শেয়ারের দাম কমলেও লাভ বেড়েছে by তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু
লেনদেন কমেছে। কমেছে শেয়ারের দাম, সূচক, বাজার মূলধন। তবু ভিত্তি নড়ে যায়নি কম্পানিগুলোর। চলমান মন্দাভাবের মধ্যেও গত অর্থবছরে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলো আগের বছরের তুলনায় ৬০০ কোটি টাকা বেশি লভ্যাংশ তুলে দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের হাতে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম্পানিগুলোর মৌলভিত্তি এখন অনেক শক্ত বলেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে বাজারের ঘুরে দাঁড়ানো আর দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে সুফল পাওয়ার ইঙ্গিতও দেখছেন তাঁরা।
৩০ জুন শেষ হওয়া গত অর্থবছরে তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলো লভ্যাংশ হিসেবে দুই হাজার ৯১২ কোটি টাকা বিনিয়োগকারীদের নগদ প্রদান করেছে। আগের ২০০৯-১০ অর্থবছরে এই লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা। তারও আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০০৮-২০০৯ সালে এই লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে ১০ মাসের ধসে সূচক কমেছে ৩১৯০.৭১ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণ কমেছে প্রায় তিন হাজার কেটি টাকা। বাজার মূলধন কমেছে ৯১ হাজার ৪৫০ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার। ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের একটি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবছরই লভ্যাংশের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নতুন নতুন কম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত কম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ২৬৮টি। এর মধ্যে কম্পানির সংখ্যা ২৩১টি। বাকি ৩৭টি রয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর বাইরে লেনদেনের জন্য তিনটি বন্ড রয়েছে শেয়ারবাজারে।
একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর বোনাস ও রাইট শেয়ার ইস্যুর ঘটনাও ছিল উল্লেখ্য করার মতো। গত জানুয়ারি মাসে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে তালিকাভুক্ত কম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৭৯ কোটি ৬০ লাখ ৩১ হাজার ৩৯৬টি। ৯ মাসের ব্যবধানে ডিএসইতে ৫০২ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩টি শেয়ার ও ইউনিট যোগ হয়েছে। বর্তমানে মোট শেয়ার ও ইউনিটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮১ কোটি ৭৫ লাখ ৮৭ হাজার ৪৩৯টি। এই সময়ে ১০টি নতুন কম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে।
প্রতিবছর শেয়ার সংখ্যা ও লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়লেও কম্পানিগুলোর শেয়ারের ব্যাপক দরপতনের প্রভাবে কমে গেছে সূচক। কমে গেছে বাজার মূলধন। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ায় কমে গেছে লেনদেনের পরিমাণ। সব মিলিয়ে এক বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছে শেয়ারবাজার। গত ৫ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ লেনদেনের দিনে ডিএসইতে পাঁচটি রেকর্ড হয়। এদিন সাধারণ মূল্যসূচক ছিল ৮৯১৮.৫১ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৬৮ হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। গত ৫ অক্টোবর ডিএসইর সূচক ছিল ৫৭২৭.৮০ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৯৬ কোটি এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বাজার মূলধন ছিল দুই লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
১০ মাসের ধসে সূচক কমেছে ৩১৯০.৭১ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণ কমেছে দুই হাজার ৯৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ২১ হাজার টাকা। বাজার মূলধন কমেছে ৯১ হাজার ৪৫০ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ১৯৯৬ সালের বিপর্যয়ের পর অনেকগুলো কম্পানি বাজার থেকে হারিয়ে গেছে। সে সময় বেশির ভাগ কম্পানির ফান্ডামেন্টাল পরিস্থিতি ছিল দুর্বল। এবারের ঘটনা ঘটেছে বিপরীত। এবার এত বড় ধসের পরও কম্পানিগুলোর বিলুপ্তি দূরে থাক লভ্যাংশ ঘোষণা অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি বোনাস ও রাইট শেয়ার ইস্যু করেছে। তাই এবার শেয়ারবাজার নিয়ে হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বেশির ভাগ কম্পানির মৌলভিত্তি ভালো হওয়ায় এ লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করায় জেড ক্যাটাগরির অনেক কম্পানি এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। আবার একই সময়ে লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কয়েকটি কম্পানিকে ডিএসইর মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) পাঠিয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
মূলত ২০০৯ ও ২০১০ সালে কম্পানির শেয়ারের অতি মূল্যায়নের কারণে ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ধস। বাজার অতি মূল্যায়নের পেছনে ছিল ইনসাইডার ট্রেডিং বা কম্পানির অভ্যন্তরীণ তথ্য পাচার করে দর বাড়ানোর ঘটনা। লভ্যাংশ ঘোষণার আগেই এর তথ্য বাজারে প্রচারিত হওয়ায় অধিকাংশ কম্পানির শেয়ার অতি মূল্যায়িত হয়ে যায়। দেখা গেছে, ঘোষণার পরপরই সংশ্লিষ্ট কম্পানির দর পড়ে গেছে। কম্পানির পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তথ্য পাচার করে দর বাড়িয়েছেন। আর লভ্যাংশ ঘোষণার আগেই তাঁদের হাতের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। পাশাপাশি বোনাস শেয়ার বিক্রি করে কম্পানির পরিচালকরা লাভবান হয়েছেন।
