অজানার সঙ্গে আর বন্দুত্ব নয় by সাব্বিন হাসান
মম মেয়েটি সব সময়ই উদাস থাকে। বিষণম্ন মনে কী যে ভাবতে থাকে তার কোনো উপায়-অন্ত নেই, নেই কোনো গন্তব্যও। তবুও ভাবনা তার পিছু ছাড়ে না। ভাবনার সাগরে সে ডুবে থাকে। জানালা দিয়ে দূর পানে চেয়ে শুধু নীল আকাশ দেখে। আর মনে মনে রচনা করে সে আকাশ সাঁতরে বেড়ানোর স্বপম্ন। যান্ত্রিক জীবনে মমর আব্বু, আম্মু কিংবা দাদার কোনো বাড়তি ফুরসত নেই তাকে সময় দেওয়ার। বিপরীতে বন্দু-বান্দবের সঙ্গে মেশা কিংবা আড্ডা দেওয়ারও অনুমতি নেই তার।
অগত্যা কী আর করা। ঘরের কোণে পড়ে থাকা স্থির বাক্স আকৃতির যন্ত্র (কম্পিউটার) তার একাকিত্ব ঘুচানোর খোরাক হয়ে দাঁড়ায়। কেননা সময় এখন প্রযুক্তির দাস। প্রযুক্তি গেড়ে বসেছে জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে। খেলাধুলা, বিনোদন, শিক্ষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, বন্দুত্ব, বিয়ে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে প্রযুক্তি কড়া নাড়ে না। তাই অবসরে মম বাড়তি যেটুকু সময় পায় তা কাটে ওই ইন্টারনেটে। যেখানে বসে চলে চ্যাট কিংবা মেইল আদান-প্রদানের যান্ত্রিক কুশল বিনিময়। কিন্তু র্বতমানে ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে একশ্রেণীর অসাধু মহল পেতে বসেছে নানা রকমের কুচক্রী ফাঁদ।
অবাধ তথ্যের মহাসাগরে (ইন্টারনেট বিশ্ব) অসততার চর্চাও বেঁধেছে বাসা। অশ্নীলতা আর মিথ্যাচারের গ্রাস পড়েছে এ অবাধ সংস্কৃতিতেও। অনলাইন বন্দুত্বের ছদ্মবেশে এখানে চলে প্রতি মুহহৃতরাউর ছলনার গল্প লেখার খেলা। মম এসব কিছু জানেও না, বোঝেও না। শুধু বোঝে অস্থির মুহহৃর্তগুলোতে তার মনের কথা কাউকে জানাতে, কাউকে বলতে।
অন্যদিকে প্রতারকের আরেক মাধ্যম হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মোবাইল সংস্কৃতি। তবে মোবাইল সংস্কৃতিতে চাইলে অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু ইন্টারনেট সংস্কৃতিতে অপচর্চার ঘটনায় দোষীকে শাস্তি দেওয়ার নজির নেই বললেই চলে। যাওবা দু'একটা ঘটনা সামনে আসে, তাও শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তিহীনই থেকে যায়। যা হোক, ফিরে আসি মমর গল্পে। কোনো এক বিষণম্ন বিকেলে মম বসে পড়ে ইন্টারনেটে কিছুটা বিনোদনের খোঁজে। ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎই মমর চোখে পড়ে অনলাইন বন্দুত্বের একটি সাইট। সহজ-সরল মনে বন্দুত্ব পেতে অনেক তথ্য দিয়ে ইন্টারনেটের নির্দিষ্ঠ সাইটে নিবন্দন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সে।
প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া এখানেই শুরু। একে একে মম অনেকেরই ছলনার ফাঁদে পা দিয়ে নিজের নাম, ঠিকানা, বয়স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাসার ঠিকানা এমনকি বাসার ফোন নম্বরটিও দিয়ে দেয়। দুষ্ঠচত্রেক্রর বখাটে যুবকদের কাছে সে হয়ে ওঠে এক নিশানা। মানসিকভাবে বন্দুত্বের সুযোগে সে চক্র মমকে ধীরে ধীরে গ্রাস করতে শুরু করে। কষে্টর কথাগুলো বন্দুকে জানাতে গিয়ে সে ডেকে আনে অজানা বিপদ। যা তার শারীরিক, মানসিক এমনকি ব্যক্তিগত জীবনকেও বাধার সম্মুখীন করে। শুরু হয় মমর আরেক যন্ত্রণা। মম হারিয়ে যায় আবারো সেই বিষণম্নতা আর একাকিত্বের শহৃন্যতায়।
