লোকসানের আশঙ্কায় দেশের বৃহত্তম চাল মোকামের ব্যবসায়ীরা by ফরিদুল করিম,
ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের মতো ভারতও তখন চাল রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় ২০০৭ সালের সিডরের পর বিশ্ববাজার থেকে খাদ্য সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছিল বাংলাদেশ। ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী পাঁচ লাখ টন চাল রপ্তানির আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত সে চাল আর আসেনি। ভারত চাল রপ্তানি না করায় তখন সমালোচনা হয়েছিল। এবার উল্টোচিত্র। এখন ভারতের রপ্তানি করা চালের কারণে দেশের মোকামের চাল বিক্রি কমে গেছে। মুনাফা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এখন ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধের দাবি তুলছেন মিলমালিকরা।
নওগাঁ চাল আড়তদার পট্টিতে চাল-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নওগাঁ জেলা ধান চাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, 'রিপোর্ট না করে এক বস্তা চাল কিনে নিয়ে যান। সেটাই আমাদের উপকারে লাগবে। পারলে ভালোভাবে লেখেন, চালের মোকাম থেকে এসে পাইকাররা যেন আমাদের কাছ থেকে চাল কিনে লোকসানের হাত থেকে উদ্ধার করেন।'
সম্প্রতি চালের মূল্য কমতে থাকায় নওগাঁ জেলার চাল ব্যবসায়ী ও মিলমালিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তাঁরা জানান, দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকা সত্ত্বেও সরকার ভারত থেকে চাল আমদানি করছে। চলছে ওএমএস কর্মসূচি। এর প্রভাবে বাজারে বর্তমানে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। উৎপাদন ব্যয়ের থেকে চালের দাম বস্তাপ্রতি দুই থেকে আড়াই শ টাকা কমে গেছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাল ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যেই এক মাসের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন ধানের চাল। প্রায় এক মাস ধরে দেশের বৃহৎত্তম চালের মোকাম নওগাঁয় চাল কিনতে আসছেন না দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা।
নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন জানান, নওগাঁয় গত রমজান মাস থেকেই মোকামগুলোর পাইকাররা নওগাঁয় চাল কিনতে আসছেন না। অনিশ্চিত চালের বাজারের বেহাল অবস্থার কারণে তাঁরা লোকসানের ভয়ে চাল কিনছেন না। ফলে দিনের পর দিন নওগাঁর চাল ব্যবসায়ীদের হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। আমদানীকৃত চালের মূল্য স্থানীয় উৎপাদিত চালের মূল্যের চেয়ে অনেক কম। কিছুদিন আগেও ভারত থেকে আমদানি করা চালের সব ব্যয় মিটিয়ে মূল্য পড়ত ২৯ থেকে সাড়ে ২৯ টাকা। ভারত ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে এখন মূল্য আসছে ২৬-২৭ টাকা। ফলে আমদানীকৃত চালের দাম আরেক দফা কমবে।
অপরদিকে খুচরা বাজারের চাল ব্যবসায়ী টিংকু সাহা, হারুন অর রশীদ ও শহিদুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহে সকল প্রকারের চালের দাম কেজিপ্রতি কমে গেছে আরো দুই টাকা। বাজারে খদ্দের আসছে না। তাঁরা জানান, ওএমএসের চালের প্রভাব বজারের এ অবস্থা হয়েছে।
চালকল চাতাল ব্যবসায়ী ও নওগাঁ জেলা ট্রাক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান টিপু জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় নওগাঁ থেকে প্রতিদিন চাল নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ২০০ থেকে ২৫০টি ট্রাক ছেড়ে যেত; কিন্তু গত রমজান মাসের পর থেকে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৪০টিতে। ফলে ট্রাক পরিবহন ব্যবসায়ীরাও হচ্ছেন চরম ক্ষতির সম্মুখীন।
নওগাঁর বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী ও নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আকবর আলী মোল্লা জানান, চাল আমদানির বিষয়টি বাজারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে যে চাল ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে, তা সার্টার করা স্বর্ণা চাল। দেশের মিলগুলোয় উৎপাদিত বিপুল চাল রয়েছে। বর্তমান বাজারে যে দরে চাল বেচাকেনা হচ্ছে, সে দরে চাল বিক্রি করতে হলে যে লোকসান গুনতে হবে, তা সামলে ওঠা ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। বর্তমানে বাজারে টালমাটাল অবস্থার কারণে কেউ চাল খরিদ করতে চাচ্ছে না।
পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজারে মোটা পারিজা ৩০ টাকা, বিআর একুশ ২৮ টাকা, বি আর২৮ ৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। চিকন জিরা শাইল ৩৮ টাকা, মিনিকেট ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য চালের দামও কমেছে। অপরদিকে সরকার নির্ধারিত ওএমএসের চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৪ টাকা দরে।
