সালমান তাসিরের খুনির মৃত্যুদণ্ড স্থগিত
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক গভর্নর সালমান তাসিরের হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। তাসিরের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মালিক মুমতাজ হুসাইন কাদরি। বিতর্কিত ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা নিরোধ আইন) আইনের বিরোধিতা করায় সালমানকে হত্যা করেন তিনি।গত ১ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত হত্যার দায়ে কাদরির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেই আপিল করেন কাদরির আইনজীবী সুজা-উর-রহমান।
ইসলামাবাদের হাইকোর্টে গতকাল মঙ্গলবার এ আপিলের শুনানি হয়। সুজা বলেন, 'হাইকোর্ট আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাদরিকে সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করেছে।' তবে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়নি। গতকাল শুনানির সময় কাদরির কয়েক শ সমর্থক আদালতের বাইরে উপস্থিত ছিলেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়।
এরই মধ্যে কাদরির পক্ষে মামলায় লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন লাহোর হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি খাজা মোহাম্মদ শরিফ। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যে আদালত কাদরিকে শাস্তি দিয়েছে, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার এখতিয়ার নেই। ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সদস্য সালমানকে গত ৪ জানুয়ারি ইসলামাবাদে গুলি করে হত্যা করেন কাদরি। অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর দায় স্বীকার করে কাদরি বলেন, ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের পক্ষে কাজ করায় সালমানকে হত্যা করেছেন তিনি।
ব্লাসফেমি আইনের আওতায় গত বছরের নভেম্বরে পাঞ্জাবে আসিয়া বিবি নামের খ্রিস্টান এক নারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী ও উদারপন্থী রাজনীতিবিদরা ওই রায়ের সমালোচনা করেন। মৃত্যুদণ্ডের বিধান খারিজসহ আরো কিছু পরিবর্তনের দাবিতে ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের দাবি জানান তারা। পার্লামেন্টে উত্থাপন করা এ-সংক্রান্ত বিলে সমর্থন দেন সালমান। এর পরই তাঁকে হত্যা করেন কাদরি। সূত্র : সিএনএন, ডন, দ্য এঙ্প্রেস ট্রিবিউন।
এরই মধ্যে কাদরির পক্ষে মামলায় লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন লাহোর হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি খাজা মোহাম্মদ শরিফ। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যে আদালত কাদরিকে শাস্তি দিয়েছে, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার এখতিয়ার নেই। ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সদস্য সালমানকে গত ৪ জানুয়ারি ইসলামাবাদে গুলি করে হত্যা করেন কাদরি। অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর দায় স্বীকার করে কাদরি বলেন, ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের পক্ষে কাজ করায় সালমানকে হত্যা করেছেন তিনি।
ব্লাসফেমি আইনের আওতায় গত বছরের নভেম্বরে পাঞ্জাবে আসিয়া বিবি নামের খ্রিস্টান এক নারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী ও উদারপন্থী রাজনীতিবিদরা ওই রায়ের সমালোচনা করেন। মৃত্যুদণ্ডের বিধান খারিজসহ আরো কিছু পরিবর্তনের দাবিতে ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের দাবি জানান তারা। পার্লামেন্টে উত্থাপন করা এ-সংক্রান্ত বিলে সমর্থন দেন সালমান। এর পরই তাঁকে হত্যা করেন কাদরি। সূত্র : সিএনএন, ডন, দ্য এঙ্প্রেস ট্রিবিউন।
No comments