এসব কারণে যে বিপর্যয় শুরু হয় তা মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ঠেকানো যায়নি। বরং ধারাবাহিক দরপতনের প্রভাবে অনেক কম্পানির শেয়ারের দাম এর মৌলভিত্তিরও নিচে নেমে গেছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৯৬ সালে যে ধস নামে এর প্রধান কারণ সে সময় বেশির ভাগ কম্পানির ফান্ডামেন্টাল ছিল দুর্বল। ১৯৯৬ সালে ধস নামার পর অনেকগুলো কম্পানি শেয়ারবাজার থেকে হারিয়ে যায়। এবারের ঘটনা ঘটেছে বিপরীত। এবার এত বড় ধসের পরও কম্পানিগুলোর বিলুপ্তির আশঙ্কা নেই।
প্রতিবছরই লভ্যাংশের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নতুন নতুন কম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত কম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ২৬৮টি। এর মধ্যে কম্পানির সংখ্যা ২৩১টি। বাকি ৩৭টি রয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর বাইরে লেনদেনের জন্য তিনটি বন্ড রয়েছে শেয়ারবাজারে।
একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর বোনাস ও রাইট শেয়ার ইস্যুর ঘটনাও ছিল উল্লেখ্য করার মতো। গত জানুয়ারি মাসে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে তালিকাভুক্ত কম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৭৯ কোটি ৬০ লাখ ৩১ হাজার ৩৯৬টি। ৯ মাসের ব্যবধানে ডিএসইতে ৫০২ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩টি শেয়ার ও ইউনিট যোগ হয়েছে। বর্তমানে মোট শেয়ার ও ইউনিটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮১ কোটি ৭৫ লাখ ৮৭ হাজার ৪৩৯টি। এই সময়ে ১০টি নতুন কম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে।
প্রতিবছর শেয়ার সংখ্যা ও লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়লেও কম্পানিগুলোর শেয়ারের ব্যাপক দরপতনের প্রভাবে কমে গেছে সূচক। কমে গেছে বাজার মূলধন। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ায় কমে গেছে লেনদেনের পরিমাণ। সব মিলিয়ে এক বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছে শেয়ারবাজার। গত ৫ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ লেনদেনের দিনে ডিএসইতে পাঁচটি রেকর্ড হয়। এদিন সাধারণ মূল্যসূচক ছিল ৮৯১৮.৫১ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৬৮ হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। গত ৫ অক্টোবর ডিএসইর সূচক ছিল ৫৭২৭.৮০ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৯৬ কোটি এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বাজার মূলধন ছিল দুই লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
১০ মাসের ধসে সূচক কমেছে ৩১৯০.৭১ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণ কমেছে দুই হাজার ৯৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ২১ হাজার টাকা। বাজার মূলধন কমেছে ৯১ হাজার ৪৫০ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ১৯৯৬ সালের বিপর্যয়ের পর অনেকগুলো কম্পানি বাজার থেকে হারিয়ে গেছে। সে সময় বেশির ভাগ কম্পানির ফান্ডামেন্টাল পরিস্থিতি ছিল দুর্বল। এবারের ঘটনা ঘটেছে বিপরীত। এবার এত বড় ধসের পরও কম্পানিগুলোর বিলুপ্তি দূরে থাক লভ্যাংশ ঘোষণা অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি বোনাস ও রাইট শেয়ার ইস্যু করেছে। তাই এবার শেয়ারবাজার নিয়ে হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বেশির ভাগ কম্পানির মৌলভিত্তি ভালো হওয়ায় এ লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করায় জেড ক্যাটাগরির অনেক কম্পানি এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। আবার একই সময়ে লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কয়েকটি কম্পানিকে ডিএসইর মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) পাঠিয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
মূলত ২০০৯ ও ২০১০ সালে কম্পানির শেয়ারের অতি মূল্যায়নের কারণে ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ধস। বাজার অতি মূল্যায়নের পেছনে ছিল ইনসাইডার ট্রেডিং বা কম্পানির অভ্যন্তরীণ তথ্য পাচার করে দর বাড়ানোর ঘটনা। লভ্যাংশ ঘোষণার আগেই এর তথ্য বাজারে প্রচারিত হওয়ায় অধিকাংশ কম্পানির শেয়ার অতি মূল্যায়িত হয়ে যায়। দেখা গেছে, ঘোষণার পরপরই সংশ্লিষ্ট কম্পানির দর পড়ে গেছে। কম্পানির পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তথ্য পাচার করে দর বাড়িয়েছেন। আর লভ্যাংশ ঘোষণার আগেই তাঁদের হাতের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। পাশাপাশি বোনাস শেয়ার বিক্রি করে কম্পানির পরিচালকরা লাভবান হয়েছেন।
এসব কারণে যে বিপর্যয় শুরু হয় তা মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ঠেকানো যায়নি। বরং ধারাবাহিক দরপতনের প্রভাবে অনেক কম্পানির শেয়ারের দাম এর মৌলভিত্তিরও নিচে নেমে গেছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৯৬ সালে যে ধস নামে এর প্রধান কারণ সে সময় বেশির ভাগ কম্পানির ফান্ডামেন্টাল ছিল দুর্বল। ১৯৯৬ সালে ধস নামার পর অনেকগুলো কম্পানি শেয়ারবাজার থেকে হারিয়ে যায়। এবারের ঘটনা ঘটেছে বিপরীত। এবার এত বড় ধসের পরও কম্পানিগুলোর বিলুপ্তির আশঙ্কা নেই।
No comments