দেশবাসী কি মানহানির ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে না? by মাওলানা হোসেন আলী
যুক্তরাষ্ঠ্রভিত্তিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা এনডিআইয়ের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছে। তারা বাংলাদেশের বিবদমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভঙ্গুর নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশ কিছু কড়া মন্তব্য করেছেন। তারা সিইসি এমএ আজিজের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে অনির্ভরযোগ্য ও পক্ষপাতদুষ্ঠ বলে মন্তব্য করেছেন। এমএ আজিজ সম্পর্কেও তারা সরাসরি মন্তব্য করেছেন যে, তিনি সিইসি হিসেবে অযোগ্য। তাদের এ মন্তব্য আমাদের রাষ্ট্রের জন্য অসৌজন্যমূলক তবে বস্থুনিষ্ঠ।
আর উদ্ভূত সংকট মোকাবেলার জন্য কার্যকর যদি কিছু থাকে তবে এ মন্তব্য সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ। এনডিআইয়ের পর বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের প্রাক্ধসঢ়; পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য এসে হাজির হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন আাগমী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজে তারা হাত দেবেন কি-না। তাদের এ কথাটিও আমাদের জন্য এক ধরনের অবজ্ঞাসূচক। তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি একেবারে অপাঙ্ধসঢ়;ক্তেয় বা চরম হতাশাব্যঞ্জক মনে করলে এ ব্যাপারে আর নাক গলাতে আসবেন না এটাই বলতে চাইবেন। অর্থাৎ বাংলাদেশ তাদের হিসাবের খাতায় থাকার যোগ্য কি-না তা খতিয়ে দেখার জন্য আসছেন বলেই হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় আমাদের সরকার তাদের বোঝাতে চাইছে যে, আমরা এতটা খারাপ পর্যায়ে এখনো যাইনি। বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া তাদের বলেছেন আমরা ঝগড়া-বিবাদ যাই করি শেষ পর্যন্ত হয়তো মারামারি কাটাকাটিতে যাব না। প্রধানমন্ত্রীর স্ববিরোধী ও অযৌক্তিক বক্তৃতাকেও তিনি মাঠের বক্তৃতা অর্থাৎ মানুষকে বুঝ দেওয়ার বক্তৃতা বলে আশ্বস্ত করার চেষ্ঠা করেছেন।
এনডিআইয়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে-শুনে চলে গেছে। কিন্তু তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো নীরব অবজ্ঞা প্রদর্শনের মতো ভদ্রতার ভাষায় কথা বলে যাননি। তারা বাংলাদেশের বিবদমান দুই রাজনৈতিক পক্ষকে একসঙ্গে বসে কথাবার্তা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কড়া পরামর্শ দিয়ে গেছেন। আর সেসঙ্গে কূটনৈতিক শিষ্ঠাচারের সীমা খানিকটা লগ্ধঘন করেই আমাদের রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঙ্ষ্ঠ মতামত ব্যক্ত করে গেছেন। নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সিইসি একটি শীর্ষস্থানীয় সাংবিধানিক পদ। এনডিআই প্রতিনিধি দল আমাদের নির্বাচন কমিশন ও সিইসিকে পক্ষপাতদুষ্ঠ, অগ্রহণযোগ্য ও অযোগ্য বলে সঙ্ষ্ঠ ভাষায় জানিয়ে দিয়ে গেছে। তারা অবশ্য এক্ষেত্রে আমাদের বিবদমান দু'পক্ষের বিষয়টি ব্যালেন্স করার মতো একটা নীতিও অনুসরণ করেছেন। তারা বিচারপতি কেএম হাসানের ব্যাপারে বিরোধী দলের আপত্তির বিষয়টি প্রায় বাতিল করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তারা কেএম হাসানকে আরো দেখতে চান, এমএ আজিজকে দেখা শেষ। আর এসব কিছুর ভেতর দিয়ে তারা বাংলাদেশকে দেখছেন একটি আন্ডার সিভিলাইজড দেশ হিসেবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাইরের দুনিয়ার কাছে বাংলাদেশের এই যে অপমানজনক অবস্থান, একটা সার্বভৌম রাষ্ট্রের নূ্যনতম মর্যাদায় যে আমাদের গ্রহণ করা হয় না_ এর জন্য দায়ী কে? আমরা কি এর দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপাব? এনডিআই, ইইউ বা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দায় চাপিয়ে সান্ত্বনা লাভ করার চেষ্ঠা করব? আমাদের অযোগ্য শাসকগোষ্ঠীর এজেন্টরা হয়তো তাই করবেন এবং আমাদেরও তাই করতে বলবেন। কিন্তু তাতে আমরা অপাঙৃৃক্তেয় ও আন্ডার সিভিলাইজড হিসেবেই প্রতীয়মান হবো। আসলে এর জন্য দায়ী আমাদের অযোগ্য শাসকগোষ্ঠী। তারা আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করছেন।
আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ নানা ইসু্যতে দাতাদের হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটে আসছে অনেক আগে থেকেই। অতীতেও দেখা গেছে, আমাদের বিবদমান শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দাতাদের মধ্যস্থতা কামনা করা হয়েছে। তাদের আদেশ-নিষেধ কোনো কোনো বিষয়ে ফরমালাও হয়েছে। কিন্তু দেশের সচেতন জনগণ এ ধারা থেকে কিছুটা হলেও উত্তরণ আশা করে। একটা জাতি একদিনেই সবকিছু অর্জন করতে পারে না। তবে পর্যায়ক্রমে কিছুটা উন্নতি হোক এটুকু আশা করতে পারে। আমরা এখন দেখছি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণমূলক ধারাক্রম প্রসারমান। দেশের পরামর্শ সবসময়ই উপেক্ষিত এবং বিদেশেরটা তাৎপর্যপূর্ণ হয়।
এখন শেষ পর্যন্ত যা হতে পারে তা হলো দাতাগোষ্ঠীর চালে কোনো প্রকার আপস রফায় যাওয়া অথবা দাতাগোষ্ঠীর প্রচ্ছন্ন সমর্থন লাভের মতো কোনো অস্বচ্ছ উপায় উদ্ভাবন করে সে পথে চলা। সরকার দেশের জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংস্কারে রাজি হলো না অথচ সংস্কার সমঝোতা যতদূর সম্ভব একটা কিছু হবে দাতাদের আঙুলের ইশারায় এটা তো দেশবাসীর প্রতি সম্মান দেখানো হলো না! দাতারা যে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে আসছে_ শুধু নাক গলাচ্ছে না নিয়ন্ত্রণ করছে, নিদরাউশ দিচ্ছে_ সেটা এই সুযোগেই। বহির্বিশেষ খবর খবরদারির কারণে জাতি হিসেবে আমরা অপমানিত হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করে আমরা মোটেও সামনে এগুতে পারব না। যাদের জন্য এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে না পারলে আমরা কোনোদিনই সম্মানের পথে অগ্রসর হতে পারব না।
ভোটার তালিকা প্রশ্নে এই যে সংকট সৃষ্টি হলো, এ ব্যাপারে বিদেশী প্রতিনিধি দলের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া বলেছেন, ভোটার তালিকা তো সরকার করে না, করে নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলসহ দেশের নাগরিকদের অভিযোগটা তো ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে ছিল না, সরকারের বিরুদ্ধেও ছিল না। অভিযোগটা ছিল সিইসি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। কথা হচ্ছেল, এই সিইসি ও কমিশনারদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এখন দেশের সরলপ্রাণ দরিদ্র মানুষদের যেভাবে বুঝ দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্ঠা করা হয় সে রকম করে বিদেশি প্রতিনিধিদেরও যদি বুঝ দেওয়ার চেষ্ঠা করা হয় তবে তারা কি সেসব ছলচাতুরীর বুঝ নেবে? তা নেবে না বরং জাতি হিসেবে আমরা যে নিন্মমানের তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিপন্ন হবে। আমাদের শাসকগোষ্ঠী এভাবেই আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে আমাদের জাতীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করছে।
এভাবে জাতি হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু যে ভাবমূর্তি বা মানসম্মানের দৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা-ই নয়, আর্থিকভাবে এবং বস্থু সম্পদের দিক থেকেও আমরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমাদের শাসকগোষ্ঠী আমাদের বিশ্ববাসীর কাছে শুধু একটি দরিদ্র জাতি হিসেবে নয়, অনির্ভরযোগ্য, অবিবেচক ও নিন্মমানের জাতি হিসেবে প্রতিপন্ন করছে। দেশবাসী এজন্য শাসকগোষ্ঠীর কাছে নিজেদের মানহানির ক্ষতিপূরণের দাবি তুলতে পারে, তোলা উচিত এবং এ ধারা চলতে থাকলে একদিন অবশ্যই তুলবে।
এনডিআইয়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে-শুনে চলে গেছে। কিন্তু তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো নীরব অবজ্ঞা প্রদর্শনের মতো ভদ্রতার ভাষায় কথা বলে যাননি। তারা বাংলাদেশের বিবদমান দুই রাজনৈতিক পক্ষকে একসঙ্গে বসে কথাবার্তা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কড়া পরামর্শ দিয়ে গেছেন। আর সেসঙ্গে কূটনৈতিক শিষ্ঠাচারের সীমা খানিকটা লগ্ধঘন করেই আমাদের রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঙ্ষ্ঠ মতামত ব্যক্ত করে গেছেন। নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সিইসি একটি শীর্ষস্থানীয় সাংবিধানিক পদ। এনডিআই প্রতিনিধি দল আমাদের নির্বাচন কমিশন ও সিইসিকে পক্ষপাতদুষ্ঠ, অগ্রহণযোগ্য ও অযোগ্য বলে সঙ্ষ্ঠ ভাষায় জানিয়ে দিয়ে গেছে। তারা অবশ্য এক্ষেত্রে আমাদের বিবদমান দু'পক্ষের বিষয়টি ব্যালেন্স করার মতো একটা নীতিও অনুসরণ করেছেন। তারা বিচারপতি কেএম হাসানের ব্যাপারে বিরোধী দলের আপত্তির বিষয়টি প্রায় বাতিল করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তারা কেএম হাসানকে