আজ চারদলীয় জোটের ঢাকা-সিলেট রোডমার্চ
ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দলের রোডমার্চ আজ সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হচ্ছে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রোডমার্চ শুরু হবে। এর আগে সকাল ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর গাড়িবহর নিয়ে ভিআইপি রোড দিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন।তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার দাবিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সিলেট পেঁৗছে হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারত করবেন খালেদা জিয়া। রাতে সিলেট সার্কিট হাউসে উঠবেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে জনসভায় বক্তব্য দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতা, জোটের শরিক দল ও সমমনা দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা জনসভায় বক্তব্য দেবেন। জনসভা শেষ করে মঙ্গলবার রাতেই খালেদা জিয়া সিলেট থেকে ঢাকায় রওনা দেবেন বলে জানা গেছে।
নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রায় এক হাজার গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দলের একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে গাড়ির সংখ্যা শেষ পর্যন্ত তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও রোডমার্চ কর্মসূচির ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। গতকাল রবিবার বিকেলে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ এ রোডমার্চ কর্মসূচিতে সরকার কোনো ধরনের বাধা দিলে তাৎক্ষণিক পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে গতকাল রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও দলের সিনিয়র নেতারা বৈঠক করেন।
রোডমার্চ কর্মসূচিতে যেন কোনো ধরনের বাধা দেওয়া না হয় এবং বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার দাবি জানিয়ে গত শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয় বিএনপি। চিঠিতে সই করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকালও রোডমার্চ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ডিসি ট্রাফিক উত্তরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা। পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না, বরং সকল প্রকার সহযোগিতা করবে পুলিশ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চারদলীয় ঐক্যজোটের মহাসমাবেশ থেকে সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগ অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। দলীয় কোন্দলের কারণে রাজশাহীর মূল শহরের পরিবর্তে ১৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে রোডমার্চ রওনা হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে। চট্টগ্রামের রোডমার্চ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
আজ সিলেট যাওয়ার পথে ছয়টি জেলায় পথসভা করবে বিএনপি। পথসভার নেতৃত্বে থাকবেন স্থানীয় জেলা বিএনপির নেতারা। প্রথম পথসভা হবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবোতে। দ্বিতীয় পথসভা নরসিংদীর ইটখোলায়, তৃতীয়টি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে, চতুর্থটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (বিশ্বরোড মোড়) কড্ডাপাড়ায়, পঞ্চম পথসভা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে এবং ষষ্ঠ পথসভা হবে মৌলভীবাজারের শেরপুরে। এসব পথসভায় বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া।
সিলেট রোডমার্চ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ড. মোশাররফ কালের কণ্ঠকে বলেন, রোডমার্চের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরকার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোডমার্চে বাধা দিতে চায়। সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে ভুল করবে। তিনি বলেন, 'নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রোডমার্চ শুরু হবে। সিলেট অভিমুখে রোডমার্চে মানুষের ঢল নামবে। রোডমার্চ সফল করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।' ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকারই রোডমার্চ দিতে বাধ্য করছে। কর্মসূচিতে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
খোকার সংবাদ সম্মেলন : গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রোডমার্চ কর্মসূচির ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, প্রাথমিকভাবে আড়াই হাজার গাড়ি যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এখন প্রতি মুহূর্তে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে গাড়ি যোগদানের আবেদন আসছে। এতে মনে করা হচ্ছে, গাড়ির সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, জোট ও সমমনা দলগুলোও তাদের শক্তি অনুযায়ী রোডমার্চে যোগ দেবে। বিভিন্ন পেশাজীবী দলের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। সব মিলিয়ে সর্ববৃহত রোডমার্চ হবে এটা।
সাদেক হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ হবে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। রোডমার্চ চলাকালে এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যদের নজরে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মেয়র আরো বলেন, 'অনেক মিডিয়া সিলেট অভিমুখে রোডমার্চের পথসভা ও সিলেটের জনসভা সরাসরি সম্প্রচার করতে চায়। যারা সরাসরি সম্প্রচার করবে আমরা তাদের সহায়তা করব।' তিনি বলেন, এ কর্মসূচি ইন্টারনেটের মাধ্যমেও সরাসরি দেখা যাবে।
গাড়ি কিভাবে যাবে_প্রশ্ন করা হলে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, 'তা ইতিমধ্যে ঠিক করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ির সিরিয়াল করা হয়েছে। আশা করব দলীয় নেতা-কর্মীরা সিরিয়াল মেনে চলবেন। সিলেট পর্যন্ত যেতে তিনটি সেতু পার হতে হবে। ওই সেতুর টোলের ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। তাঁরা গাড়ির হিসাব রাখবেন, পরে টোল দেওয়া হবে।' সাধারণ গাড়ির মালিকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, 'রোডমার্চের সময় আশা করব তাঁরাও আমাদের বহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাচল করবেন, যাতে রাস্তায় কোনো সমস্যা না হয়।'
সাদেক হোসেন বলেন, রোডমার্চে বিকল্পধারা এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারাও যোগ দেবেন। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলীসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী যোগ দেবেন। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে খোকা বলেন, 'ঢাকাসহ কয়েকটি স্থান থেকে খবর পাওয়া গেছে, অনেকের ভাড়া করা গাড়ির মালিকরা টাকা ফেরত দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, সরকারি মহল থেকে চাপের কারণে তাঁরা যেতে পারবেন না। আশা করব, সরকার এসব কাজ থেকে বিরত থাকবে। শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে বাধা দিলে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।' সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন।
