আওলাকির হত্যা বৈধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন স্মারক
গোপন স্মারকের মাধ্যমে ইয়েমেনে আল-কায়েদা নেতা আনোয়ার আল-আওলাকির হত্যাকে বৈধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওবামা প্রশাসন ওই স্মারকে মার্কিন বংশোদ্ভূত আওলাকিকে হত্যার অনুমতি দেয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় গত শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, আওলাকিকে হত্যার বিষয়টি বৈধ করতে ২০১০ সালে ওবামা প্রশাসন গোপনে স্মারকটি তৈরি করে। ৫০ পৃষ্ঠার ওই স্মারক তৈরির কাজ শেষ হয় গত বছর জুনে।
এতে বলা হয়, আওলাকিকে জীবিত ধরা সম্ভব না হলেই কেবল তাঁকে হত্যা করা বৈধ হবে। স্মারকে আওলাকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও আল-কায়েদার মধ্যকার যুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়। বলা হয় তিনি আমেরিকার জন্য হুমকি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, আওলাকিকে উদ্দেশ করে এ স্মারকটি তৈরি করা হয়। এটি অন্যান্য মার্কিন নাগরিকদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। এ স্মারক মার্কিন ফেডারেল আইন ও যুদ্ধসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ফেডারেল আইনে বিচারবহির্ভূতভাবে কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনে ড্রোন হামলায় আওলাকি তাঁর চার সহযোগীসহ নিহত হন। এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে ওয়াশিংটন কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। ওবামা তাঁর ভাষণে আওলাকির মৃত্যুকে আল-কায়েদার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে অভিহিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করে, মার্কিন বাহিনী দেশের কোনো নাগরিককে এভাবে হত্যা করতে পারে না। এটা অবৈধ। তবে এ সম্পর্কে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। সূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, আওলাকিকে উদ্দেশ করে এ স্মারকটি তৈরি করা হয়। এটি অন্যান্য মার্কিন নাগরিকদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। এ স্মারক মার্কিন ফেডারেল আইন ও যুদ্ধসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ফেডারেল আইনে বিচারবহির্ভূতভাবে কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনে ড্রোন হামলায় আওলাকি তাঁর চার সহযোগীসহ নিহত হন। এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে ওয়াশিংটন কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। ওবামা তাঁর ভাষণে আওলাকির মৃত্যুকে আল-কায়েদার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে অভিহিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করে, মার্কিন বাহিনী দেশের কোনো নাগরিককে এভাবে হত্যা করতে পারে না। এটা অবৈধ। তবে এ সম্পর্কে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। সূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা।
No comments