মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মাস্তানদের হাতে গৃহবধূ খুন
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার কাজী পাড়ায় উত্তেজিত মাস্তানদের হাতে খুন হয়েছেন কাজী নুরুন্নাহার (৪৫) নামের এক গৃহকর্ত্রী। এ ঘটনায় আরো দুজন গুরুতর আহত হন। নিহতের স্বামী শাহাদাত হোসেন ছেলে ও খায়রুল ইসলাম জানান, এলাকার চিহ্নিত মাস্তান-চাঁদাবাজ মনির ওরফে সেঙ্ িমনির ও জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয় মাস্তানরা বেশ কিছুদিন ধরে তাঁদের বাড়ির ভাড়াটেদের ঘরে মাদক সেবনের আখড়া বসাতে চাপ দিতে থাকে। ভাড়াটেরা বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানালে মাস্তানদের সাবধান করে দেওয়া হয়। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মাস্তানরা বাড়ির মালিক শাহাদাত হোসেনকে হুমকি দিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে।
এ সময় স্ত্রী নুরুন্নাহার গেটের কাছে এসে মাস্তান জাহাঙ্গীর ও মনিরকে ধমক দিলে তারা তাঁকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই নুরুন্নাহার মারা যান। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে এলে ছেলে খায়রুল ও আত্মীয় আবদুস শহীদের ওপর মাস্তানরা হামলা চালায়। রামদায়ের কোপে তাঁরাও আহত হন।
খায়রুল বলেন, জাহাঙ্গীর ও মনির এলাকায় ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ফেরদৌস, খলিলসহ তাদের দলের অন্যরা সন্ধ্যার পর বিভিন্ন অলিগলিতে গার্মেন্টকর্মীদের পথ আগলে ছিনতাই করে। খায়রুলদের তিনতলা বাড়িতে ৪৫টি ঘরে শতাধিক ভাড়াটে থাকে। প্রতি মাসে চাঁদা দিতে এবং নিরিবিলি ঘরের ভেতরে মাদক সেবনের সুযোগ দিতে ভাড়াটেদের বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যথায় ভাড়াটেদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মনির নিহত নুরুন্নাহারের আত্মীয় হলেও তাঁদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। প্রায়ই ভাড়াটে শ্রমিকদের কাছ থেকে মনির ও তার সহযোগীরা টাকা ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। এ নিয়ে কিছুদিন আগে টঙ্গী মডেল থানায় মনিরের বিরুদ্ধে একটি ডায়েরি করেন শাহাদাত হোসেন ।
হত্যাকাণ্ডের পর মনির ও জাহাঙ্গীর পলাতক। তাদের বাড়ি একই এলাকায়। তাদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, ঘরে তালা। আশপাশের লোকজন জানায়, বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টাকালে গতকাল সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরের পিতা ইমান কাজী ও মনিরের স্ত্রী শিউলি ও মেয়ে মেহেরুন্নেছাকে পুলিশ আটক করেছে।
খায়রুল বলেন, জাহাঙ্গীর ও মনির এলাকায় ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ফেরদৌস, খলিলসহ তাদের দলের অন্যরা সন্ধ্যার পর বিভিন্ন অলিগলিতে গার্মেন্টকর্মীদের পথ আগলে ছিনতাই করে। খায়রুলদের তিনতলা বাড়িতে ৪৫টি ঘরে শতাধিক ভাড়াটে থাকে। প্রতি মাসে চাঁদা দিতে এবং নিরিবিলি ঘরের ভেতরে মাদক সেবনের সুযোগ দিতে ভাড়াটেদের বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যথায় ভাড়াটেদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মনির নিহত নুরুন্নাহারের আত্মীয় হলেও তাঁদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। প্রায়ই ভাড়াটে শ্রমিকদের কাছ থেকে মনির ও তার সহযোগীরা টাকা ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। এ নিয়ে কিছুদিন আগে টঙ্গী মডেল থানায় মনিরের বিরুদ্ধে একটি ডায়েরি করেন শাহাদাত হোসেন ।
হত্যাকাণ্ডের পর মনির ও জাহাঙ্গীর পলাতক। তাদের বাড়ি একই এলাকায়। তাদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, ঘরে তালা। আশপাশের লোকজন জানায়, বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টাকালে গতকাল সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরের পিতা ইমান কাজী ও মনিরের স্ত্রী শিউলি ও মেয়ে মেহেরুন্নেছাকে পুলিশ আটক করেছে।
No comments