সাপ আমাদের পরম বন্দু! by আহমেদ জুয়েল
সাপ আমাদের বন্দু না শত্রু? এ প্রশ্নের জবাবে হয়তো আমাদের দেশের ৯০ ভাগ লোকই বলবেন, সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায় সুতরাং সাপ আমাদের শত্রু। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সাপ আমাদের বন্দু। র্বতমান সময়ে পৃথিবীতে যুদ্ধ, হানাহানি, সন্ত্রাস, বোমাবাজিতে যত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ নিহত হচ্ছে, সাপের কামড়ে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ লোকও কি মারা যাচ্ছে? এখন আমরা দেখতে পাচ্ছে মানুষই মানুষের বড় শত্রু, সাপ নয়।
সাপ আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার কাজ করে যাচ্ছে নীরবে, একথা আমরা অনেকেই জানি না। সাপের প্রধান খদ্যো ইঁদুর। আর ইঁদুর ফসলের ক্ষতি করে। ইঁদুর নিধনের ক্ষেত্রে সাপের এক বিশাল ভূমিকা আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষকবান্দব সাপকে জাতীয় প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের দেশের সরকার এবং সাধারণ মানুষ কেউই সাপকে বন্দু মনে করে না। সাপ আসলেও এক নিরীহ ও ভদ্র প্রাণী। এটা সহজে কাউকে কামড়ায় না। বিরক্ত করলে কিংবা ভয় পেলেই এরা আক্রমণ করে। তাছাড়া আমাদের দেশে যেসব সাপ পাওয়া যায় তার অধরাউকই প্রায় নির্বিষ। কিন্তু আমাদের জনগণের মাঝে সর্পভীতি এত বেশি যে, এরা যে কোনো সাপ দেখলেই মেরে ফেলে। এর প্রধান কারণ ভীতি এবং বিষাক্ত ও নির্বিষ সাপ না চেনা। সাপভীতি ছড়ানোর জন্য আমাদের দেশের সাপুড়েরা অনেকাংশে দায়ী। তারা সাধারণকে সাপের ভয় দেখিয়ে তাদের তাবিজ-কবজ বিক্রি করে। ভীতির কারণেই মানুষ মেরে ফলে অনেক নির্বিষ সাপ। এদের মধ্যে কালনাগিনী অন্যতম। কালনাগিনীর নাম শুনলেই মানুষের হূৎকম্প শুরু হয়ে যায়, গায়ের লোম শিউরে ওঠে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, কালনাগিনীর কোনো বিষ নেই। সাপটি একেবারেই নিরীহ এবং অসহায় টাইপের। গাছপালায় খুব দ্রুত চলাচল করতে পারে বলে ইংরেজিতে এর নাম 'ফ্লাইং স্টেম্নক'। এ সাপটি এতটাই নিরীহ যে, সিগারেটের প্যাকেটে ভরে কিংবা বুক পকেটে ভরে অনায়াসে চলাফেরা করা যায়।
অনেক সাপুড়ে সাপ ভক্ষণ করার খেলা দেখায় এই সাপটি দিয়েই। কারণ তারা জানে এর বিষ নেই। আর চিকন ও নিরীহ বলে খুব সহজেই গলা দিয়ে পেটে ঢুকানো যায়। সাপ ভক্ষণ করে সাপুড়েরা সরলপ্রাণ সাধারণ মানুষকে বোকা বানায়। সাপুড়েরা এটাও জানে যে কাঁচা সাপ পেটে হজম হয় না, তাই ওরা খাওয়ার পরপরই আড়ালে গিয়ে বমি করে দেয়।
সাপ যে কোনো দেশের জন্য একটা অর্থনৈতিক সম্পদও। কেননা সাপের বিষ থেকে অনেক দামি ওষুধ তৈরি হয়। তাই সাপের খামার গড়ে তোলা লাভজনক ব্যবসা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই সাপের বিষ উৎপাদনকারী খামার আছে। এ ব্যাপারে আমাদের দেশে প্রয়োজন এখন একজন আন্তরিক উদ্যোক্তার।
অনেক সাপুড়ে সাপ ভক্ষণ করার খেলা দেখায় এই সাপটি দিয়েই। কারণ তারা জানে এর বিষ নেই। আর চিকন ও নিরীহ বলে খুব সহজেই গলা দিয়ে পেটে ঢুকানো যায়। সাপ ভক্ষণ করে সাপুড়েরা সরলপ্রাণ সাধারণ মানুষকে বোকা বানায়। সাপুড়েরা এটাও জানে যে কাঁচা সাপ পেটে হজম হয় না, তাই ওরা খাওয়ার পরপরই আড়ালে গিয়ে বমি করে দেয়।
সাপ যে কোনো দেশের জন্য একটা অর্থনৈতিক সম্পদও। কেননা সাপের বিষ থেকে অনেক দামি ওষুধ তৈরি হয়। তাই সাপের খামার গড়ে তোলা লাভজনক ব্যবসা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই সাপের বিষ উৎপাদনকারী খামার আছে। এ ব্যাপারে আমাদের দেশে প্রয়োজন এখন একজন আন্তরিক উদ্যোক্তার।
No comments