শুধু দেশে নয়, বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবেও র্বতমান আলোচনায় উঠে এসেছে। সে আলোচনায় মেয়ে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহার অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর বলে চিহিক্রত করা হয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের অধরাউকাংশ ইন্টারনেটে যথেচ্ছ ঘুরে বেড়ায়। প্রকৃত কোনো প্রয়োজন নেই অথচ অকারণেই কী যেন একটা হাতড়িয়ে বেড়ানো। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা এনএসপিসিসি সতর্ক করে দিয়েছে এভাবেই, ইন্টারনেটের অনিবন্দিত সাইটগুলোতে শিশুদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। কেননা ইন্টারনেটের বহুবিধ বিষয় শিশুদের ওপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৫৩ জন শিশুর ওপর চালানো এক জরিপে নজরে আসে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫০ ভাগ শিশু প্রয়োজন ছাড়াই নেট ব্যবহার করে।
উল্লেখিত বিষয়গুলো সামাজিকভাবে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক সাইটের জন্যও হুমকিস্বরূপ।
এ প্রসঙ্গে এনএসপিসিসি সংস্থার প্রধান নির্বাহী ড্যাম মেরি মারশ বলেছেন, শিশুরা ইন্টারনেটের সার্বিক ব্যবহারে ঝুঁকির সম্মুখীন। নেট ব্যবহারকারী মোট শিশুর মধ্যে ৪৬ ভাগই কিছু না বুঝেই তাদের প্রকৃত নাম ও ঠিকানা দিয়ে বন্দুত্বের নিবন্দন করে। বিপত্তির শুরু এখান থেকেই। শিশুদের একাংশে আছে মেয়ে। আর এসব তথ্যকে পুঁজি করে শুরু মিথ্যার সাম্রাজ্য গড়ে তোলার খেলা। সহজ-সরল মনের মেয়ে শিশুরা তাদের ছবি, ফোন নম্বর এমনকি বাসার ঠিকানা পর্যন্ত নিবন্দন কাজে দিয়ে দেয়। সুচতুর ব্যবসায়ী ও প্রতারক গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য সাধনে আর তেমন কোনো বাধাই থাকে না। শুরু হয় শিশুতোষ মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টো ফলাফল শিশুতোষ মনে অস্বাভিক চিন্তা-ভাবনা জাগিয়ে তোলে, যা তাদেরকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শিশুরা হয়ে ওঠে অসামাজিক। তাদের আচরণও হয়ে ওঠে অস্বাভাবিক, বেমানান। এ প্রসঙ্গে অনলাইন প্রটেকশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী জিম গ্যামবেল জানান, শিশুরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটের প্রভাবে ভিন্নধর্মী জীবনের প্রতি আকৃষ্ঠ হয়, যা ব্যক্তি কিংবা সমাজ কারো পক্ষেই শুভ ফল বয়ে আনে না। তিনি এ বিষয়ে অভিভাবক মহলকে আরো সচেতন ও সজাগ থাকার কথাই বলেছেন। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিগগিরই এ প্রতারণা চত্রেক্রর বিরুদ্ধে আইন করে কঠোর শাস্তির প্রচলন করা উচিত।
অবাধ তথ্যের মহাসাগরে (ইন্টারনেট বিশ্ব) অসততার চর্চাও বেঁধেছে বাসা। অশ্নীলতা আর মিথ্যাচারের গ্রাস পড়েছে এ অবাধ সংস্কৃতিতেও। অনলাইন বন্দুত্বের ছদ্মবেশে এখানে চলে প্রতি মুহহৃতরাউর ছলনার গল্প লেখার খেলা। মম এসব কিছু জানেও না, বোঝেও না। শুধু বোঝে অস্থির মুহহৃর্তগুলোতে তার মনের কথা কাউকে জানাতে, কাউকে বলতে।
অন্যদিকে প্রতারকের আরেক মাধ্যম হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মোবাইল সংস্কৃতি। তবে মোবাইল সংস্কৃতিতে চাইলে অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু ইন্টারনেট সংস্কৃতিতে অপচর্চার ঘটনায় দোষীকে শাস্তি দেওয়ার নজির নেই বললেই চলে। যাওবা দু'একটা ঘটনা সামনে আসে, তাও শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তিহীনই থেকে যায়। যা হোক, ফিরে আসি মমর গল্পে। কোনো এক বিষণম্ন বিকেলে মম বসে পড়ে ইন্টারনেটে কিছুটা বিনোদনের খোঁজে। ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎই মমর চোখে পড়ে অনলাইন বন্দুত্বের একটি সাইট। সহজ-সরল মনে বন্দুত্ব পেতে অনেক তথ্য দিয়ে ইন্টারনেটের নির্দিষ্ঠ সাইটে নিবন্দন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সে।
