বিশ্বব্যাংককেই দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিল স্থায়ী কমিটি
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মনে করে, বিশ্বব্যাংক নিজেই যেখানে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে, সেখানে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া তাদের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন অবান্তর। কমিটি এ বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, বিএনপি-জামায়াতের একাধিক নেতা এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুর নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করতে লবিং করছেন।জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বব্যাংক কোনো প্রমাণ ছাড়াই দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত করছে। একই সঙ্গে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংককে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে প্রতিশ্রুত অর্থ না পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহে বিকল্প পথ অনুসরণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করছে। জাতীয় স্বার্থবিরোধী এই কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন নেতা ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস জড়িত রয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে কমিটির সভাপতি বলেন, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে ঠিকই। তবে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ফলে এই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের এই অভিযোগের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। তার পরও বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে বলে তিনি দাবি করেন।
বিশ্বব্যাংক টাকা দিতে রাজি না হলে বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে_এ প্রশ্নের জবাবে সভাপতি বলেন, বিকল্প অনেক ব্যবস্থাই আছে। যদি বিদেশ থেকে টাকা না পাওয়া যায় তবে দেশীয় উৎস থেকে টাকা সংগ্রহ করা হবে। দেশের বিত্তবানদের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। মন্ত্রণালয় সার্বিক বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানান।
কমিটির সদস্য অপু উকিল বলেন, যেহেতু বিশ্বব্যাংক কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি, সেহেতু পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ বিষয়টি নিয়ে একাধিক সদস্য কমিটির বৈঠকে কথা বলেছেন। কমিটির সদস্যদের প্রস্তাব, বিশ্বব্যাংক টাকা না দিলে সরকারকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ কোটি মানুষের যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
বৈঠকে রাজধানীতে মেট্রো রেলের রুট নিয়েও আলোচনা হয়। রুট সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি সুপারিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে এক মাসের মধ্যে রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার এবং পরবর্তী এক মাসের মধ্যে উদ্ধারকৃত জমি আবার লিজ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. জিল্লল হাকিম, এইচ এম গোলাম রেজা, একরামুল করিম চৌধুরী, মো. আবু জাহির, গোলাম মাওলা রনি ও অপু উকিল এবং সড়ক বিভাগের সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান, সেতু বিভাগের সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, রেলওয়ে বিভাগের সচিব ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করছে। জাতীয় স্বার্থবিরোধী এই কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন নেতা ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস জড়িত রয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে কমিটির সভাপতি বলেন, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে ঠিকই। তবে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ফলে এই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের এই অভিযোগের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। তার পরও বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে বলে তিনি দাবি করেন।
বিশ্বব্যাংক টাকা দিতে রাজি না হলে বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে_এ প্রশ্নের জবাবে সভাপতি বলেন, বিকল্প অনেক ব্যবস্থাই আছে। যদি বিদেশ থেকে টাকা না পাওয়া যায় তবে দেশীয় উৎস থেকে টাকা সংগ্রহ করা হবে। দেশের বিত্তবানদের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। মন্ত্রণালয় সার্বিক বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানান।
কমিটির সদস্য অপু উকিল বলেন, যেহেতু বিশ্বব্যাংক কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি, সেহেতু পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ বিষয়টি নিয়ে একাধিক সদস্য কমিটির বৈঠকে কথা বলেছেন। কমিটির সদস্যদের প্রস্তাব, বিশ্বব্যাংক টাকা না দিলে সরকারকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ কোটি মানুষের যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
বৈঠকে রাজধানীতে মেট্রো রেলের রুট নিয়েও আলোচনা হয়। রুট সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি সুপারিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে এক মাসের মধ্যে রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার এবং পরবর্তী এক মাসের মধ্যে উদ্ধারকৃত জমি আবার লিজ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. জিল্লল হাকিম, এইচ এম গোলাম রেজা, একরামুল করিম চৌধুরী, মো. আবু জাহির, গোলাম মাওলা রনি ও অপু উকিল এবং সড়ক বিভাগের সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান, সেতু বিভাগের সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, রেলওয়ে বিভাগের সচিব ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments