মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি বিপুল রাজস্ব ফাঁকি by ফারুক ইকবাল,
সিলিকন স্টিলের নামে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে আমদানি করা হচ্ছে হাজার হাজার টন জিপি-বিপি-কালার শিট ও হট রোলড কয়েল। এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের পণ্য আমদানি ও খালাসের চাঞ্চল্যকর ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়েছে সম্প্রতি। কিছু অসাধু আমদানিকারকসহ বন্দর, কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ ধরনের আমদানি পণ্যের দুই শতাধিক চালান অতি সম্প্রতি আটক করতে সমর্থ হয় চট্টগ্রাম কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
তবে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা কর্তৃপক্ষের গঠিত 'ট্রুথ কমিশন'-এর কাছে দোষ স্বীকার করে সত্য ঘোষণা দেওয়ার পর নূ্যনতম জরিমানা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ আটক পণ্য বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে গেছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব পণ্য খালাস করা হয়। প্রতিটি আমদানি চালানের পরিমাপ ছিল ৫০ থেকে ১০০ টন। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ প্রতি টন আটক পণ্যের আমদানি মূল্যের ওপর মাত্র ১০ শতাংশ জরিমানা আরোপ করে। ডিউটি, ট্যাঙ্সহ জরিমানা আদায়ের পরিমাণ ২০ কোটি টাকা বলে কাস্টম কর্তৃপক্ষ কালের কণ্ঠকে জানিয়েছে।
কাস্টমস কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়ার নির্দেশে যুগ্ম কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বাধীন একটি তদন্তদল গত তিন মাসে সিলিকন স্টিলের নামে মিথ্যা ঘোষণা, পিএসআইযোগ্য পণ্যকে নন-পিএসআই ঘোষণা দিয়ে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা এবং ওজনে কারচুপির দায়ে বন্দরে আমদানি করা ওইসব চালান আটক করে।
জানা গেছে, সিলিকন স্টিলের ডিউটি মাত্র পাঁচ শতাংশ। এই পণ্য পিএসআইযোগ্য নয়। ওজন বা স্কেলিংও বাধ্যতামূলক নয়। অন্যদিকে হট রোলড কয়েল, জিপি শিট ও বিপি শিটের ডিউটি ১২ শতাংশ এবং কালার শিটের ডিউটি ২৫ শতাংশ। এ পণ্যগুলোর পিএসআই সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। তাই অসাধু আমদানিকারকরা এসব পিএসআইযোগ্য পণ্যের শুল্ক ফাঁকি দিতে সিলিকন স্টিল হিসেবে মিথ্যা ঘোষণার আশ্রয় নেন।
জানা গেছে, জিপি শিট, বিপি শিট, কালার শিট, হট রোলড কয়েল ও সিলিকন স্টিলের দুই শতাধিক চালান আটকের পর সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন মহলে তদবির শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাস্টম কর্তৃপক্ষের ওপর এসব পণ্য চালান নূ্যনতম জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়ার চাপ ছিল। সাধারণত পিএসআইযোগ্য পণ্য নন-পিএসআই ঘোষণায় আমদানির পর আটক করা হলে কাস্টম কর্তৃপক্ষ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। এ নিয়ে কাস্টমস স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়।
তবে কাস্টম কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক চালান আটক এবং পরে ডিউটি ট্যাঙ্রে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা আদায় করে পণ্য খালাসের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপের কথা অস্বীকার করেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন জিপি শিট, বিপি শিট, কালার শিট, হট রোলড কয়েল ইত্যাদি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার ব্যাপক প্রবণতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, "এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকদের বহুবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। যে কারণে এবার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে এ ধরনের পণ্যের দুই শতাধিক চালান আটক করা হয়। এবং 'সত্য ঘোষণা' দেওয়ার পর সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ জরিমানা আদায় করে এসব পণ্য চালান খালাস দেওয়া হয়।" তিনি আরো বলেন, 'আমরা তাঁদের সদিচ্ছার মূল্যায়ন করেছি। সরকারি স্বার্থ ও ব্যবসার গতিশীলতা দুটোই দেখেছি। আমাদের ওপর কোনো মহলবিশেষ বা কোনো পর্যায় থেকেই চাপ বলতে কিছু ছিল না।'