আরো দেখতে চান, এমএ আজিজকে দেখা শেষ। আর এসব কিছুর ভেতর দিয়ে তারা বাংলাদেশকে দেখছেন একটি আন্ডার সিভিলাইজড দেশ হিসেবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাইরের দুনিয়ার কাছে বাংলাদেশের এই যে অপমানজনক অবস্থান, একটা সার্বভৌম রাষ্ট্রের নূ্যনতম মর্যাদায় যে আমাদের গ্রহণ করা হয় না_ এর জন্য দায়ী কে? আমরা কি এর দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপাব? এনডিআই, ইইউ বা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দায় চাপিয়ে সান্ত্বনা লাভ করার চেষ্ঠা করব? আমাদের অযোগ্য শাসকগোষ্ঠীর এজেন্টরা হয়তো তাই করবেন এবং আমাদেরও তাই করতে বলবেন। কিন্তু তাতে আমরা অপাঙৃৃক্তেয় ও আন্ডার সিভিলাইজড হিসেবেই প্রতীয়মান হবো। আসলে এর জন্য দায়ী আমাদের অযোগ্য শাসকগোষ্ঠী। তারা আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করছেন।
আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ নানা ইসু্যতে দাতাদের হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটে আসছে অনেক আগে থেকেই। অতীতেও দেখা গেছে, আমাদের বিবদমান শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দাতাদের মধ্যস্থতা কামনা করা হয়েছে। তাদের আদেশ-নিষেধ কোনো কোনো বিষয়ে ফরমালাও হয়েছে। কিন্তু দেশের সচেতন জনগণ এ ধারা থেকে কিছুটা হলেও উত্তরণ আশা করে। একটা জাতি একদিনেই সবকিছু অর্জন করতে পারে না। তবে পর্যায়ক্রমে কিছুটা উন্নতি হোক এটুকু আশা করতে পারে। আমরা এখন দেখছি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণমূলক ধারাক্রম প্রসারমান। দেশের পরামর্শ সবসময়ই উপেক্ষিত এবং বিদেশেরটা তাৎপর্যপূর্ণ হয়।
এখন শেষ পর্যন্ত যা হতে পারে তা হলো দাতাগোষ্ঠীর চালে কোনো প্রকার আপস রফায় যাওয়া অথবা দাতাগোষ্ঠীর প্রচ্ছন্ন সমর্থন লাভের মতো কোনো অস্বচ্ছ উপায় উদ্ভাবন করে সে পথে চলা। সরকার দেশের জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংস্কারে রাজি হলো না অথচ সংস্কার সমঝোতা যতদূর সম্ভব একটা কিছু হবে দাতাদের আঙুলের ইশারায় এটা তো দেশবাসীর প্রতি সম্মান দেখানো হলো না! দাতারা যে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে আসছে_ শুধু নাক গলাচ্ছে না নিয়ন্ত্রণ করছে, নিদরাউশ দিচ্ছে_ সেটা এই সুযোগেই। বহির্বিশেষ খবর খবরদারির কারণে জাতি হিসেবে আমরা অপমানিত হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করে আমরা মোটেও সামনে এগুতে পারব না। যাদের জন্য এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে না পারলে আমরা কোনোদিনই সম্মানের পথে অগ্রসর হতে পারব না।
ভোটার তালিকা প্রশ্নে এই যে সংকট সৃষ্টি হলো, এ ব্যাপারে বিদেশী প্রতিনিধি দলের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া বলেছেন, ভোটার তালিকা তো সরকার করে না, করে নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলসহ দেশের নাগরিকদের অভিযোগটা তো ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে ছিল না, সরকারের বিরুদ্ধেও ছিল না। অভিযোগটা ছিল সিইসি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। কথা হচ্ছেল, এই সিইসি ও কমিশনারদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এখন দেশের সরলপ্রাণ দরিদ্র মানুষদের যেভাবে বুঝ দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্ঠা করা হয় সে রকম করে বিদেশি প্রতিনিধিদেরও যদি বুঝ দেওয়ার চেষ্ঠা করা হয় তবে তারা কি সেসব ছলচাতুরীর বুঝ নেবে? তা নেবে না বরং জাতি হিসেবে আমরা যে নিন্মমানের তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিপন্ন হবে। আমাদের শাসকগোষ্ঠী এভাবেই আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে আমাদের জাতীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করছে।
এভাবে জাতি হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু যে ভাবমূর্তি বা মানসম্মানের দৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা-ই নয়, আর্থিকভাবে এবং বস্থু সম্পদের দিক থেকেও আমরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমাদের শাসকগোষ্ঠী আমাদের বিশ্ববাসীর কাছে শুধু একটি দরিদ্র জাতি হিসেবে নয়, অনির্ভরযোগ্য, অবিবেচক ও নিন্মমানের জাতি হিসেবে প্রতিপন্ন করছে। দেশবাসী এজন্য শাসকগোষ্ঠীর কাছে নিজেদের মানহানির ক্ষতিপূরণের দাবি তুলতে পারে, তোলা উচিত এবং এ ধারা চলতে থাকলে একদিন অবশ্যই তুলবে।
No comments