শরিক ও সমমনা দল : রোডমার্চ কর্মসূচিতে চারদলীয় জোট ও সমমনা দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অংশ নেবেন। শরিক দলগুলো হলো_জামায়াত, ইসলামী ঐক্যজোট, বিজেপি, খেলাফত মজলিস এবং সমমনা দলগুলো হলো_জাগপা, বাংলাদেশ ন্যাপ, লেবার পার্টি, এনডিপি, এনপিপি, ইসলামিক পার্টি ও ন্যাপ ভাসানী। জোটের বাইরের এলডিপি ও কল্যাণ পার্টিও অংশ নেবে। বিকল্পধারাও রোডমার্চের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রায় এক হাজার গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দলের একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে গাড়ির সংখ্যা শেষ পর্যন্ত তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও রোডমার্চ কর্মসূচির ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। গতকাল রবিবার বিকেলে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ এ রোডমার্চ কর্মসূচিতে সরকার কোনো ধরনের বাধা দিলে তাৎক্ষণিক পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে গতকাল রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও দলের সিনিয়র নেতারা বৈঠক করেন।
রোডমার্চ কর্মসূচিতে যেন কোনো ধরনের বাধা দেওয়া না হয় এবং বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার দাবি জানিয়ে গত শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয় বিএনপি। চিঠিতে সই করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকালও রোডমার্চ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ডিসি ট্রাফিক উত্তরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা। পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না, বরং সকল প্রকার সহযোগিতা করবে পুলিশ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চারদলীয় ঐক্যজোটের মহাসমাবেশ থেকে সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগ অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। দলীয় কোন্দলের কারণে রাজশাহীর মূল শহরের পরিবর্তে ১৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে রোডমার্চ রওনা হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে। চট্টগ্রামের রোডমার্চ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
আজ সিলেট যাওয়ার পথে ছয়টি জেলায় পথসভা করবে বিএনপি। পথসভার নেতৃত্বে থাকবেন স্থানীয় জেলা বিএনপির নেতারা। প্রথম পথসভা হবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবোতে। দ্বিতীয় পথসভা নরসিংদীর ইটখোলায়, তৃতীয়টি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে, চতুর্থটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (বিশ্বরোড মোড়) কড্ডাপাড়ায়, পঞ্চম পথসভা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে এবং ষষ্ঠ পথসভা হবে মৌলভীবাজারের শেরপুরে। এসব পথসভায় বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া।
সিলেট রোডমার্চ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ড. মোশাররফ কালের কণ্ঠকে বলেন, রোডমার্চের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরকার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোডমার্চে বাধা দিতে চায়। সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে ভুল করবে। তিনি বলেন, 'নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রোডমার্চ শুরু হবে। সিলেট অভিমুখে রোডমার্চে মানুষের ঢল নামবে। রোডমার্চ সফল করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।' ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকারই রোডমার্চ দিতে বাধ্য করছে। কর্মসূচিতে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
খোকার সংবাদ সম্মেলন : গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রোডমার্চ কর্মসূচির ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, প্রাথমিকভাবে আড়াই হাজার গাড়ি যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এখন প্রতি মুহূর্তে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে গাড়ি যোগদানের আবেদন আসছে। এতে মনে করা হচ্ছে, গাড়ির সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, জোট ও সমমনা দলগুলোও তাদের শক্তি অনুযায়ী রোডমার্চে যোগ দেবে। বিভিন্ন পেশাজীবী দলের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। সব মিলিয়ে সর্ববৃহত রোডমার্চ হবে এটা।
সাদেক হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ হবে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। রোডমার্চ চলাকালে এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যদের নজরে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মেয়র আরো বলেন, 'অনেক মিডিয়া সিলেট অভিমুখে রোডমার্চের পথসভা ও সিলেটের জনসভা সরাসরি সম্প্রচার করতে চায়। যারা সরাসরি সম্প্রচার করবে আমরা তাদের সহায়তা করব।' তিনি বলেন, এ কর্মসূচি ইন্টারনেটের মাধ্যমেও সরাসরি দেখা যাবে।
গাড়ি কিভাবে যাবে_প্রশ্ন করা হলে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, 'তা ইতিমধ্যে ঠিক করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ির সিরিয়াল করা হয়েছে। আশা করব দলীয় নেতা-কর্মীরা সিরিয়াল মেনে চলবেন। সিলেট পর্যন্ত যেতে তিনটি সেতু পার হতে হবে। ওই সেতুর টোলের ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। তাঁরা গাড়ির হিসাব রাখবেন, পরে টোল দেওয়া হবে।' সাধারণ গাড়ির মালিকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, 'রোডমার্চের সময় আশা করব তাঁরাও আমাদের বহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাচল করবেন, যাতে রাস্তায় কোনো সমস্যা না হয়।'
সাদেক হোসেন বলেন, রোডমার্চে বিকল্পধারা এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারাও যোগ দেবেন। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলীসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী যোগ দেবেন। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে খোকা বলেন, 'ঢাকাসহ কয়েকটি স্থান থেকে খবর পাওয়া গেছে, অনেকের ভাড়া করা গাড়ির মালিকরা টাকা ফেরত দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, সরকারি মহল থেকে চাপের কারণে তাঁরা যেতে পারবেন না। আশা করব, সরকার এসব কাজ থেকে বিরত থাকবে। শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে বাধা দিলে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।' সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন।
শরিক ও সমমনা দল : রোডমার্চ কর্মসূচিতে চারদলীয় জোট ও সমমনা দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অংশ নেবেন। শরিক দলগুলো হলো_জামায়াত, ইসলামী ঐক্যজোট, বিজেপি, খেলাফত মজলিস এবং সমমনা দলগুলো হলো_জাগপা, বাংলাদেশ ন্যাপ, লেবার পার্টি, এনডিপি, এনপিপি, ইসলামিক পার্টি ও ন্যাপ ভাসানী। জোটের বাইরের এলডিপি ও কল্যাণ পার্টিও অংশ নেবে। বিকল্পধারাও রোডমার্চের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
No comments