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, 'গত অর্থবছরেও মিথ্যা ঘোষণার কারণে এ ধরনের পণ্যের ৬০টি চালান আটক করা হয়েছিল। এবার আটক করা হয় দুই শতাধিক চালান। আশা করছি, যাঁরা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছিলেন, এখন তাঁদের সত্য ঘোষণা ও জরিমানা প্রদানের পর শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাস করে নেওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে।'
কাস্টমস কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়ার নির্দেশে যুগ্ম কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বাধীন একটি তদন্তদল গত তিন মাসে সিলিকন স্টিলের নামে মিথ্যা ঘোষণা, পিএসআইযোগ্য পণ্যকে নন-পিএসআই ঘোষণা দিয়ে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা এবং ওজনে কারচুপির দায়ে বন্দরে আমদানি করা ওইসব চালান আটক করে।
জানা গেছে, সিলিকন স্টিলের ডিউটি মাত্র পাঁচ শতাংশ। এই পণ্য পিএসআইযোগ্য নয়। ওজন বা স্কেলিংও বাধ্যতামূলক নয়। অন্যদিকে হট রোলড কয়েল, জিপি শিট ও বিপি শিটের ডিউটি ১২ শতাংশ এবং কালার শিটের ডিউটি ২৫ শতাংশ। এ পণ্যগুলোর পিএসআই সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। তাই অসাধু আমদানিকারকরা এসব পিএসআইযোগ্য পণ্যের শুল্ক ফাঁকি দিতে সিলিকন স্টিল হিসেবে মিথ্যা ঘোষণার আশ্রয় নেন।
জানা গেছে, জিপি শিট, বিপি শিট, কালার শিট, হট রোলড কয়েল ও সিলিকন স্টিলের দুই শতাধিক চালান আটকের পর সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন মহলে তদবির শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাস্টম কর্তৃপক্ষের ওপর এসব পণ্য চালান নূ্যনতম জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়ার চাপ ছিল। সাধারণত পিএসআইযোগ্য পণ্য নন-পিএসআই ঘোষণায় আমদানির পর আটক করা হলে কাস্টম কর্তৃপক্ষ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। এ নিয়ে কাস্টমস স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়।
তবে কাস্টম কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক চালান আটক এবং পরে ডিউটি ট্যাঙ্রে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা আদায় করে পণ্য খালাসের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপের কথা অস্বীকার করেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন জিপি শিট, বিপি শিট, কালার শিট, হট রোলড কয়েল ইত্যাদি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার ব্যাপক প্রবণতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, "এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকদের বহুবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। যে কারণে এবার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে এ ধরনের পণ্যের দুই শতাধিক চালান আটক করা হয়। এবং 'সত্য ঘোষণা' দেওয়ার পর সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ জরিমানা আদায় করে এসব পণ্য চালান খালাস দেওয়া হয়।" তিনি আরো বলেন, 'আমরা তাঁদের সদিচ্ছার মূল্যায়ন করেছি। সরকারি স্বার্থ ও ব্যবসার গতিশীলতা দুটোই দেখেছি। আমাদের ওপর কোনো মহলবিশেষ বা কোনো পর্যায় থেকেই চাপ বলতে কিছু ছিল না।'
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, 'গত অর্থবছরেও মিথ্যা ঘোষণার কারণে এ ধরনের পণ্যের ৬০টি চালান আটক করা হয়েছিল। এবার আটক করা হয় দুই শতাধিক চালান। আশা করছি, যাঁরা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছিলেন, এখন তাঁদের সত্য ঘোষণা ও জরিমানা প্রদানের পর শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাস করে নেওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে।'
No comments