মজাটাই আসল! by লতিফুল হক
এফএম রেডিওর সঙ্গে সম্পর্ক এখন সবার। ক্লাস আর পড়ার বাইরে সবসময়ই কানে বাজছে এফএম। গত কয়েক মাসে অনেক বন্দুর সামনেই খুলে গেছে শব্দতরঙ্গের এই নতুন জাদুর দরজা! এফএম রেডিও শোনার এই যে দুর্নিবার আকর্ষণ সেটা শুধু গানের জন্যই নয়। 'আর জে'দের ভীষণ স্মার্ট আর আন্তরিক কথাবার্তার কারণেও ওদের নাম হাওয়ার পালে ভেসে সবার মুখে মুখে ফিরছে। আর রেডিও 'আর জে'রাও পুরো ব্যাপারটাকে ভীষণ উপভোগ করছে।
রেডিও টুডের সকালবেলার অনুষ্ঠান 'গুড মর্নিং ঢাকা'র 'আর জে' বিপ্লব এবং বৃষ্টি জানাল, মানুষের প্রয়োজন এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী আন্তরিক কথাবার্তাই তাদের এই জনপ্রিয়তার মূল কারণ। বিপ্লব বলল, বাইরে যদি খুব বেশি রোদ থাকে অথবা আকাশে মেঘ থাকে তখন ব্যাপারটা ওরা সেভাবেই উপস্থাপন করে। বৃষ্টি হয়তো বলে 'আকাশ মেঘলা অতএব সঙ্গে ছাতাটা রাখুন' কিংবা 'ভীষণ গরম। তাই পানির বোতল নিতে ভুলবেন না।' আর সে রকম পরিবেশে সবাই একবার করে হলেও আকাশের দিকে তাকায় অথবা রোদ থেকে ছায়া খোঁজে। তবে প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে পছন্দের চমৎকার সব গানের সমল্প্বয় এফএমকে নতুন প্রজন্মের কাছাকাছি এনে দিয়েছে বলে মনে করে রেডিও ফুর্তির 'আর জে' অপু আর লুবায়না। আর তাই মেঘলা বিকেল কিংবা রোদের দুপুরে যখন বেজে ওঠে 'আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ...' কিংবা 'রোদ উঠে গেছে তোমাদের এই নগরীতে...' তখন মন তো নেচে উঠবেই।
প্রশ্ন এসেছে
অন্য আয়োজন
আড়ালের কেউ
আর জে'দের এতটা জনপ্রিয়তার মধ্যে একটা ভীষণ অদ্ভুত ব্যাপার আছে। সেটা হলো তারা সবাই নিজেদের কণ্ঠ দিয়ে পরিচিতি পেয়েছে, শ্রোতারা তাদের দেখতে পায় না। বিপ্লব আর তানিয়া জানাল, এটা আসলে অনেক মজার। কারণ শ্রোতারা সবাই নিজেদের মতো করে তাদের চেহারা কল্পনা করে নেয়। কেউ ভাবে বিপ্লব লোকটা নিশ্চয় অনেক লম্বা, চওড়া হবে, অথবা তানিয়া মেয়েটা ভীষণ ঝগড়াটে! তানিয়া আরো জানাল, এসব নিয়ে তাদের কাছে প্রচুর ই-মেইল আর এসএমএস আসে। আর শ্রোতাদের মতো করে বিপ্লবও ভাবে, এই যে ইয়ামিন এসএমএস করল মনের কথা জানিয়ে, সে হয়তো দেখতে এ রকম বা ও রকম হবে। সবমিলিয়ে দারুণ এক অদেখা কল্পরাজ্য। বৃষ্টিও ওদের সঙ্গে একমত। তবে ও একটু হলেও মিস করে টিভির ভি জে'দের সঙ্গে ওদের এই পার্থক্যটাকে। রেডিও ফুর্তির অপুর মতে, 'শুধু কথা বলে মানুষের মনে দাগ ফেলা ভীষণ কঠিন।' রেডিও জকিরা এই কঠিন কাজটাই করেছে। তাই দেখাদেখির ব্যাপারটা নিয়ে তার একদমই আফসোস নেই।
শুধু শুরুতে রেডিওতে কাজ করা নিয়ে যে সংশয় ছিল সেসব এখন একদম উধাও। বন্দু-বান্দবদের মধ্যে যারা 'ও রেডিও' বলে নাক সিটকেছিল তারাই এখন সবচেয়ে বড় ভক্ত বনে গেছে! আর বাইরের কেউ যখন শোনে তখন তো কথাই নেই। চোখ কপালে তুলে বলে 'ও আপনি রেডিও...?' বৃষ্টি একবার বাসে যাচ্ছেল ধানমণ্ডি । ভিড়ের মধ্যে সিট না পেয়ে যেতে হচ্ছেল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ ওর গলায় ঝোলানো পরিচয়পত্র দেখে পাসের সিটের ভদ্রলোক হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন, 'আরে আপনি রেডিও টুডের বৃষ্টি! আমি তো চিনতেই পারিনি।' বৃষ্টি বলল, 'মানুষের এই ভালোবাসা ভোলার নয়।' আর ওর বন্দুরা তো ওকে দেখলেই বলে, 'কি উটের জকি, এখন জ্যামের কী অবস্থা রে?' আর শিখার আত্নীয়-স্বজনরাও ফোন করে জানতে চায় যানজটের কথা। কখনো মজা করে। কখনো সিরিয়াসলিই বলে।
তোমার অপেক্ষায়
তুমিও চলে আসতে পারো ভীষণ মজার এফএম দুনিয়ায় এবং এখনই। 'রেডিও জকি' কিংবা 'আর জে' হিসেবে যারা কাজ করছে এখন তাদের প্রায় সবাই-ই তোমার মতো পড়ালেখা করছে। তার সঙ্গে জমিয়ে চলছে কথার আড্ডা। তুমি যদি তাদের দলে ভিড়ে যেতে চাও তাহলে এখন থেকেই প্রস্থুতি শুরু করে দাও। বৃষ্টি আর বিপ্লব জোর দিল, গুরুত্ব দিল নিজেকে স্বতঃসম্ফূর্তভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতার প্রতি। আর তানিয়া, লুবায়না শদুব্দ উচ্চারণ এবং জড়তাহীনতাকে বেশি প্রাধান্য দিল। আর শিখা বলল, 'সব পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাটাও অবশ্যই থাকতে হবে।' আর অপুর মতে, 'গান সম্পর্কেও ভালো দখল থাকা চাই, কারণ সব অনুষ্ঠানই তো শেষ পর্যন্ত হয় গানকে ঘিরেই।' ভালো কথা অপু নিজে কিন্তু 'ত্রিলয়' ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িত। আর তানিয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভীষণ ভক্ত। যদিও ওর নিজের অনুষ্ঠানে এই গান বাজানোর সুযোগ খুব একটা হয় না!
