খাদ্যপণ্যে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ আমদানি কঠোর হচ্ছে

খাদ্যপণ্যে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আমদানি করা পণ্যের মান কঠোরভাবে যাচাই করা ও আমদানি সহজীকরণের বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে মন্ত্রণালয়। আমদানি-রপ্তানি নীতি আদেশ ২০০৯-১২ পর্যালোচনা বৈঠকে এসব বিষয়ে গুরুত্ব্ব দেওয়া হয়।
বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মধ্যবর্তী সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটি ও সংশ্লিষ্টরা এক বৈঠকে বসেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে ২০টি বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।


তবে সময় স্বল্পতায় তাঁদের সব প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হয়নি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন এক কর্মকর্তা জানান, আমদানি-রপ্তানি নীতি আদেশ পর্যালোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিষয়গুলো জটিল হওয়ায় এ বিষয়ে আরো বৈঠকের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ টেঙ্টাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানির বিষয়ে জটিলতা নিরসন নিয়ে প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলেও তা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। আমদানি করা পণ্যের শুল্ক হ্রাস এবং সহজীকরণের বিষয়ে বৈঠকে প্রস্তাব দিয়েছেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রতিনিধি। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামত গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা টিউবলাইট দেশে আসার পর বিএসটিআইয়ের পরীক্ষা বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিকস অ্যাসোসিয়েশন। বৈঠকে বাণিজ্যসচিব বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধা দূর করতে নানাবিধ পদক্ষেপ নতুন আইনে অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস দেন। সেখানে সবার মতামত মূল্যায়ন হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শওকত আলী ওয়ারেছী, সিনিয়র সহকারী সচিব মনির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.