ভালো-মন্দের বোধ ১৫ মাসেই
বলা হয়ে থাকে, ভালো-মন্দ বোঝার বোধ মানুষকে পশুদের থেকে আলাদা করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মধ্যে এ বোধের জন্ম হয় একেবারে শিশুকালে। মাত্র ১৫ মাস বয়সী শিশুরা বুঝতে পারে, কোনটা ঠিক, আর কী ঠিক নয়। এতে আরো বলা হয়, বেশির ভাগ শিশু নিজের পছন্দের জিনিস অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতেও পিছপা হয় না।বিজ্ঞান সাময়িকী 'প্লস ওয়ান'-এর গত শুক্রবারের সংখ্যায় এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, মাত্র এক বছর পার করা শিশুরা নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই বুঝতে পারে কারা তাদের সঙ্গে সহজ ও নিঃস্বার্থভাবে মিশছে, কারা তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে।
এসব বুঝেই জটিল পরিস্থিতিতেও নিজের প্রিয় খেলনা ভাগাভাগি করার আগ্রহ হারায় না তারা।
এর আগের এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, দুই বছর বয়সী শিশুরা অন্যকে সাহায্য করতে পারে। তাদের মধ্যে ন্যায়-অন্যায় বোধ জন্মে ছয় বা সাত বছর বয়সে।
এবার গবেষকরা ৪৭টি শিশুর ওপর পরীক্ষা চালান। শিশুদের দুটি ভিডিও দেখানো হয়। প্রথমটিতে দুই ব্যক্তির মধ্যে অসমভাবে খাবার ভাগ করে দেওয়া হয়। পরেরটিতে দুই জনকে সমান খাবার দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, তারা প্রথম ভিডিওটির দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। কারণ ঘটনাটি তাদের অবাক করেছে। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক জেসিকা সামারভিল। তিনি বলেন, 'প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, আমাদের ভাবনার চেয়েও অনেক দ্রুত শিশুরা সততা ও নিঃস্বার্থপরতার বিষয়টি বুঝতে পারে। শিশুরা খাবারের ন্যায়সঙ্গত ও সমান ভাগাভাগি দেখতে চায়। কাউকে বেশি খাবার দেওয়ার বিষয়টি তাদের অবাক করেছে।'
দ্বিতীয় পরীক্ষায় শিশুদের দুটি খেলনা দিয়ে বলা হয়, যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। এ সময় এক-তৃতীয়াংশ শিশুই ভাগাভাগি করে খেলার আগ্রহ দেখায়। পছন্দের খেলনাটি আরেকজনকে দিয়ে দেওয়া শিশুদের মধ্যে ৯২ শতাংশ প্রথম ভিডিওর অসম খাবার ভাগাভাগি দেখে অবাক হয়েছে। আর পছন্দ নয়, এমন খেলনা আরেক শিশুকে দিয়ে দেওয়া শিশুদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ খাবারের সমভাগাভাগি দেখে অবাক হয়েছে। সূত্র : দ্য মেইল, দ্য টেলিগ্রাফ।
এর আগের এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, দুই বছর বয়সী শিশুরা অন্যকে সাহায্য করতে পারে। তাদের মধ্যে ন্যায়-অন্যায় বোধ জন্মে ছয় বা সাত বছর বয়সে।
এবার গবেষকরা ৪৭টি শিশুর ওপর পরীক্ষা চালান। শিশুদের দুটি ভিডিও দেখানো হয়। প্রথমটিতে দুই ব্যক্তির মধ্যে অসমভাবে খাবার ভাগ করে দেওয়া হয়। পরেরটিতে দুই জনকে সমান খাবার দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, তারা প্রথম ভিডিওটির দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। কারণ ঘটনাটি তাদের অবাক করেছে। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক জেসিকা সামারভিল। তিনি বলেন, 'প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, আমাদের ভাবনার চেয়েও অনেক দ্রুত শিশুরা সততা ও নিঃস্বার্থপরতার বিষয়টি বুঝতে পারে। শিশুরা খাবারের ন্যায়সঙ্গত ও সমান ভাগাভাগি দেখতে চায়। কাউকে বেশি খাবার দেওয়ার বিষয়টি তাদের অবাক করেছে।'
দ্বিতীয় পরীক্ষায় শিশুদের দুটি খেলনা দিয়ে বলা হয়, যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। এ সময় এক-তৃতীয়াংশ শিশুই ভাগাভাগি করে খেলার আগ্রহ দেখায়। পছন্দের খেলনাটি আরেকজনকে দিয়ে দেওয়া শিশুদের মধ্যে ৯২ শতাংশ প্রথম ভিডিওর অসম খাবার ভাগাভাগি দেখে অবাক হয়েছে। আর পছন্দ নয়, এমন খেলনা আরেক শিশুকে দিয়ে দেওয়া শিশুদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ খাবারের সমভাগাভাগি দেখে অবাক হয়েছে। সূত্র : দ্য মেইল, দ্য টেলিগ্রাফ।
No comments