নিরোদ বরণ সাহা চন্দন জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন ধান। আগের ধারণা থেকে বলা যায়, এবার কৃষক গত বছরের মতো ধানের দাম পাবে না। কারণ হিসাবে তিনি জানান, গতবার বেশি মূল্য দিয়ে মিলমালিকরা ধান কিনেছেন। এবার সেই ধান থেকে উৎপাদিত চাল বিক্রি করতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সতরাং আবারও ওই ঝুঁকি কোনো চালকল ব্যবসায়ী নিবেন না। বর্তমানে মিনিকেট চালের যে বাজার চলছে, তাতে প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লোকসান হবে।
সম্প্রতি চালের মূল্য কমতে থাকায় নওগাঁ জেলার চাল ব্যবসায়ী ও মিলমালিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তাঁরা জানান, দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকা সত্ত্বেও সরকার ভারত থেকে চাল আমদানি করছে। চলছে ওএমএস কর্মসূচি। এর প্রভাবে বাজারে বর্তমানে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। উৎপাদন ব্যয়ের থেকে চালের দাম বস্তাপ্রতি দুই থেকে আড়াই শ টাকা কমে গেছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাল ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যেই এক মাসের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন ধানের চাল। প্রায় এক মাস ধরে দেশের বৃহৎত্তম চালের মোকাম নওগাঁয় চাল কিনতে আসছেন না দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা।
নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন জানান, নওগাঁয় গত রমজান মাস থেকেই মোকামগুলোর পাইকাররা নওগাঁয় চাল কিনতে আসছেন না। অনিশ্চিত চালের বাজারের বেহাল অবস্থার কারণে তাঁরা লোকসানের ভয়ে চাল কিনছেন না। ফলে দিনের পর দিন নওগাঁর চাল ব্যবসায়ীদের হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। আমদানীকৃত চালের মূল্য স্থানীয় উৎপাদিত চালের মূল্যের চেয়ে অনেক কম। কিছুদিন আগেও ভারত থেকে আমদানি করা চালের সব ব্যয় মিটিয়ে মূল্য পড়ত ২৯ থেকে সাড়ে ২৯ টাকা। ভারত ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে এখন মূল্য আসছে ২৬-২৭ টাকা। ফলে আমদানীকৃত চালের দাম আরেক দফা কমবে।
অপরদিকে খুচরা বাজারের চাল ব্যবসায়ী টিংকু সাহা, হারুন অর রশীদ ও শহিদুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহে সকল প্রকারের চালের দাম কেজিপ্রতি কমে গেছে আরো দুই টাকা। বাজারে খদ্দের আসছে না। তাঁরা জানান, ওএমএসের চালের প্রভাব বজারের এ অবস্থা হয়েছে।
চালকল চাতাল ব্যবসায়ী ও নওগাঁ জেলা ট্রাক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান টিপু জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় নওগাঁ থেকে প্রতিদিন চাল নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ২০০ থেকে ২৫০টি ট্রাক ছেড়ে যেত; কিন্তু গত রমজান মাসের পর থেকে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৪০টিতে। ফলে ট্রাক পরিবহন ব্যবসায়ীরাও হচ্ছেন চরম ক্ষতির সম্মুখীন।
নওগাঁর বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী ও নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আকবর আলী মোল্লা জানান, চাল আমদানির বিষয়টি বাজারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে যে চাল ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে, তা সার্টার করা স্বর্ণা চাল। দেশের মিলগুলোয় উৎপাদিত বিপুল চাল রয়েছে। বর্তমান বাজারে যে দরে চাল বেচাকেনা হচ্ছে, সে দরে চাল বিক্রি করতে হলে যে লোকসান গুনতে হবে, তা সামলে ওঠা ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। বর্তমানে বাজারে টালমাটাল অবস্থার কারণে কেউ চাল খরিদ করতে চাচ্ছে না।
পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজারে মোটা পারিজা ৩০ টাকা, বিআর একুশ ২৮ টাকা, বি আর২৮ ৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। চিকন জিরা শাইল ৩৮ টাকা, মিনিকেট ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য চালের দামও কমেছে। অপরদিকে সরকার নির্ধারিত ওএমএসের চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৪ টাকা দরে।
নিরোদ বরণ সাহা চন্দন জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন ধান। আগের ধারণা থেকে বলা যায়, এবার কৃষক গত বছরের মতো ধানের দাম পাবে না। কারণ হিসাবে তিনি জানান, গতবার বেশি মূল্য দিয়ে মিলমালিকরা ধান কিনেছেন। এবার সেই ধান থেকে উৎপাদিত চাল বিক্রি করতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সতরাং আবারও ওই ঝুঁকি কোনো চালকল ব্যবসায়ী নিবেন না। বর্তমানে মিনিকেট চালের যে বাজার চলছে, তাতে প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লোকসান হবে।
No comments