প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া এখানেই শুরু। একে একে মম অনেকেরই ছলনার ফাঁদে পা দিয়ে নিজের নাম, ঠিকানা, বয়স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাসার ঠিকানা এমনকি বাসার ফোন নম্বরটিও দিয়ে দেয়। দুষ্ঠচত্রেক্রর বখাটে যুবকদের কাছে সে হয়ে ওঠে এক নিশানা। মানসিকভাবে বন্দুত্বের সুযোগে সে চক্র মমকে ধীরে ধীরে গ্রাস করতে শুরু করে। কষে্টর কথাগুলো বন্দুকে জানাতে গিয়ে সে ডেকে আনে অজানা বিপদ। যা তার শারীরিক, মানসিক এমনকি ব্যক্তিগত জীবনকেও বাধার সম্মুখীন করে। শুরু হয় মমর আরেক যন্ত্রণা। মম হারিয়ে যায় আবারো সেই বিষণম্নতা আর একাকিত্বের শহৃন্যতায়।
শুধু দেশে নয়, বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবেও র্বতমান আলোচনায় উঠে এসেছে। সে আলোচনায় মেয়ে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহার অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর বলে চিহিক্রত করা হয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের অধরাউকাংশ ইন্টারনেটে যথেচ্ছ ঘুরে বেড়ায়। প্রকৃত কোনো প্রয়োজন নেই অথচ অকারণেই কী যেন একটা হাতড়িয়ে বেড়ানো। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা এনএসপিসিসি সতর্ক করে দিয়েছে এভাবেই, ইন্টারনেটের অনিবন্দিত সাইটগুলোতে শিশুদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। কেননা ইন্টারনেটের বহুবিধ বিষয় শিশুদের ওপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৫৩ জন শিশুর ওপর চালানো এক জরিপে নজরে আসে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫০ ভাগ শিশু প্রয়োজন ছাড়াই নেট ব্যবহার করে।
উল্লেখিত বিষয়গুলো সামাজিকভাবে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক সাইটের জন্যও হুমকিস্বরূপ।
এ প্রসঙ্গে এনএসপিসিসি সংস্থার প্রধান নির্বাহী ড্যাম মেরি মারশ বলেছেন, শিশুরা ইন্টারনেটের সার্বিক ব্যবহারে ঝুঁকির সম্মুখীন। নেট ব্যবহারকারী মোট শিশুর মধ্যে ৪৬ ভাগই কিছু না বুঝেই তাদের প্রকৃত নাম ও ঠিকানা দিয়ে বন্দুত্বের নিবন্দন করে। বিপত্তির শুরু এখান থেকেই। শিশুদের একাংশে আছে মেয়ে। আর এসব তথ্যকে পুঁজি করে শুরু মিথ্যার সাম্রাজ্য গড়ে তোলার খেলা। সহজ-সরল মনের মেয়ে শিশুরা তাদের ছবি, ফোন নম্বর এমনকি বাসার ঠিকানা পর্যন্ত নিবন্দন কাজে দিয়ে দেয়। সুচতুর ব্যবসায়ী ও প্রতারক গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য সাধনে আর তেমন কোনো বাধাই থাকে না। শুরু হয় শিশুতোষ মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টো ফলাফল শিশুতোষ মনে অস্বাভিক চিন্তা-ভাবনা জাগিয়ে তোলে, যা তাদেরকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শিশুরা হয়ে ওঠে অসামাজিক। তাদের আচরণও হয়ে ওঠে অস্বাভাবিক, বেমানান। এ প্রসঙ্গে অনলাইন প্রটেকশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী জিম গ্যামবেল জানান, শিশুরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটের প্রভাবে ভিন্নধর্মী জীবনের প্রতি আকৃষ্ঠ হয়, যা ব্যক্তি কিংবা সমাজ কারো পক্ষেই শুভ ফল বয়ে আনে না। তিনি এ বিষয়ে অভিভাবক মহলকে আরো সচেতন ও সজাগ থাকার কথাই বলেছেন। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিগগিরই এ প্রতারণা চত্রেক্রর বিরুদ্ধে আইন করে কঠোর শাস্তির প্রচলন করা উচিত।
No comments