প্রশ্ন এসেছে
অন্য আয়োজন
আড়ালের কেউ
আর জে'দের এতটা জনপ্রিয়তার মধ্যে একটা ভীষণ অদ্ভুত ব্যাপার আছে। সেটা হলো তারা সবাই নিজেদের কণ্ঠ দিয়ে পরিচিতি পেয়েছে, শ্রোতারা তাদের দেখতে পায় না। বিপ্লব আর তানিয়া জানাল, এটা আসলে অনেক মজার। কারণ শ্রোতারা সবাই নিজেদের মতো করে তাদের চেহারা কল্পনা করে নেয়। কেউ ভাবে বিপ্লব লোকটা নিশ্চয় অনেক লম্বা, চওড়া হবে, অথবা তানিয়া মেয়েটা ভীষণ ঝগড়াটে! তানিয়া আরো জানাল, এসব নিয়ে তাদের কাছে প্রচুর ই-মেইল আর এসএমএস আসে। আর শ্রোতাদের মতো করে বিপ্লবও ভাবে, এই যে ইয়ামিন এসএমএস করল মনের কথা জানিয়ে, সে হয়তো দেখতে এ রকম বা ও রকম হবে। সবমিলিয়ে দারুণ এক অদেখা কল্পরাজ্য। বৃষ্টিও ওদের সঙ্গে একমত। তবে ও একটু হলেও মিস করে টিভির ভি জে'দের সঙ্গে ওদের এই পার্থক্যটাকে। রেডিও ফুর্তির অপুর মতে, 'শুধু কথা বলে মানুষের মনে দাগ ফেলা ভীষণ কঠিন।' রেডিও জকিরা এই কঠিন কাজটাই করেছে। তাই দেখাদেখির ব্যাপারটা নিয়ে তার একদমই আফসোস নেই।
শুধু শুরুতে রেডিওতে কাজ করা নিয়ে যে সংশয় ছিল সেসব এখন একদম উধাও। বন্দু-বান্দবদের মধ্যে যারা 'ও রেডিও' বলে নাক সিটকেছিল তারাই এখন সবচেয়ে বড় ভক্ত বনে গেছে! আর বাইরের কেউ যখন শোনে তখন তো কথাই নেই। চোখ কপালে তুলে বলে 'ও আপনি রেডিও...?' বৃষ্টি একবার বাসে যাচ্ছেল ধানমণ্ডি । ভিড়ের মধ্যে সিট না পেয়ে যেতে হচ্ছেল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ ওর গলায় ঝোলানো পরিচয়পত্র দেখে পাসের সিটের ভদ্রলোক হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন, 'আরে আপনি রেডিও টুডের বৃষ্টি! আমি তো চিনতেই পারিনি।' বৃষ্টি বলল, 'মানুষের এই ভালোবাসা ভোলার নয়।' আর ওর বন্দুরা তো ওকে দেখলেই বলে, 'কি উটের জকি, এখন জ্যামের কী অবস্থা রে?' আর শিখার আত্নীয়-স্বজনরাও ফোন করে জানতে চায় যানজটের কথা। কখনো মজা করে। কখনো সিরিয়াসলিই বলে।
তোমার অপেক্ষায়
তুমিও চলে আসতে পারো ভীষণ মজার এফএম দুনিয়ায় এবং এখনই। 'রেডিও জকি' কিংবা 'আর জে' হিসেবে যারা কাজ করছে এখন তাদের প্রায় সবাই-ই তোমার মতো পড়ালেখা করছে। তার সঙ্গে জমিয়ে চলছে কথার আড্ডা। তুমি যদি তাদের দলে ভিড়ে যেতে চাও তাহলে এখন থেকেই প্রস্থুতি শুরু করে দাও। বৃষ্টি আর বিপ্লব জোর দিল, গুরুত্ব দিল নিজেকে স্বতঃসম্ফূর্তভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতার প্রতি। আর তানিয়া, লুবায়না শদুব্দ উচ্চারণ এবং জড়তাহীনতাকে বেশি প্রাধান্য দিল। আর শিখা বলল, 'সব পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাটাও অবশ্যই থাকতে হবে।' আর অপুর মতে, 'গান সম্পর্কেও ভালো দখল থাকা চাই, কারণ সব অনুষ্ঠানই তো শেষ পর্যন্ত হয় গানকে ঘিরেই।' ভালো কথা অপু নিজে কিন্তু 'ত্রিলয়' ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িত। আর তানিয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভীষণ ভক্ত। যদিও ওর নিজের অনুষ্ঠানে এই গান বাজানোর সুযোগ খুব একটা হয় না!
No comments