কথা বলে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয় ২০১০ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ে।
No comments