কতদিনের বন্ধু by হুমায়ুন রশীদ
লেকজিংটনের বিস্তৃত মাঠের সবুজ ঘাসের ভেতর দিয়ে ছোটাছুটি করছে কতগুলো বন্য ঘোড়া। তাদের পেছন পেছন ছুটছে ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী আধাডজন ছেলেমেয়ে। তারা ঘোড়াগুলোকে ধরার চেষ্ঠা করছে। কিন্তু কোনোমতেই সেগুলো ধরা দিচ্ছে না। দেবেই বা কেন, ওগুলো তো এখনো পোষ মানেনি, বনে বনে ঘুরে বেড়ায়। ঘোড়ার পেছনে ছোটা এই ছেলেমেয়েরা কেনটুকি হর্স ক্যামেঙ্র নতুন সহিস। তারা পথশিশু হিসেবেই পরিচিত। প্রতি বছরই তাদের মতো নতুন নতুন সহিস খুঁজে বের করে 'বিগবার্ন'।
বিগবার্ন হচ্ছে বন্য ঘোড়া প্রশিক্ষণের একটি প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরু করে। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক টোড ওরোনিকি। যখন ছেলেমেয়েদের সহিস হিসেবে নিযুক্ত করেন তখন তিনি প্রথমে খুবই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, 'কে বেশি অবাধ্য, বন্য ঘোড়া না-কি এ শিশুরা। ঘোড়াগুলো যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটায় আর এসব কিশোর-কিশোরী হঠাৎ হঠাৎই নিজেদের ভেতর মারামারি শুরু করে দেয়।' কিন্তু শুরুর এ আশঙ্কাকে অমূলক প্রমাণ করেই আপন গতিতে চলছে বিগবানরাউর চাকা। বন্য ঘোড়াকে পোষ মানাতে যেখানে হিমশিম খেতে হয় দক্ষ সহিসদেরও, সেখানে এ শিশুরা অতি দক্ষতার পরিচয় দিয়েই পোষ মানিয়ে ফেলছে বন্য পশুগুলোকে। অবশ্য প্রথম প্রথম ভয় পেলেও পরে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ভাব জমে যায় ঘোড়াগুলোর। ঠিক যেন কতদিনের চেনা বন্দু।
মাত্র ৩ বছর বয়সে ডেশান যোগ দেয় বিগবানরাউ। 'এখানে আসার পর প্রথম যখন আমার হাতে হ্যারিকে (ঘোড়ার নাম) তুলে দেওয়া হয় তখন আমি সতি্য খুবই ভয় পেয়েছিলাম। ক'দিন বাদে হ্যারি আমার বেশ আপন হয়ে যায়। এখন সে আমাকে খুবই ভালোবাসে। আমিও বাসি'_ জানাল ডেশান। প্রতি বছর লেকজিংটনে বসন্তকালে ডাবি প্যারেড নামে ঘোড়ার কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আর বিগবানরাউর ঘোড়া ও ছেলেমেয়েদের প্রস্থুত করা হয় কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের জন্য। কুচকাওয়াজ শেষ হয় আগস্ট মাসে। বিগবার্ন জানুয়ারিতে আবার তাদের মতো নতুন কিছু পথশিশুকে খুঁজে আনে। সঙ্গে থাকে আরো কিছু বন্য ঘোড়া। পুরনোরা কেউ কেউ এখানে থাকতেই বৃত্তি নিয়ে চলে যায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজে বা বিগবানরাউর সাহায্যেয কোনো ভালো কাজে। আর যারা এ দুটি থেকেই বঞ্চিত হয়, তারা আবারো ্টারস্থ হয় এ প্রতিষ্ঠানের। বিগবার্নও তাদের নিরাশ করে না। দুঃসাহসী কাজের জন্য এ প্রতিষ্ঠান অসহায় ওই ছেলেমেয়েদের বার্ষিক ভাতা প্রদান করে এক হাজার পাউন্ড। সূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট
মাত্র ৩ বছর বয়সে ডেশান যোগ দেয় বিগবানরাউ। 'এখানে আসার পর প্রথম যখন আমার হাতে হ্যারিকে (ঘোড়ার নাম) তুলে দেওয়া হয় তখন আমি সতি্য খুবই ভয় পেয়েছিলাম। ক'দিন বাদে হ্যারি আমার বেশ আপন হয়ে যায়। এখন সে আমাকে খুবই ভালোবাসে। আমিও বাসি'_ জানাল ডেশান। প্রতি বছর লেকজিংটনে বসন্তকালে ডাবি প্যারেড নামে ঘোড়ার কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আর বিগবানরাউর ঘোড়া ও ছেলেমেয়েদের প্রস্থুত করা হয় কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের জন্য। কুচকাওয়াজ শেষ হয় আগস্ট মাসে। বিগবার্ন জানুয়ারিতে আবার তাদের মতো নতুন কিছু পথশিশুকে খুঁজে আনে। সঙ্গে থাকে আরো কিছু বন্য ঘোড়া। পুরনোরা কেউ কেউ এখানে থাকতেই বৃত্তি নিয়ে চলে যায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজে বা বিগবানরাউর সাহায্যেয কোনো ভালো কাজে। আর যারা এ দুটি থেকেই বঞ্চিত হয়, তারা আবারো ্টারস্থ হয় এ প্রতিষ্ঠানের। বিগবার্নও তাদের নিরাশ করে না। দুঃসাহসী কাজের জন্য এ প্রতিষ্ঠান অসহায় ওই ছেলেমেয়েদের বার্ষিক ভাতা প্রদান করে এক হাজার পাউন্ড। সূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট
No comments